মালদা, 24 অগস্ট: মিজোরামে রেল ব্রিজ ভেঙে মৃত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে 10 লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করল রেল ৷ বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের ম্যানেজার বিকাশ চৌবে ৷ তিনি জানান, ইতিমধ্যেই রেলের তরফে অ্যাম্বুল্যান্সে করে 18টি দেহ মালদায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ৷ রেলের আধিকারিকরাই অ্যাম্বুল্যান্সগুলি মালদায় নিয়ে আসছেন ৷
মালদার ডিভিশনাল ম্যানেজার বলেন, "বুধবার মিজোরামে যে ঘটনা ঘটেছে, তা ভীষণ দুঃখজনক ৷ সেখানে নির্মীয়মান 196 নম্বর ব্রিজে এই দুর্ঘটনা ঘটে ৷ এই খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব শুধু দুঃখ প্রকাশই করেন এবং মৃতদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের 10 লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন ৷ একইসঙ্গে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখমদের পরিবার পিছু দু’লাখ এবং যাঁদের আঘাতের পরিমাণ কম, তাঁদের প্রত্যেককে 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৷ গতকাল 1টা 19 মিনিটে রেলের তরফে এই ঘোষণা করা হয়েছে ৷ নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের তরফে প্রতিটি মৃতদেহ আলাদা অ্যাম্বুল্যান্সে মালদায় নিয়ে আসা হচ্ছে ৷ 18টি মৃতদেহ মালদার বিভিন্ন জায়গায় আসছে ৷"
আরও পড়ুন: শুক্রবার সকালে মালদার গ্রামে ফিরছে 18 শ্রমিকের দেহ
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল 10টা নাগাদ মিজোরামের সাইরাং এলাকায় কুরুং নদীর উপর নির্মীয়মান রেল ব্রিজ ভেঙে পড়ে ৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মালদা জেলার 23 শ্রমিকের ৷ মৃতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শ্রমিক ছিলেন রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের পুখুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোকলামারি চৌদুয়ার গ্রামে ৷ এছাড়াও ইংরেজবাজারের সাটটারি গ্রামের পাঁচ শ্রমিকের দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে চারজন একই পরিবারের সদস্য ৷ গতকাল রাত থেকেই রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেন ৷ আজ তাঁর সঙ্গে আরেক মন্ত্রী তজমুল হোসেনও মৃত শ্রমিকদের বাড়িতে যান ৷ প্রত্যেক পরিবারকে রাজ্যের তরফে দু’লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ৷ আজ মৃতদের বাড়ি যান লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও ৷ তিনি গ্রাম থেকেই ফোনে যোগাযোগ করেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ৷