মালদা, 20 মে : জেলা থেকে পকসোর রিপোর্ট যাচ্ছে না রাজ্য কমিশনে । বৈঠকে এসে এমনই ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী(Ananya Chakraborty)। জেলায় বাল্যবিবাহের হার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি ।
শুক্রবার দুপুরে ডিস্ট্রিক্ট ট্রেনিং সেন্টারে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন ও মালদা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাল্য বিবাহ, পকসো শিশু শ্রম নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয় । বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী , জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, অতিরিক্ত জেলাশাসক মৃদুল হালদার-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা । বৈঠকের শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন ।
তিনি জানান, মালদা জেলায় গত মাসে 31টি পকসো আইনে মামলা রুজু হলেও তাঁদের কাছে শুধুমাত্র একটি রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে । বাকি তথ্য তাঁরা সংবাদমাধ্যম ও অন্যান্য সূত্র থেকে পেয়েছেন । গত এক বছরে জেলায় প্রায় 2 হাজার 500 মেয়ের বাল্য বিবাহ হয়েছে । এ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি । পাশাপাশি আলোচনায় উঠে আসে শিশুদের হোমের কথাও । জেলায় মেয়েদের থাকার জন্য হোম থাকলেও ছেলেদের জন্য সেই ব্যবস্থা নেই । মেয়েদের হোমেও সুপারিনটেনডেন্টের প্রয়োজনের কথাও উঠে আসে । সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, “দু’বছর লকডাউন থাকার পর জেলার বাচ্চাদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে । বাল্যবিবাহ, পকসো, শিশু শ্রম, শিশু পাচার, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের হার কীভাবে সামাল দেওয়া হচ্ছে এসব নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে । জেলা থেকে রাজ্য কমিশনে পকসো রিপোর্ট না পাঠানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আজ পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । এখন থেকে যাতে নিয়মিত কমিশনে রিপোর্ট পৌঁছয় তা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে ।"
আরও পড়ুন : ধর্ষণের অভিযোগে পকসো আইনে অভিযুক্তের দশ বছরের জেল ও জরিমানা
তিনি আরও বলেন, "হোম নিয়ে সেরকম সমস্যা না থাকলেও সেখানে আরও আধিকারিকের প্রয়োজন রয়েছে । জেলার বাল্যবিবাহের হার যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় । তবে লকডাউনে সারা ভারতবর্ষে বাল্যবিবাহের হার বেড়েছে । আমাদের রাজ্য রিপোর্ট হয় বলেই এই তথ্য সামনে আসছে। অনেক রাজ্যে এসব রিপোর্ট হয় না । দারিদ্র ও অশিক্ষার কারণেই বাল্যবিবাহের হার বাড়ছে । জেলাতে শিশু শ্রমের ঘটনাও রয়েছে । এক্ষেত্রেও শিক্ষার যোগ রয়েছে ।"