ETV Bharat / state

Malda Bar Association: স্ট্যাম্প পেপার দুর্নীতি! মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদককে তলব সিবিআইয়ের; সরব বিজেপি - স্ট্যাম্প দুর্নীতি মামলা

মালদা বার অ্যাসোসিয়শের সম্পাদকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ । স্ট্যাম্প দুর্নীতি মামলায় তাঁকে তলব করে সিবিআই। বিষয়টিকে একহাত নিয়েই সরব বিজেপি।

Malda Bar Association
স্ট্যাম্প পেপার দুর্নীতিতে মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদককে তলব সিবিআইয়ের
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 26, 2023, 4:31 PM IST

মালদা, 26 অক্টোবর: একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রভাবিত মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ৷ বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ৷ তাদের অভিযোগ, স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারির ঘটনায় বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদককে সম্প্রতি তলব করেছে সিবিআই ৷ কিন্তু হাজির হওয়ার দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি ভয়ে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি বলেই অভিযোগ ৷ শুধু তাই নয়, বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা ও জেলা আদালতের আইনজীবী সঞ্জয় শর্মা ৷ যদিও বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চিঠি পাওয়ার পর নির্দিষ্ট দিনেই তিনি সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সমস্ত নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, একটি স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারির মামলায় সিবিআই মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদককে ডেকে পাঠিয়েছিল ৷ ওই স্ট্যাম্পটি যাঁর নামে ইস্যু করা হয়েছিল, তাঁর নামে সেটি ব্যবহার করা হয়নি ৷ অন্য কারও নামে সেটি ব্যবহার করা হয়েছে ৷ যা সম্পূর্ণ বেআইনি ৷ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভয়ে এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি ৷ তবে ওই চিঠি আসার পর মালদা জেলা আদালতে আধার কার্ড দেখার পর স্ট্যাম্প পেপার ইস্যু করা হচ্ছে ৷ এই আদালতে আরও অনেক বেআইনি কাজ চলছে ৷ রাজ্যের কোনও আদালতে এফিডেভিটের জন্য টাকা নেওয়া হয় না ৷ কিন্তু এখানে 200 টাকা করে নেওয়া হচ্ছে ৷ এভাবে এখানে প্রতিদিন 80 হাজার থেকে এক লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে ৷

সঞ্জয় শর্মার তীব্র দাবি, "আমি কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন ফাইল করেছি ৷ আইনমন্ত্রীকেও লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি ৷ তিনি রাজ্যের বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও আদালতে যেন এফিডেভিটের জন্য টাকা আদায় না করা হয় ৷ তবুও এখানে টাকা আদায় চলছেই ৷ এখানে ওকালতনামার ক্ষেত্রেও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে ৷ এতে গরিব মানুষ আরও সমস্যায় পড়ছে ৷ এসব টাকা ধনী উকিলদের মধ্যে ভাগ করা হচ্ছে ৷ এখানে টেন্ডার ছাড়াই বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে ৷ বার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল মিটিংয়ে কোনও অ্যাপ্রুভাল না নিয়েই সেই টাকা খরচ করা হচ্ছে ।”

আরও পড়ুন: রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকের বদলিতে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, নির্দেশে স্থগিতাদেশ

যদিও সঞ্জয়বাবুর সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বার কাউন্সিলের সম্পাদক শুভেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানান, কোনও স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারি হয়নি ৷ মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জেলার সবচেয়ে বড় স্ট্যাম্প ভেন্ডর ৷ এক ব্যক্তি সেখান থেকে দুটি স্ট্যাম্প কিনে ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন ৷ এর বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী মামলা করেছিলেন ৷ সেই মামলাতেই সিবিআই ওই দুটি স্ট্যাম্প পেপারের আসল নথি তলব করে ৷ প্রশ্ন তোলে, স্ট্যাম্প বিক্রির সময় কেন ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনও নথি নেওয়া হয়নি ৷

সঞ্জয়ের শর্মাকে পালটা শুভেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেনস, " আমরা ১১ অক্টোবর সিবিআইকে সমস্ত নথি জমা দিয়েছি ৷ সঞ্জয়বাবু এফিডেভিটের ক্ষেত্রে যে ২০০ টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তার প্রেক্ষিতে বলতে পারি, তবে কি উকিলরা বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করবেন? মালদা মফ্‌ফসল শহর ৷ এখানে উকিলদের পারিশ্রমিক অনেক কম ৷ এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷ সঞ্জয়বাবু বরং নিজের দিকটি একটু দেখুন ৷ পরের দিকে তাকানোর তাঁর কোনও প্রয়োজন নেই ৷” সবমিলিয়ে স্ট্যাম্প দুর্নীতি নিয়ে বেশ সরগরম মালদা বার অ্যাসোসিয়েশন ।

মালদা, 26 অক্টোবর: একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রভাবিত মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ৷ বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি ৷ তাদের অভিযোগ, স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারির ঘটনায় বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদককে সম্প্রতি তলব করেছে সিবিআই ৷ কিন্তু হাজির হওয়ার দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি ভয়ে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি বলেই অভিযোগ ৷ শুধু তাই নয়, বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা ও জেলা আদালতের আইনজীবী সঞ্জয় শর্মা ৷ যদিও বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চিঠি পাওয়ার পর নির্দিষ্ট দিনেই তিনি সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সমস্ত নথি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, একটি স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারির মামলায় সিবিআই মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদককে ডেকে পাঠিয়েছিল ৷ ওই স্ট্যাম্পটি যাঁর নামে ইস্যু করা হয়েছিল, তাঁর নামে সেটি ব্যবহার করা হয়নি ৷ অন্য কারও নামে সেটি ব্যবহার করা হয়েছে ৷ যা সম্পূর্ণ বেআইনি ৷ বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ভয়ে এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের মুখোমুখি হননি ৷ তবে ওই চিঠি আসার পর মালদা জেলা আদালতে আধার কার্ড দেখার পর স্ট্যাম্প পেপার ইস্যু করা হচ্ছে ৷ এই আদালতে আরও অনেক বেআইনি কাজ চলছে ৷ রাজ্যের কোনও আদালতে এফিডেভিটের জন্য টাকা নেওয়া হয় না ৷ কিন্তু এখানে 200 টাকা করে নেওয়া হচ্ছে ৷ এভাবে এখানে প্রতিদিন 80 হাজার থেকে এক লাখ টাকা আদায় করা হচ্ছে ৷

সঞ্জয় শর্মার তীব্র দাবি, "আমি কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন ফাইল করেছি ৷ আইনমন্ত্রীকেও লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি ৷ তিনি রাজ্যের বার কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও আদালতে যেন এফিডেভিটের জন্য টাকা আদায় না করা হয় ৷ তবুও এখানে টাকা আদায় চলছেই ৷ এখানে ওকালতনামার ক্ষেত্রেও বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে ৷ এতে গরিব মানুষ আরও সমস্যায় পড়ছে ৷ এসব টাকা ধনী উকিলদের মধ্যে ভাগ করা হচ্ছে ৷ এখানে টেন্ডার ছাড়াই বিল্ডিং তৈরি করা হচ্ছে ৷ বার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল মিটিংয়ে কোনও অ্যাপ্রুভাল না নিয়েই সেই টাকা খরচ করা হচ্ছে ।”

আরও পড়ুন: রাজ্য ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের বিচারকের বদলিতে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট, নির্দেশে স্থগিতাদেশ

যদিও সঞ্জয়বাবুর সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে বার কাউন্সিলের সম্পাদক শুভেন্দুনারায়ণ চৌধুরী জানান, কোনও স্ট্যাম্প কেলেঙ্কারি হয়নি ৷ মালদা বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জেলার সবচেয়ে বড় স্ট্যাম্প ভেন্ডর ৷ এক ব্যক্তি সেখান থেকে দুটি স্ট্যাম্প কিনে ধর্ম পরিবর্তন করেছিলেন ৷ এর বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী মামলা করেছিলেন ৷ সেই মামলাতেই সিবিআই ওই দুটি স্ট্যাম্প পেপারের আসল নথি তলব করে ৷ প্রশ্ন তোলে, স্ট্যাম্প বিক্রির সময় কেন ক্রেতাদের কাছ থেকে কোনও নথি নেওয়া হয়নি ৷

সঞ্জয়ের শর্মাকে পালটা শুভেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেনস, " আমরা ১১ অক্টোবর সিবিআইকে সমস্ত নথি জমা দিয়েছি ৷ সঞ্জয়বাবু এফিডেভিটের ক্ষেত্রে যে ২০০ টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তার প্রেক্ষিতে বলতে পারি, তবে কি উকিলরা বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করবেন? মালদা মফ্‌ফসল শহর ৷ এখানে উকিলদের পারিশ্রমিক অনেক কম ৷ এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ৷ সঞ্জয়বাবু বরং নিজের দিকটি একটু দেখুন ৷ পরের দিকে তাকানোর তাঁর কোনও প্রয়োজন নেই ৷” সবমিলিয়ে স্ট্যাম্প দুর্নীতি নিয়ে বেশ সরগরম মালদা বার অ্যাসোসিয়েশন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.