মালদা, 9 ফেব্রুয়ারি : BJP ও তৃণমূলের সংঘর্ষে জখম দুই পক্ষের দু’জন৷ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের থানাপাড়া এলাকায়৷ জখম BJP কর্মী বর্তমানে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কর্মীকে৷ এই ঘটনায় দুই দলের পক্ষ থেকেই চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ৷ সুমিত সরকার নামে এক তৃণমূল কর্মীর অভিযোগ, “রাতে চাঁচল বইমেলার অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরছিলাম৷ সেই সময় দুই দুষ্কৃতী থানার সামনে আমার উপর চড়াও হয়৷ আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে৷ সেই সময় আমার সঙ্গে দলেরই এক কর্মী দেবা মণ্ডল ছিল৷ ও আমাকে বাঁচাতে যায়৷ তখন ওর হাতে ছুরির আঘাত লাগে৷ এই ঘটনায় আমরা চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি৷ আমি চাইব পুলিশ যেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়৷ যারা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছিল তাদের একজনের নাম প্রসেনজিৎ শর্মা৷ BJP করে৷ আমাদের পাড়াতেই তার বাড়ি৷ এর আগেও সে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে খারাপ ভাষায় সোশাল মিডিয়ায় লিখেছিল৷” দেবা মণ্ডল বলেন, “বইমেলা থেকে বাড়ি ফেরার সময় BJP কর্মী প্রসেনজিৎ শর্মা ধারালো অস্ত্র নিয়ে TMCP-র ব্লক সভাপতি সুমিত সরকারের উপর চড়াও হয়৷ বাধা দিতে গিয়ে আমার হাতে অস্ত্রের আঘাত লাগে ৷ হাতে সেলাইও পড়েছে৷ আমরা চাই, পুলিশ যেন প্রসেনজিৎ শর্মার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়৷”
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন, “রাতে বাড়ির কাছে পাড়ারই এক ভাই মদ্যপান করে গালিগালাজ করছিল৷ আমি বাধা দিই৷ তাকে বলি, সে যেন পাড়ায় এভাবে গালিগালাজ না করে৷ সেকথা শুনেই সে আমার উপর চড়াও হয়৷ প্রতিবাদ করলে সে ফোন করে তৃণমূলের লোকজনকে ডাকে৷ এরপরেই প্রায় 50-60 জন যুব ও ছাত্র তৃণমূল কর্মী আমার উপর হামলা শুরু করে৷ লোহার রড দিয়ে মাথায় মারার চেষ্টা করে৷ সেই আঘাত প্রতিহত করতে গিয়ে হাতের আঙুল ভেঙেছে৷ মাথাতেও তারা আঘাত করেছে৷ আমার বাবাকেও তারা ছেড়ে দেয়নি৷ আক্রমণ চালায় আমার বাড়িতেও৷ বরাবরই আমি BJP করি৷ সেই কারণেই হয়ত আমার উপর এই হামলা করা হয়েছে৷”
চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় দুই তরফেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে৷