ETV Bharat / state

মোদি মিথ্যাবাদী, মমতা শুধুই ভাষণ দেন : রাহুল - mamata banerjee

গতবারের কংগ্রেস প্রার্থী আপনাদের ধোঁকা দিয়েছেন, ভুলে যাবেন না। নাম না করে মৌসম নুরকে তোপ রাহুল গান্ধির।

রাহুল গান্ধি
author img

By

Published : Mar 23, 2019, 9:30 PM IST

Updated : Mar 23, 2019, 11:54 PM IST

চাঁচল (মালদা), 23 মার্চ : গনি খানের সাম্রাজ্য কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নয় কংগ্রেস। আজ চাঁচলের কলমবাগান ময়দানে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধি। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। তৃণমূলের ব্রিগেডে নিজের দলের প্রতিনিধি পাঠানোর পরেও আজ কংগ্রেসের সভাপতি যে ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, তা রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তুলেছে।

আজকের সভায় সদ্য দলত্যাগী উত্তর মালদার সাংসদ মৌসম নুরের নাম মুখে আনেননি রাহুল। বলেন, "মালদার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধুমাত্র রাজনীতির নয়। এই সম্পর্ক হৃদয়ের সম্পর্ক, আত্মার সম্পর্ক, আত্মীয়তার সম্পর্ক। আর সেই সম্পর্কের জেরেই মালদার মানুষ বারবার আমাদের জিতিয়েছেন। কিন্তু গতবারের কংগ্রেস প্রার্থী আপনাদের ধোঁকা দিয়েছেন। সেকথা আপনারা কেউ ভুলে যাবেন না।"

রাহুল গান্ধি আজ নিজের বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধনা করেছেন। তিনি বলেন, "সামনে লোকসভা নির্বাচন। এবার লড়াই দুটি নীতির মধ্যে। একদিকে নরেন্দ্র মোদি, অন্যদিকে কংগ্রেস। মোদিজি যেখানে যাচ্ছেন, শুধুই মিথ্যে কথা বলছেন। 2014 সালে ভোটের পর তিনি বলেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন না। চৌকিদার হতে চান। এখন বলছেন, গোটা দেশই নাকি চৌকিদার। সবাইকে মনে রাখতে হবে, গরিব মানুষের ঘরে চৌকিদার থাকে না। চৌকিদার থাকে অনিল আম্বানির ঘরে, নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ার ঘরে। মোদি বলেছিলেন, বছরে 2 কোটি বেকারের চাকরি হবে। প্রত্যেক দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে 15 লাখ টাকা দেওয়া হবে। সেই সব প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল? উলটে গরিবের টাকা, কিষাণের টাকা আম্বানিদের পকেটে ভরে দিয়েছেন মোদি। অনিল আম্বানিদের মতো 15 জন ধনীর সাড়ে 3 লাখ কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছেন মোদিজি। কিন্তু এই দেশের গরিব কৃষক, ছোটো ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের কোনও ঋণ মকুব করা হয়নি। একই পরিস্থিতি এই রাজ্যেরও। এখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও কাজ না করে সারাক্ষণ শুধু ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। CPI(M) সরকারের আমলে এখানে যা ছিল, এখনও সেটাই চলছে। CPI(M)-র আমলে একটি সংগঠনের সরকার চলত, আর এখন একনায়ক সরকার চলছে। এখানে শিক্ষা কিংবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। এই রাজ্যে যতক্ষণ না কংগ্রেসের সরকার তৈরি হচ্ছে, ততক্ষণ কোনও উন্নতি হবে না। এখানকার কংগ্রেস কর্মীদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে।"

রাহুল গান্ধি আরও বলেন, "দেশে এখন গব্বর সিং ট্যাক্স (GST) লাগু করা হয়েছে। এই ট্যাক্স আসলে কী, কেউ জানে না। কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথমেই এই গব্বর সিং ট্যাক্স বন্ধ করা হবে। দেশের সর্বত্র চালু করা হবে সাধারণ একটি ট্যাক্স। কোনও সরকারি দপ্তরে শূন্যপদ থাকলে দ্রুত তা পূরণ করা হবে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গরিবদের পকেটমারি করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালের জাল তৈরি করে দেওয়া হবে। যতটা সম্ভব কম টাকায় এইসব পরিষেবা দেওয়া হবে। কোনও মানুষের আয় ন্যূনতম সীমার কম হলে সরাসরি তার অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মালদায় আম ও রেশমের কারখানা গড়ে তোলা হবে।"

চাঁচল (মালদা), 23 মার্চ : গনি খানের সাম্রাজ্য কিছুতেই হাতছাড়া করতে রাজি নয় কংগ্রেস। আজ চাঁচলের কলমবাগান ময়দানে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাহুল গান্ধি। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন। তৃণমূলের ব্রিগেডে নিজের দলের প্রতিনিধি পাঠানোর পরেও আজ কংগ্রেসের সভাপতি যে ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন, তা রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন তুলেছে।

আজকের সভায় সদ্য দলত্যাগী উত্তর মালদার সাংসদ মৌসম নুরের নাম মুখে আনেননি রাহুল। বলেন, "মালদার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধুমাত্র রাজনীতির নয়। এই সম্পর্ক হৃদয়ের সম্পর্ক, আত্মার সম্পর্ক, আত্মীয়তার সম্পর্ক। আর সেই সম্পর্কের জেরেই মালদার মানুষ বারবার আমাদের জিতিয়েছেন। কিন্তু গতবারের কংগ্রেস প্রার্থী আপনাদের ধোঁকা দিয়েছেন। সেকথা আপনারা কেউ ভুলে যাবেন না।"

রাহুল গান্ধি আজ নিজের বক্তব্যে নরেন্দ্র মোদিকে তুলোধনা করেছেন। তিনি বলেন, "সামনে লোকসভা নির্বাচন। এবার লড়াই দুটি নীতির মধ্যে। একদিকে নরেন্দ্র মোদি, অন্যদিকে কংগ্রেস। মোদিজি যেখানে যাচ্ছেন, শুধুই মিথ্যে কথা বলছেন। 2014 সালে ভোটের পর তিনি বলেছিলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন না। চৌকিদার হতে চান। এখন বলছেন, গোটা দেশই নাকি চৌকিদার। সবাইকে মনে রাখতে হবে, গরিব মানুষের ঘরে চৌকিদার থাকে না। চৌকিদার থাকে অনিল আম্বানির ঘরে, নীরব মোদি, মেহুল চোকসি, বিজয় মালিয়ার ঘরে। মোদি বলেছিলেন, বছরে 2 কোটি বেকারের চাকরি হবে। প্রত্যেক দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে 15 লাখ টাকা দেওয়া হবে। সেই সব প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল? উলটে গরিবের টাকা, কিষাণের টাকা আম্বানিদের পকেটে ভরে দিয়েছেন মোদি। অনিল আম্বানিদের মতো 15 জন ধনীর সাড়ে 3 লাখ কোটি টাকা ঋণ মকুব করেছেন মোদিজি। কিন্তু এই দেশের গরিব কৃষক, ছোটো ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষের কোনও ঋণ মকুব করা হয়নি। একই পরিস্থিতি এই রাজ্যেরও। এখানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও কাজ না করে সারাক্ষণ শুধু ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন। CPI(M) সরকারের আমলে এখানে যা ছিল, এখনও সেটাই চলছে। CPI(M)-র আমলে একটি সংগঠনের সরকার চলত, আর এখন একনায়ক সরকার চলছে। এখানে শিক্ষা কিংবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। এই রাজ্যে যতক্ষণ না কংগ্রেসের সরকার তৈরি হচ্ছে, ততক্ষণ কোনও উন্নতি হবে না। এখানকার কংগ্রেস কর্মীদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে।"

রাহুল গান্ধি আরও বলেন, "দেশে এখন গব্বর সিং ট্যাক্স (GST) লাগু করা হয়েছে। এই ট্যাক্স আসলে কী, কেউ জানে না। কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথমেই এই গব্বর সিং ট্যাক্স বন্ধ করা হবে। দেশের সর্বত্র চালু করা হবে সাধারণ একটি ট্যাক্স। কোনও সরকারি দপ্তরে শূন্যপদ থাকলে দ্রুত তা পূরণ করা হবে। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় গরিবদের পকেটমারি করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতালের জাল তৈরি করে দেওয়া হবে। যতটা সম্ভব কম টাকায় এইসব পরিষেবা দেওয়া হবে। কোনও মানুষের আয় ন্যূনতম সীমার কম হলে সরাসরি তার অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মালদায় আম ও রেশমের কারখানা গড়ে তোলা হবে।"

Intro:মালদা, ২০ ডিসেম্বর : দিন বদলায়, সময় বদলায়, কিন্তু ছবিটা একই থেকে যায়৷ মাধ্যমিকে কৃতি ছাত্রীদেরও নাম জানা নেই দেশ ও রাজ্যের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আসনে থাকা ব্যক্তিদের৷ প্রধানমন্ত্রী কিংবা মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠোঁটের গোড়ায় থাকলেও এই কৃতিদের কাছে অজানা রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির নাম৷ জেলার শিক্ষাব্যবস্থার করুণ ছবিটা অনেক আগে থেকেই বার বার উঠে আসছে ইনাডু ইন্ডিয়ায়৷ আজও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি৷Body:         পিছিয়ে থাকা হিসাবে চিহ্নিত পড়ুয়াদের উৎসাহ দিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এদিন মালদা টাউন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বি আর আম্বেদকর মেধা পুরস্কার প্রদান করা হয়৷ এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের অনগ্রসর শ্রেণিভূক্ত ৫৪ জন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ কৃতি পড়ুয়াদের পুরস্কৃত করা হয়েছে৷ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ, মহকুমাশাসক (সদর) পার্থ চক্রবর্তী, এলাকার বিধায়ক ও ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ্ শক্তিপদ পাত্র সহ আরও অনেকে৷ তাঁরাই কৃতি পড়ুয়াদের পুরস্কৃত করেন৷
         মঞ্চে যখন হাজারো প্রদীপের আলো, তখন তার নীচেই ঘন অন্ধকার৷ তার প্রমাণ দিল গাজোলের নন্দিনী হাজরা, মালদা শহরের ঋদ্ধি সেনরা৷ দুজনেই একাদশ শ্রেণির ছাত্রী৷ জেলার অন্যতম নামি স্কুল হিসাবে পরিচিত গাজোলের শ্যামসুখী বালিকা বিদ্যানিকেতন৷ সেই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে এবার ৫২৮ নম্বর পেয়েছে নন্দিনী৷ তাকে প্রশ্ন করা হয়, দেশের রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের নাম৷ নিরুত্তর নন্দিনী৷ তবে প্রশ্ন করতেই মুহূর্তের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নাম বলে দিয়েছে সে৷ একই হাল মালদা শহরের অন্যতম খ্যাতনামা স্কুল হিসাবে বিবেচিত মালদা গার্লস স্কুলের ছাত্রী ঋদ্ধির৷ রাষ্ট্রপতি কিংবা রাজ্যপালের নাম জিজ্ঞাসা করতেই তার মুখে ফ্যালফ্যালে হাসি৷
Conclusion:এবারই প্রথম নয়৷ এর আগেও একাধিক শিক্ষাভিত্তিক অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে এই জেলার করুণ শিক্ষা ব্যবস্থার ছবি৷ কিন্তু এসবের জন্য কি শুধুই পড়ুয়ারা দায়ী? সেই প্রশ্ন ওঠার বোধহয় সময় চলে এসেছে৷
Last Updated : Mar 23, 2019, 11:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.