ETV Bharat / state

Road Construction Stop in Malda : কাজের শিডিউল জানতে চাওয়ায় রাস্তার কাজ বন্ধ করলেন ঠিকাদার, সমস্যায় গ্রামবাসী - road construction work stopped in malda

গ্রামবাসীরা রাস্তা তৈরির ঠিকাদারের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন শিডিউল ৷ যাচাই করতে চেয়েছিলেন ঠিকমতো কাজ হচ্ছে কিনা ৷ তাতেই রাস্তার কাজ অর্ধেক বন্ধ রেখে চলে গেলেন তৃণমূল বিধায়কের ভাই তথা ঠিকাদার (Road Construction Work Stopped in Malda) ৷ যার ফলে সমস্যায় পুরাতন মালদার 20-25টি গ্রাম ৷

Malda Road Construction
মালদায় বন্ধ রাস্তা তৈরির কাজ
author img

By

Published : Jan 25, 2022, 11:54 AM IST

মালদা, 25 জানুয়ারি : গ্রামবাসীদের অপরাধ, তাঁরা ঠিকাদারের কাছে রাস্তার কাজ কতটা হচ্ছে দেখতে চেয়েছিলেন । শিডিউল মেনে কাজ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁরা জানতেন না, ঠিকাদার খোদ শাসকদলের বিধায়কের ভাই । এই না জানার ফলই এখন ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের । অর্ধেক কাজ হওয়ার পর সেই অবস্থাতেই কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন ঠিকাদার (Road Construction Work Stopped in Malda) । এদিকে ওই বেহাল রাস্তায় জেরবার কয়েক হাজার মানুষ । বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মালদা জেলা পরিষদে যোগাযোগ করেছিলেন । পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গিয়েছেন জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারও । কিন্তু শাসকদলের বিধায়কের ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে কে ? কবে এই দশা ঘুচবে, জানেন না পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলি গ্রামের মানুষজন।

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলি গ্রামের উপর দিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তার প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছিল । এই কাজের বরাত পেয়েছিলেন পাশের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেনের ভাই মোজফ্‌ফর হোসেন । বর্ষার পরই এই কাজ শুরু হয়ে যায় । পুরনো রাস্তা খুঁড়ে সেখানে বালি-পাথরও ফেলা হয় । কিন্তু কাজের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কদমতলি গ্রামের বাসিন্দারা । মাস তিনেক আগে তাঁরা ঠিকাদারের ম্যানেজারের কাছে কাজের শিডিউল দেখতে চান । কিন্তু তা তাঁদের দেখানো হয়নি ।

Malda Road Construction
এই অবস্থায় কাজ বন্ধ করে চলে গিয়েছেন ঠিকাদার

আরও পড়ুন : 2017 Malda Flood Corruption : কোর্টের নির্দেশে ফেরার বরুই পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে তালা লাগাল পুলিশ

গ্রামবাসীরা জানিয়ে দেন, শিডিউল দেখিয়েই ঠিকাদারকে রাস্তার কাজ করতে হবে । এরপরই আড়াই কিলোমিটার এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার কাজ । তবে আট কিলোমিটারের মধ্যে তিন কিলোমিটার এলাকায় রাস্তার কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে । বাকি আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলছে । শুধু মধ্যের আড়াই কিলোমিটার এলাকায় দেখা নেই ঠিকাদার সংস্থার । এদিকে এই রাস্তার উপর নির্ভর করেন 20 থেকে 25টি গ্রামের মানুষ । প্রতিদিন 10 হাজারেরও বেশি মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন । কিন্তু উপায় নেই ৷ তাই এই ভাঙাচোরা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে তাঁদের । কোনও রোগী কিংবা প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সংকট আরও প্রবল হচ্ছে ।

গ্রামের বাসিন্দা হুসেন আলি বলেন, "গ্রামবাসীরা রাস্তার কাজে শিডিউল দেখতে চাওয়াতেই যত বিপত্তি । সেই সময় ঠিকাদার রাস্তায় বালি-পাথর ফেলেছিল । সেই অবস্থাতেই তারা কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছে । আমরা চেয়েছিলাম রাস্তার নিচু অংশগুলিতে যেন বালি-পাথর ফেলে সমান করে দেওয়া হয় । সেটাই ঠিকাদার সংস্থা মানছে না । ফলে এই আড়াই কিলোমিটার রাস্তা এখন বেহাল । এদিকে এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিদিন 10 হাজারের বেশি মানুষের যাতায়াত । এখন যা অবস্থা তাতে রাস্তা দিয়ে চলাফেরাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে । আমরা বিষয়টি জেলা পরিষদে জানিয়েছিলাম । ইঞ্জিনিয়ারও এলাকায় এসেছিলেন । তিনি দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার কথা বলে গিয়েছেন । কিন্তু দু’মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি ।"
আরও পড়ুন : services not resumed at hospital : উদ্বোধনের 10 বছর পরেও চালু হল না মালদার হাসপাতাল, চরছে গরু-ছাগল

আরেক গ্রামবাসী মহম্মদ শরিফুদ্দিনের বক্তব্যও এক । তিনি বলেন, "নতুন রাস্তা করার জন্য ঠিকাদার সংস্থা রাস্তা খুঁড়ে দিয়েছে । কিন্তু গ্রামবাসীরা কাজের শিডিউল দেখতে চাওয়ায় তারা কাজ শেষ না করেই চলে গিয়েছে । এতে 20-25টি গ্রামের মানুষ তো বটেই, সমস্যায় পড়েছে ছাত্রছাত্রীরাও । গুরুতর অসুস্থ কোনও রোগীকে এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে মাঝরাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । এলাকার সমস্ত গ্রামের সঙ্গে মালদা শহরের যোগাযোগ এই রাস্তার উপরেই নির্ভরশীল ।"

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ শরাফত আলি বলেন, "ওই রাস্তাটি খুঁড়ে রাখায় মানুষজনের যাতায়াতের সত্যিই সমস্যা হচ্ছে । বিষয়টি আমি শুনেছি, নিজেও দেখেছি । আমরা ওই ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি । কী কারণে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের কাজ এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে তা নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলব । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে কোথাও উন্নয়নের কাজ আটকে নেই । এই রাস্তাটির কাজও নিশ্চয়ই হবে ।"

আরও পড়ুন : Chanchal Indoor Stadium : দু’বছর পর চাঁচলে ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে সরল সবুজ সাথীর সাইকেল

মালদা, 25 জানুয়ারি : গ্রামবাসীদের অপরাধ, তাঁরা ঠিকাদারের কাছে রাস্তার কাজ কতটা হচ্ছে দেখতে চেয়েছিলেন । শিডিউল মেনে কাজ হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে গিয়েছিলেন । কিন্তু তাঁরা জানতেন না, ঠিকাদার খোদ শাসকদলের বিধায়কের ভাই । এই না জানার ফলই এখন ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের । অর্ধেক কাজ হওয়ার পর সেই অবস্থাতেই কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছেন ঠিকাদার (Road Construction Work Stopped in Malda) । এদিকে ওই বেহাল রাস্তায় জেরবার কয়েক হাজার মানুষ । বিষয়টি নিয়ে তাঁরা মালদা জেলা পরিষদে যোগাযোগ করেছিলেন । পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গিয়েছেন জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারও । কিন্তু শাসকদলের বিধায়কের ভাইয়ের বিরুদ্ধে কথা বলবে কে ? কবে এই দশা ঘুচবে, জানেন না পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলি গ্রামের মানুষজন।

প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলি গ্রামের উপর দিয়ে প্রায় আট কিলোমিটার রাস্তার প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছিল । এই কাজের বরাত পেয়েছিলেন পাশের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক মোশারফ হোসেনের ভাই মোজফ্‌ফর হোসেন । বর্ষার পরই এই কাজ শুরু হয়ে যায় । পুরনো রাস্তা খুঁড়ে সেখানে বালি-পাথরও ফেলা হয় । কিন্তু কাজের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কদমতলি গ্রামের বাসিন্দারা । মাস তিনেক আগে তাঁরা ঠিকাদারের ম্যানেজারের কাছে কাজের শিডিউল দেখতে চান । কিন্তু তা তাঁদের দেখানো হয়নি ।

Malda Road Construction
এই অবস্থায় কাজ বন্ধ করে চলে গিয়েছেন ঠিকাদার

আরও পড়ুন : 2017 Malda Flood Corruption : কোর্টের নির্দেশে ফেরার বরুই পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িতে তালা লাগাল পুলিশ

গ্রামবাসীরা জানিয়ে দেন, শিডিউল দেখিয়েই ঠিকাদারকে রাস্তার কাজ করতে হবে । এরপরই আড়াই কিলোমিটার এলাকায় বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার কাজ । তবে আট কিলোমিটারের মধ্যে তিন কিলোমিটার এলাকায় রাস্তার কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে । বাকি আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলছে । শুধু মধ্যের আড়াই কিলোমিটার এলাকায় দেখা নেই ঠিকাদার সংস্থার । এদিকে এই রাস্তার উপর নির্ভর করেন 20 থেকে 25টি গ্রামের মানুষ । প্রতিদিন 10 হাজারেরও বেশি মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন । কিন্তু উপায় নেই ৷ তাই এই ভাঙাচোরা রাস্তায় ঝুঁকি নিয়েই চলতে হচ্ছে তাঁদের । কোনও রোগী কিংবা প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সংকট আরও প্রবল হচ্ছে ।

গ্রামের বাসিন্দা হুসেন আলি বলেন, "গ্রামবাসীরা রাস্তার কাজে শিডিউল দেখতে চাওয়াতেই যত বিপত্তি । সেই সময় ঠিকাদার রাস্তায় বালি-পাথর ফেলেছিল । সেই অবস্থাতেই তারা কাজ ছেড়ে চলে গিয়েছে । আমরা চেয়েছিলাম রাস্তার নিচু অংশগুলিতে যেন বালি-পাথর ফেলে সমান করে দেওয়া হয় । সেটাই ঠিকাদার সংস্থা মানছে না । ফলে এই আড়াই কিলোমিটার রাস্তা এখন বেহাল । এদিকে এই রাস্তার উপর দিয়ে প্রতিদিন 10 হাজারের বেশি মানুষের যাতায়াত । এখন যা অবস্থা তাতে রাস্তা দিয়ে চলাফেরাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে । আমরা বিষয়টি জেলা পরিষদে জানিয়েছিলাম । ইঞ্জিনিয়ারও এলাকায় এসেছিলেন । তিনি দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার কথা বলে গিয়েছেন । কিন্তু দু’মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি ।"
আরও পড়ুন : services not resumed at hospital : উদ্বোধনের 10 বছর পরেও চালু হল না মালদার হাসপাতাল, চরছে গরু-ছাগল

আরেক গ্রামবাসী মহম্মদ শরিফুদ্দিনের বক্তব্যও এক । তিনি বলেন, "নতুন রাস্তা করার জন্য ঠিকাদার সংস্থা রাস্তা খুঁড়ে দিয়েছে । কিন্তু গ্রামবাসীরা কাজের শিডিউল দেখতে চাওয়ায় তারা কাজ শেষ না করেই চলে গিয়েছে । এতে 20-25টি গ্রামের মানুষ তো বটেই, সমস্যায় পড়েছে ছাত্রছাত্রীরাও । গুরুতর অসুস্থ কোনও রোগীকে এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে মাঝরাস্তাতেই তাঁর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় । এলাকার সমস্ত গ্রামের সঙ্গে মালদা শহরের যোগাযোগ এই রাস্তার উপরেই নির্ভরশীল ।"

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ শরাফত আলি বলেন, "ওই রাস্তাটি খুঁড়ে রাখায় মানুষজনের যাতায়াতের সত্যিই সমস্যা হচ্ছে । বিষয়টি আমি শুনেছি, নিজেও দেখেছি । আমরা ওই ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি । কী কারণে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটারের কাজ এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে তা নিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলব । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে কোথাও উন্নয়নের কাজ আটকে নেই । এই রাস্তাটির কাজও নিশ্চয়ই হবে ।"

আরও পড়ুন : Chanchal Indoor Stadium : দু’বছর পর চাঁচলে ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে সরল সবুজ সাথীর সাইকেল

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.