মালদা, 26 অক্টোবর : ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টের কর্মীর কাছ থেকে টাকা লুট করে পালাচ্ছিল তিনজন দুষ্কৃতী ৷ সেসময় স্থানীয়রা একজনকে ধরে ফেলে ৷ শুরু হয় গণপিটুনি ৷ আহত ওই দুষ্কৃতী বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ৷ ঘটনাটি হরিশচন্দ্রপুর থানার ভালুকা সংলগ্ন ফতেপুর গ্রামে ৷ বাকিদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ ৷
প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যায় সার্ভিস পয়েন্ট বন্ধ করে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের ফতেপুর CSP-র ম্যানেজার তপন মণ্ডল বাড়ি ফিরছিলেন ৷ এলাকাতেই তাঁর বাড়ি ৷ সঙ্গে ব্যাঙ্কের কিছু কাগজপত্র, রেজিস্টার ও নগদ তিন লাখ 25 হাজার টাকাও ছিল ৷ জানা গেছে, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন রাতেই তপনবাবু লেনদেনের সব টাকা বাড়ি নিয়ে যান ৷
তপনবাবু কাজের জায়গা থেকে বেরিয়ে বাড়ির কাছাকাছি যেতেই তিন জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ৷ তপনবাবু তাদের বাধা দিলে শূন্যে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা ৷ তারপরই তাঁর হাত থেকে ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে বাইকে চেপে পালাতে চেষ্টা করে ৷ কিন্তু গুলির আওয়াজে ততক্ষণে ঘটনাস্থানে পৌঁছে গিয়েছেন স্থানীয়রা ৷
এলাকার বাসিন্দারা তাড়া করে একজন দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে ৷ শুরু হয় গণপ্রহার ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে ভালুকা ফাঁড়ির পুলিশ ৷ বাকি দু'জন দুষ্কৃতী সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷
তপনবাবু বলেন, "গতকাল সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ সার্ভিস পয়েন্ট বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলাম ৷ সেসময় দু'জন আমার সঙ্গে থাকা ব্যাগ কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ৷ ওই ব্যাগে মেশিন, রেজিস্টার, কাগজপত্রসহ তিন লাখ 25 হাজার টাকা ছিল ৷ আমি বাধা দিলে তারা শূন্যে গুলি চালায় ৷ তারপর ব্যাগটা নিয়ে পালিয়ে যায় ৷ এলাকার মানুষ একজনকে ধরে ফেলেছে ৷ ঘটনাটি জানিয়ে আমি ভালুকা ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ যে টাকা ছিনতাই হয়েছে তা গ্রাহকদের ৷ তাই দুষ্কৃতীদের দ্রুত ধরার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানিয়েছি ৷"
পুলিশ জানিয়েছে, আহত ওই দুষ্কৃতীর নাম মঞ্জুর আলম ৷ বাড়ি মালদার চাঁচলে ৷ আপাতত স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি ৷ বাকি দু'জনের খোঁজ চলছে ৷