ETV Bharat / state

শ্যামাপ্রসাদ জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে নীহার, BJP-তে যোগদানের জল্পনা

তাহলে কি BJP-তে যাচ্ছেন নীহাররঞ্জন ? হাসতে হাসতে বললেন, "আমি আমার দলেই আছি ।"

নীহার
author img

By

Published : Jul 6, 2019, 3:30 PM IST

মালদা, 6 জুলাই : লোকসভা নির্বাচনে 'ধাক্কা' খাওয়ার পরই তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে । বিধায়ক, নেতা থেকে শুরু করে শয়ে শয়ে কর্মী রোজই প্রায় BJP-তে যোগ দিচ্ছেন । তৃণমূল সুপ্রিমোও পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, "যারা যাচ্ছে যাক । কাউকে আটকাব না ।" জেলায় জেলায় সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে । জাঁকিয়ে বসছে BJP । এই অবস্থায় দলের অন্দরেই কথা চলছে, "এবার কে যাচ্ছে ?"

দক্ষিণ মালদা । লোকসভার আগে পর্যন্ত এই জেলা কার্যত ছিল শুভেন্দুর দখলে । জেলা পরিষদ তৃণমূলের । ইংরেজবাজার পৌরসভা তৃণমূলের । লোকসভায় প্রার্থীও করা হয়েছিল জেলার নামজাদা ব্যক্তিকে । ডা.মোয়াজ্জেম হোসেন । জয়ের ব্যাপারে আশাবাদীও ছিলেন তিনি । কিন্তু, কংগ্রেসের 'গণি-মিথ' ভাঙতে পারেননি । সুজাপুর সহ গ্রামাঞ্চলের ভোটে জয় পান আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু) । শহরাঞ্চলে অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি । তৃতীয় হন তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম । এমন কী, শহরের একটি ওয়ার্ডেও লিড পাননি তিনি । হারের পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ি করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ।

শুভেন্দু যেখানে একাধারে মালদা দখলের চেষ্টা করছিলেন সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কীসের ? জানতে হলে একটু পিছিয়ে যেতে হবে ।

2017 । মালদা জেলা পরিষদের দখল নিতে চলেছে তৃণমূল । সমর্থন দরকার শুধু নীহাররঞ্জন ঘোষের । তিনি আবার বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে পৌরভোটে জিতেছেন । 2016-তে বাম-কংগ্রেস জোট তাঁকে সমর্থন করে । লোকমুখে এখনও প্রচলিত, নীহার শর্ত দিয়েছিলেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে । বলেছিলেন, ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ দাও, জেলা পরিষদের দখল দাও । কথা রেখেছিল তৃণমূল । কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিকে সরিয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান করা হয়েছিল নীহারকে । কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে নীহারের সম্পর্ক যে কতটা 'সুমধুর' তা তাঁরা নিজেরাও ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করে নেন । লোকসভা ভোটের আগে কৃষ্ণেন্দুর ক্ষমতা বাড়িয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো । স্বাভাবিকভাবেই কিছু মহল তা মানতে পারেনি । তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, এরপর থেকেই তলে তলে BJP-র সঙ্গে কথা চালাচ্ছিলেন অনেক নেতা ।

bjp
নীহাররঞ্জন ঘোষ ও গোবিন্দ মণ্ডল

লোকসভা ভোটে মালদায় একপ্রকার ধূলিসাৎ হয়ে গেছে তৃণমূল । একটা ওয়ার্ডেও লিড পায়নি দল । এমন কী, খোদ চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জনের ওয়ার্ডে 1500 ভোটে পিছিয়ে ছিল । ভোটের পর নীহারের BJP-তে যাওয়ার জল্পনা বাড়ে । ওইটুকুই । দলবদল হয়নি ।

আজ জল্পনা একটু উস্কে দিয়েছেন নীহারবাবু নিজে । মালদা শহরের ফোয়ারা মোড়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মজয়ন্তী পালনের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে হঠাৎই চলে আসেন নীহারবাবু । আড্ডা মারেন BJP জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডলের সঙ্গে । পিছনে তখন BJP কর্মীরা চোখ চাওয়া-চাউয়ি করে বলছেন, "মালদায় এবার তৃণমূলের ভাঙন শুরু হল ।" তাহলে কি BJP-তে যাচ্ছেন নীহাররঞ্জন ? হাসতে হাসতে বললেন, "আমি আমার দলেই আছি ।" তাহলে শ্যামাপ্রসাদের জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে এলেন ? সহাস্য জবাব, "কলকাতা থেকে মালদা ফিরছিলাম । রাস্তাতেই পড়ে ফোয়ারা মোড় । শ্যামাপ্রসাদের অনুষ্ঠান চলছিল । চলে এসেছি । এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই ।" পাশে দাঁড়িয়ে BJP জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, "কে কোন দলে যাবে জানি না । তবে, আমি তো কখনও দল ছাড়ব না । এটা বাংলা তথা ভারতের মানুষ জানে ।"

নীহাররঞ্জন ঘোষ ও গোবিন্দ মণ্ডলের বক্তব্য

এই সংক্রান্ত আরও খবর : জাতীয় সড়কে অস্থায়ী বাজার, উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে সবজি বিক্রেতাকে ধাক্কা পৌরপ্রধানের


নীহার কি BJP-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ? প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রাক্তন জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্রকে । তিনি বলেন, "অনেকেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত । কলকাতায় যেত । আমার ব্যক্তিত্বের জন্য ভয়ে বলতে পারেনি । আমাকে এখন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । এখন কে কোথায় যোগদান করবে জানি না ।"

মালদা, 6 জুলাই : লোকসভা নির্বাচনে 'ধাক্কা' খাওয়ার পরই তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে । বিধায়ক, নেতা থেকে শুরু করে শয়ে শয়ে কর্মী রোজই প্রায় BJP-তে যোগ দিচ্ছেন । তৃণমূল সুপ্রিমোও পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, "যারা যাচ্ছে যাক । কাউকে আটকাব না ।" জেলায় জেলায় সংগঠন ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে । জাঁকিয়ে বসছে BJP । এই অবস্থায় দলের অন্দরেই কথা চলছে, "এবার কে যাচ্ছে ?"

দক্ষিণ মালদা । লোকসভার আগে পর্যন্ত এই জেলা কার্যত ছিল শুভেন্দুর দখলে । জেলা পরিষদ তৃণমূলের । ইংরেজবাজার পৌরসভা তৃণমূলের । লোকসভায় প্রার্থীও করা হয়েছিল জেলার নামজাদা ব্যক্তিকে । ডা.মোয়াজ্জেম হোসেন । জয়ের ব্যাপারে আশাবাদীও ছিলেন তিনি । কিন্তু, কংগ্রেসের 'গণি-মিথ' ভাঙতে পারেননি । সুজাপুর সহ গ্রামাঞ্চলের ভোটে জয় পান আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু) । শহরাঞ্চলে অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন BJP প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি । তৃতীয় হন তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম । এমন কী, শহরের একটি ওয়ার্ডেও লিড পাননি তিনি । হারের পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ি করে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ।

শুভেন্দু যেখানে একাধারে মালদা দখলের চেষ্টা করছিলেন সেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কীসের ? জানতে হলে একটু পিছিয়ে যেতে হবে ।

2017 । মালদা জেলা পরিষদের দখল নিতে চলেছে তৃণমূল । সমর্থন দরকার শুধু নীহাররঞ্জন ঘোষের । তিনি আবার বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসেবে পৌরভোটে জিতেছেন । 2016-তে বাম-কংগ্রেস জোট তাঁকে সমর্থন করে । লোকমুখে এখনও প্রচলিত, নীহার শর্ত দিয়েছিলেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে । বলেছিলেন, ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ দাও, জেলা পরিষদের দখল দাও । কথা রেখেছিল তৃণমূল । কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরিকে সরিয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান করা হয়েছিল নীহারকে । কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে নীহারের সম্পর্ক যে কতটা 'সুমধুর' তা তাঁরা নিজেরাও ঘনিষ্ঠ মহলে স্বীকার করে নেন । লোকসভা ভোটের আগে কৃষ্ণেন্দুর ক্ষমতা বাড়িয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো । স্বাভাবিকভাবেই কিছু মহল তা মানতে পারেনি । তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, এরপর থেকেই তলে তলে BJP-র সঙ্গে কথা চালাচ্ছিলেন অনেক নেতা ।

bjp
নীহাররঞ্জন ঘোষ ও গোবিন্দ মণ্ডল

লোকসভা ভোটে মালদায় একপ্রকার ধূলিসাৎ হয়ে গেছে তৃণমূল । একটা ওয়ার্ডেও লিড পায়নি দল । এমন কী, খোদ চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জনের ওয়ার্ডে 1500 ভোটে পিছিয়ে ছিল । ভোটের পর নীহারের BJP-তে যাওয়ার জল্পনা বাড়ে । ওইটুকুই । দলবদল হয়নি ।

আজ জল্পনা একটু উস্কে দিয়েছেন নীহারবাবু নিজে । মালদা শহরের ফোয়ারা মোড়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মজয়ন্তী পালনের আয়োজন করা হয় ৷ সেখানে হঠাৎই চলে আসেন নীহারবাবু । আড্ডা মারেন BJP জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডলের সঙ্গে । পিছনে তখন BJP কর্মীরা চোখ চাওয়া-চাউয়ি করে বলছেন, "মালদায় এবার তৃণমূলের ভাঙন শুরু হল ।" তাহলে কি BJP-তে যাচ্ছেন নীহাররঞ্জন ? হাসতে হাসতে বললেন, "আমি আমার দলেই আছি ।" তাহলে শ্যামাপ্রসাদের জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে এলেন ? সহাস্য জবাব, "কলকাতা থেকে মালদা ফিরছিলাম । রাস্তাতেই পড়ে ফোয়ারা মোড় । শ্যামাপ্রসাদের অনুষ্ঠান চলছিল । চলে এসেছি । এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই ।" পাশে দাঁড়িয়ে BJP জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, "কে কোন দলে যাবে জানি না । তবে, আমি তো কখনও দল ছাড়ব না । এটা বাংলা তথা ভারতের মানুষ জানে ।"

নীহাররঞ্জন ঘোষ ও গোবিন্দ মণ্ডলের বক্তব্য

এই সংক্রান্ত আরও খবর : জাতীয় সড়কে অস্থায়ী বাজার, উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে সবজি বিক্রেতাকে ধাক্কা পৌরপ্রধানের


নীহার কি BJP-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ? প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রাক্তন জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্রকে । তিনি বলেন, "অনেকেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত । কলকাতায় যেত । আমার ব্যক্তিত্বের জন্য ভয়ে বলতে পারেনি । আমাকে এখন সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । এখন কে কোথায় যোগদান করবে জানি না ।"

Intro:মালদা, ৬ জুলাইঃ ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মজয়ন্তী পালন করতে গিয়ে বিতর্কে জড়াল মালদা জেলা বিজেপি৷ শনিবার শহরের ফোয়ারা মোড়ে জন্মজয়ন্তী পালন উৎসবে বিজেপীর জেলানেত্রীর ছবি সহকারে একটি ফ্লেক্স নজরে আসে৷ পরে অবশ্য সেই ফ্লেক্স খুলে নেওয়া হয়৷ গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা বিজেপির মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল৷ এদিকে, বিজেপির উদ্যোগে আয়োজিত শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের উপস্থিতি আজ কৌতুহল সৃষ্টি করেছে সবার মধ্যে৷ তবে কি এবার নীহারবাবু বিজেপির পথে? উঠছে সেই প্রশ্নও৷Body:সারা দেশের সঙ্গে আজ সকালে মালদা শহরের ফোয়ারা মোড়ে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ১১৯তম জন্মজয়ন্তী পালনের আয়োজন করা হয়৷ ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তির পাদদেশে জেলা বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির ছবি দেওয়া ফ্লেক্সও সেখানে লাগানো হয়৷ এরপরেই সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে৷ দলের একাংশের বক্তব্য, নিজের নাম প্রচার করতেই এভাবেই যেখানে সেখানে ব্যানার, ফেস্টুন, ফ্লেক্স লাগিয়ে ফেলছেন দলনেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। দলীয় কর্মসূচির মধ্যেও নিজের প্রচারে পিছু পা হচ্ছেন না তিনি৷ যদিও অনুষ্ঠান শুরুর আগেই সেই ফ্লেক্স খুলে দেওয়া হয়৷
ঘটনাপ্রসঙ্গে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি বলেন, "আমরা কার্যকর্তা৷ কার্যকর্তারা নিজেদের প্রচারে ফ্লেক্স লাগান৷ জেলা সভাপতি বা অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব ফ্লেক্স দিতে চাননি৷ তাই তাঁদের ফ্লেক্স নেই৷ ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই নিবেদক হিসেবে আমার ছবি দিয়ে সেই ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল৷ এতে অন্যায়ের কিছু নেই৷ ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তির আশেপাশে ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছিল৷ সেই সময় হয়তো কেউ ফ্লেক্স খুলে দিয়েছে৷"
বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, "শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে মূর্তির পাদদেশে কেউ ভুলবশতঃ ফ্লেক্স লাগিয়ে দিয়েছিল৷ আমার আসার আগেই কর্মীরা সেই ফ্লেক্স খুলে দিয়েছে৷ বিজেপির আদর্শ হচ্ছে, দলীয় কার্যক্রমে ব্যক্তি বিশেষ কার্যক্রমের কোনও স্থান নেই৷ আমি সবেমাত্র জেলার দায়িত্ব পেয়েছি৷ হয়তো আমাদের মধ্যে যোগাযোগে সেভাবে হয়নি৷ "Conclusion:দলবদল প্রসঙ্গে নীহারবাবুর জানিয়েছেন, কলকাতা থেকে মালদা ফেরার পথে তিনি হঠাতই শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তির কাছে চলে যান৷ এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.