মালদা, 04 এপ্রিল : অবশেষে সাফাই ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দিল ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ৷ আজ পৌরসভায় সেই সমস্ত সামগ্রী বিলি করেন চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ এই সমস্ত সামগ্রী পাওয়ায় কাজের সময় অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যাবে বলে মনে করছে কর্মীরাও ৷
কোরোনার সংক্রমণ রোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরি বলে বারবার জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ রাজ্য সরকারও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি এলাকা পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দিয়েছে ৷ সরকারি নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে ইংরেজবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ মালদা শহরকে পরিষ্কার রাখার যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ৷ জীবাণু নিয়ন্ত্রণে শহরের মূল রাস্তাগুলি প্রায় প্রতিদিনই জীবাণুনাশক দিয়ে ধোওয়ার কাজ চলছে ৷ একই কাজ চলছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডেও ৷ সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়ছেন সাফাইকর্মীরা ৷ শহরের ড্রেন, রাস্তাঘাট সাফ রাখার কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাঁদেরও ৷ কিন্তু এতদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁদের সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ ৷ কর্মীদের একাংশের মধ্যে এনিয়ে ক্ষোভও দেখা দিচ্ছিল ৷ পরিস্থিতি বুঝে পৌর কর্তৃপক্ষ সাফাইকর্মীদের জন্য সাধারণ মাস্কের ব্যবস্থা করে ৷ কিন্তু গ্লাভস্ কিংবা স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করতে পারেনি ৷ এনিয়ে রাজ্য পৌর দপ্তরের দ্বারস্থ হতে হয় ৷ অবশেষে গত পরশু রাজ্য পৌর দপ্তরের পক্ষ থেকে ইংরেজবাজার পৌরসভায় পাঠানো হয়েছে সাফাই ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্লাভস্ ও স্যানিটাইজ়ার ৷
চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, "কোরোনা মোকাবিলায় আমরা সাফাইকর্মীদের জন্য শুধুমাত্র মাস্কের ব্যবস্থা করতে পেরেছিলাম ৷ কিন্তু এতদিন গ্লাভস্ কিংবা স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা করতে পারিনি ৷ এর জন্য আমরা রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলাম ৷ শেষ পর্যন্ত গত পরশু রাজ্য পৌর দপ্তরের পক্ষ থেকে আমাদের সাফাইকর্মীদের জন্য 850 জোড়া গ্লাভস্, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য 50 জোড়া গ্লাভস্ এবং 4 পেটি স্যানিটাইজ়ার পাঠানো হয়েছে৷ আজ আমরা সেসব প্রতিটি ওয়ার্ডের জমাদারদের হাতে তুলে দিয়েছি ৷ আজই সাফাইকর্মীরা জমাদারদের কাছ থেকে সেগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন ৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের পৌরসভা থেকে সেগুলো সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে ।"