ETV Bharat / state

মা প্রকল্পে খাওয়ার জন্য ভিড় বাড়ছে মালদা শহরে

ব্যাপক সাড়া মিলেছে মা প্রকল্পে ৷ মালদাতেও এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে উপভোক্তারা ৷ খালি পেটে যাতে উপভোক্তাদের ফিরতে না হয়, সেজন্য বসার আসন সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভা ৷

মা প্রকল্পে খাওয়ার জন্য ভিড় বাড়ছে মালদা শহরে
মা প্রকল্পে খাওয়ার জন্য ভিড় বাড়ছে মালদা শহরে
author img

By

Published : Feb 19, 2021, 5:10 PM IST

মালদা, 19 ফেব্রুয়ারি : মা রান্নাঘর ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন সরকারি প্রকল্প ৷ 5 টাকায় মিলবে পেটভরতি খাবার ৷ এই প্রকল্পে খাবার সুবিধা মিলছে কলকাতা ও শহরতলিগুলিতে ৷ মালদা শহরেও চলছে এই প্রকল্প ৷ গত কয়েকদিন ধরে এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে মালদা শহরে ৷ এমনটাই জানাচ্ছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার স্পেশাল অফিসার। আর খেতে এসে যাতে উপভোক্তাদের খালি পেটে ফিরতে না হয়, সেজন্য আসন সংখ্যা বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি ৷

রাজ্যজুড়ে ভার্চুয়ালি মা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের অধীনে মালদা শহরের ভবানী মোড়ে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। দিনের পর দিন এই পরিষেবা নিতে আসা উপভোক্তাদের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে । গত পরশু মালদা শহরের এই কেন্দ্রে 170 জন খাবার খেয়েছেন । গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল 205 । আজ ওই কেন্দ্রে 250 জনের জন্য রান্না করা হয়েছে ।

স্থানীয় একটি মিলের কর্মী সুমন দাস এসেছিলেন এই প্রকল্পের সুবিধে নিতে। তিনি বলেন, “আজ আমি পাঁচ টাকার বিনিময়ে ভাত, ডাল, নিরামিষ তরকারি ও ডিম খেলাম। আগে আমাদের মোটা টাকায় হোটেলে খেতে হত। এখন সরকারি উদ্যোগে পাঁচ টাকায় খাবার খাচ্ছি । খাবারের গুণগত মানও ভালো ছিল। আগামী দিনেও এই সুবিধে পেলে আমাদের মতো গরিব মানুষদের অনেক সুবিধে হবে ।” একই বক্তব্য দিনমজুর ধনঞ্জয় মণ্ডলের। তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত পাওয়া বিশাল ব্যাপার। সরকারি এই প্রকল্পে আমাদের মতো দুস্থ পরিবারের অনেক সাহায্য হচ্ছে ।”

ইংরেজবাজার পৌরসভার স্পেশাল অফিসার চন্দন গুহ

আরও পড়ুন :রাসবিহারী কেন্দ্রে মা ক্যান্টিনের উদ্বোধন

ইংরেজবাজার পৌরসভার স্পেশাল অফিসার চন্দন গুহ বলেন, “প্রতিদিন গড়ে 150 থেকে 200 জন খাবার খাচ্ছে । গত পরশু 170 জন খাবার খেয়েছেন । গতকাল 205 জনকে খাবার খাওয়ানো হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, খাবার খেতে আসা লোকের সংখ্যা বাড়ছে। এই প্রকল্পের যত প্রচার হচ্ছে, তত দুস্থ মানুষ খাবার জন্য এগিয়ে আসছে । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খাবার সময় দুপুর 1 টা থেকে 2 টা । প্রতিদিন সময়মতো কাজ শুরু হচ্ছে । সময়ের কারণে খেতে না পেয়ে ঘুরে যাওয়ার খবর আমার কাছে নেই। তবে যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে তা অত্যন্ত দু:খজনক । আমরা একেকদিন সাড়ে তিনটা পর্যন্ত খাবার খাইয়েছি। কিন্তু তার পরে আর চালানো যায় না। এখানে আপাতত বসার আসন সংখ্যা 30। তবে ভিড় থাকলে আমরা নিচে বসিয়েও খাওয়াচ্ছি । উপভোক্তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে আসন সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে ।”

মালদা, 19 ফেব্রুয়ারি : মা রান্নাঘর ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন সরকারি প্রকল্প ৷ 5 টাকায় মিলবে পেটভরতি খাবার ৷ এই প্রকল্পে খাবার সুবিধা মিলছে কলকাতা ও শহরতলিগুলিতে ৷ মালদা শহরেও চলছে এই প্রকল্প ৷ গত কয়েকদিন ধরে এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে মালদা শহরে ৷ এমনটাই জানাচ্ছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার স্পেশাল অফিসার। আর খেতে এসে যাতে উপভোক্তাদের খালি পেটে ফিরতে না হয়, সেজন্য আসন সংখ্যা বৃদ্ধির চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি ৷

রাজ্যজুড়ে ভার্চুয়ালি মা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের অধীনে মালদা শহরের ভবানী মোড়ে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। দিনের পর দিন এই পরিষেবা নিতে আসা উপভোক্তাদের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলেছে । গত পরশু মালদা শহরের এই কেন্দ্রে 170 জন খাবার খেয়েছেন । গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল 205 । আজ ওই কেন্দ্রে 250 জনের জন্য রান্না করা হয়েছে ।

স্থানীয় একটি মিলের কর্মী সুমন দাস এসেছিলেন এই প্রকল্পের সুবিধে নিতে। তিনি বলেন, “আজ আমি পাঁচ টাকার বিনিময়ে ভাত, ডাল, নিরামিষ তরকারি ও ডিম খেলাম। আগে আমাদের মোটা টাকায় হোটেলে খেতে হত। এখন সরকারি উদ্যোগে পাঁচ টাকায় খাবার খাচ্ছি । খাবারের গুণগত মানও ভালো ছিল। আগামী দিনেও এই সুবিধে পেলে আমাদের মতো গরিব মানুষদের অনেক সুবিধে হবে ।” একই বক্তব্য দিনমজুর ধনঞ্জয় মণ্ডলের। তিনি বলেন, “বর্তমান সময়ে পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত পাওয়া বিশাল ব্যাপার। সরকারি এই প্রকল্পে আমাদের মতো দুস্থ পরিবারের অনেক সাহায্য হচ্ছে ।”

ইংরেজবাজার পৌরসভার স্পেশাল অফিসার চন্দন গুহ

আরও পড়ুন :রাসবিহারী কেন্দ্রে মা ক্যান্টিনের উদ্বোধন

ইংরেজবাজার পৌরসভার স্পেশাল অফিসার চন্দন গুহ বলেন, “প্রতিদিন গড়ে 150 থেকে 200 জন খাবার খাচ্ছে । গত পরশু 170 জন খাবার খেয়েছেন । গতকাল 205 জনকে খাবার খাওয়ানো হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, খাবার খেতে আসা লোকের সংখ্যা বাড়ছে। এই প্রকল্পের যত প্রচার হচ্ছে, তত দুস্থ মানুষ খাবার জন্য এগিয়ে আসছে । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী খাবার সময় দুপুর 1 টা থেকে 2 টা । প্রতিদিন সময়মতো কাজ শুরু হচ্ছে । সময়ের কারণে খেতে না পেয়ে ঘুরে যাওয়ার খবর আমার কাছে নেই। তবে যদি এমনটা হয়ে থাকে তবে তা অত্যন্ত দু:খজনক । আমরা একেকদিন সাড়ে তিনটা পর্যন্ত খাবার খাইয়েছি। কিন্তু তার পরে আর চালানো যায় না। এখানে আপাতত বসার আসন সংখ্যা 30। তবে ভিড় থাকলে আমরা নিচে বসিয়েও খাওয়াচ্ছি । উপভোক্তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে আসন সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.