মালদা, 8 জুলাই: ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পুলিশকর্মীর মৃত্যু ৷ মৃতের নাম প্রশান্ত কর্মকার ৷ তিনি কনস্টেবল পদে কর্মরত ৷ কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের মুন্সিটোলা গ্রামের 427 নম্বর বুথে ভোটের ডিউটি পড়েছিল 58 বছরের প্রশান্তবাবুর ৷ গতকাল ভোটকর্মীদের সঙ্গে তিনি বিকেলে বুথে যান ৷ রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ৷
তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়ার হয় স্থানীয় বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও চিকিৎসকরা তাঁকে বাঁচাতে পারেননি ৷ গতকাল রাতেই তাঁর মৃত্যু হয় ৷ প্রশান্তবাবুর বাড়ি মালদা শহরের ঘোড়াপীর এলাকায় ৷ এই ঘটনায় জেলার পুলিশমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রশান্তবাবু দীর্ঘদিন ধরেই হৃদরোগে ভুগছিলেন ৷ তবে গত কয়েকদিন ধরে তিনি সুস্থই ছিলেন ৷ গতকালও উৎসাহের সঙ্গেই তিনি ভোটের ডিউটিতে গিয়েছিলেন ৷ হঠাৎ কীভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলেন তা স্পষ্ট নয় পরিবারের কাছে।
এদিকে, সকাল 7টা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচন ৷ পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোটকর্মী সবাই নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় হিংসার ঘটনার উদাহরণ টেনে প্রতি বুথে অন্তত হাফ সেকশন অর্থাৎ দু'জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত কোঅর্ডিনেটর এবং বিএসএফের আইজি। সেই সঙ্গে বলেছিলেন, রাজ্য পুলিশকেও পাহারায় থাকতে হবে। শুক্রবার বাহিনী দেওয়া নিয়ে সেই সমস্ত প্রস্তাব মেনে নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করানোর দাবিতে প্রথম থেকেই সরব ছিল বিরোধীরা। পরে এই নিয়ে আইনি লড়াইয়ে সামিল হয় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। তার পরই বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠায় কমিশন।
আরও পড়ুন: ভোটের আগের রাতে বুথে তৃণমূল প্রার্থী, 'সৌজন্য সাক্ষাৎ' ঘিরে বিতর্কb