ETV Bharat / state

Ganga Erosion in Malda: গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে গেল স্কুল, আতঙ্কে মালদার মানিকচক

মালদার বিস্তীর্ণ এলাকায় গঙ্গা ভাঙন অব্যাহত(Ganga Erosion in Malda)৷ ভাঙনের গ্রাসে এবার তলিয়ে গেল মানিকচক 1 ব্লকের নারায়ণপুর চরের প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ স্কুলের অর্ধেক ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৷ তাই নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল ৷ এই অবস্থায় চিন্তিত সকলেই ৷ গঙ্গার ভাঙনে আতঙ্কিত স্থানীয়রা ৷

malda ganga erosion
মালদার মানিকচক গঙ্গা ভাঙন
author img

By

Published : Aug 9, 2022, 8:54 PM IST

মালদা, 9 অগস্ট: গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে আস্ত একটি স্কুল(primary school is at danger due to Ganga erosion at malda manikchak)। এমনই পরিস্থিতি মানিকচক ব্লকের নারায়ণপুর চরে । ভাঙনের তীব্রতায় এই মুহূর্তে স্কুল ভবনের মাত্র একটি ঘর বেঁচে রয়েছে । সেটিও যে কোনও মুহূর্তে গঙ্গায় মিলিয়ে যেতে পারে । যেভাবে গঙ্গা তার আগ্রাসন চালাচ্ছে, তাতে বিপন্ন বোধ করছেন চরে বসবাসকারী মানুষজনও । যদিও এই বিষয়ে জেলাশাসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন ।

নারায়ণপুর চরে একশোরও বেশি পরিবারের বসবাস । গত 5-7 দিন ধরে সেই চরে গঙ্গার তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে । দুর্গম এই চরে রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল । সেই স্কুল ভবনও ভাঙনে বিধ্বস্ত । ইতিমধ্যে স্কুলের প্রায় প্রতিটি ঘর ভাঙনে ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে । মাত্র একটি ঘর আস্ত রয়েছে । এই স্কুলে 137 জন পড়ুয়ার পাশাপাশি রয়েছেন চারজন শিক্ষক । নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পঠনপাঠন ।

আরও পড়ুন : তলিয়ে গিয়েছে 400 মিটার এলাকা, ভাঙন-আতঙ্কে কালিয়াচকের 2 গ্রাম

তবে শুধু এবারই নয়, সাম্প্রতিক বিভিন্ন সময়ে গঙ্গার ভাঙনে নারায়ণপুর চরে অন্তত 20টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে । জলের তলায় চলে গিয়েছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । এবার প্রাথমিক স্কুলটিও গেল ৷ চরের বাসিন্দা সুরেশ চৌধুরীর কথায়, "পরিস্থিতি খুব খারাপ । প্রাথমিক স্কুলের বেশিরভাগ অংশই নদীতে কেটে গিয়েছে । 5-7 দিন ধরে স্কুল বন্ধ । আমরা চাই, এখানে নতুন একটি স্কুল খোলা হোক । নদীতে জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড ভাঙন শুরু হয়েছে । প্রশাসন থেকে আমাদের জন্য এখনও নৌকার ব্যবস্থা করা হয়নি । মূল ভূখণ্ডে যেতে গেলে 40 টাকা নৌকা ভাড়া দিতে হয় । রোগী কিংবা প্রসূতিরা সময়মতো নৌকা না পেয়ে সমস্যায় পড়ে । প্রশাসনের তরফে আমাদের নৌকার ব্যবস্থা করলে খুব ভালো হয় ।"

মালদার মানিকচকে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে গেল স্কুল

আরেক চরবাসী বৈশাখী চৌধুরী বলেন, "স্কুলটার মাত্র একটা ঘর এখনও বেঁচে আছে । শ’দেড়েক পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ সংকটে পড়েছে । নতুন স্কুল করার জন্য বিডিওকে কাগজপত্র দিয়েছি । এখানে নতুন একটা স্কুল খোলা হলে খুব ভালো হয় । এই চরে আমাদের জন্য এখনও সরকারি আবাস যোজনার ঘরের ব্যবস্থা হয়নি । সেই ঘর পেলে আমাদের খুব ভালো হত ।"

এই বিষয়ে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, ওই প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের আপাতত কাছাকাছি অন্য কোনও স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । নতুন স্কুল নির্মাণের বিষয়ে পরবর্তীতে উদ্যোগ নেওয়া হবে । আর চরবাসীরা সরকারি ঘরের যে দাবি তুলেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

আরও পড়ুন : মালদায় পর্যটনের প্রসারে উদ্যোগী সরকার, তৈরি হবে হোম-স্টে

মালদা, 9 অগস্ট: গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে আস্ত একটি স্কুল(primary school is at danger due to Ganga erosion at malda manikchak)। এমনই পরিস্থিতি মানিকচক ব্লকের নারায়ণপুর চরে । ভাঙনের তীব্রতায় এই মুহূর্তে স্কুল ভবনের মাত্র একটি ঘর বেঁচে রয়েছে । সেটিও যে কোনও মুহূর্তে গঙ্গায় মিলিয়ে যেতে পারে । যেভাবে গঙ্গা তার আগ্রাসন চালাচ্ছে, তাতে বিপন্ন বোধ করছেন চরে বসবাসকারী মানুষজনও । যদিও এই বিষয়ে জেলাশাসক জানিয়েছেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন ।

নারায়ণপুর চরে একশোরও বেশি পরিবারের বসবাস । গত 5-7 দিন ধরে সেই চরে গঙ্গার তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে । দুর্গম এই চরে রয়েছে একটি প্রাথমিক স্কুল । সেই স্কুল ভবনও ভাঙনে বিধ্বস্ত । ইতিমধ্যে স্কুলের প্রায় প্রতিটি ঘর ভাঙনে ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে । মাত্র একটি ঘর আস্ত রয়েছে । এই স্কুলে 137 জন পড়ুয়ার পাশাপাশি রয়েছেন চারজন শিক্ষক । নিরাপত্তার কথা ভেবে স্কুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পঠনপাঠন ।

আরও পড়ুন : তলিয়ে গিয়েছে 400 মিটার এলাকা, ভাঙন-আতঙ্কে কালিয়াচকের 2 গ্রাম

তবে শুধু এবারই নয়, সাম্প্রতিক বিভিন্ন সময়ে গঙ্গার ভাঙনে নারায়ণপুর চরে অন্তত 20টি বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে । জলের তলায় চলে গিয়েছে শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র । এবার প্রাথমিক স্কুলটিও গেল ৷ চরের বাসিন্দা সুরেশ চৌধুরীর কথায়, "পরিস্থিতি খুব খারাপ । প্রাথমিক স্কুলের বেশিরভাগ অংশই নদীতে কেটে গিয়েছে । 5-7 দিন ধরে স্কুল বন্ধ । আমরা চাই, এখানে নতুন একটি স্কুল খোলা হোক । নদীতে জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড ভাঙন শুরু হয়েছে । প্রশাসন থেকে আমাদের জন্য এখনও নৌকার ব্যবস্থা করা হয়নি । মূল ভূখণ্ডে যেতে গেলে 40 টাকা নৌকা ভাড়া দিতে হয় । রোগী কিংবা প্রসূতিরা সময়মতো নৌকা না পেয়ে সমস্যায় পড়ে । প্রশাসনের তরফে আমাদের নৌকার ব্যবস্থা করলে খুব ভালো হয় ।"

মালদার মানিকচকে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে গেল স্কুল

আরেক চরবাসী বৈশাখী চৌধুরী বলেন, "স্কুলটার মাত্র একটা ঘর এখনও বেঁচে আছে । শ’দেড়েক পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ সংকটে পড়েছে । নতুন স্কুল করার জন্য বিডিওকে কাগজপত্র দিয়েছি । এখানে নতুন একটা স্কুল খোলা হলে খুব ভালো হয় । এই চরে আমাদের জন্য এখনও সরকারি আবাস যোজনার ঘরের ব্যবস্থা হয়নি । সেই ঘর পেলে আমাদের খুব ভালো হত ।"

এই বিষয়ে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানান, ওই প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের আপাতত কাছাকাছি অন্য কোনও স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । নতুন স্কুল নির্মাণের বিষয়ে পরবর্তীতে উদ্যোগ নেওয়া হবে । আর চরবাসীরা সরকারি ঘরের যে দাবি তুলেছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।

আরও পড়ুন : মালদায় পর্যটনের প্রসারে উদ্যোগী সরকার, তৈরি হবে হোম-স্টে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.