ETV Bharat / state

চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের মার, গ্রেপ্তার 2 - negligence

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্সদের বেধড়ক মারধর করল রোগীর পরিবারের সদস্যরা । এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।

হেপাজুদ্দিন
author img

By

Published : Apr 19, 2019, 12:51 PM IST

মালদা, 19 এপ্রিল : চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসক ও নার্সদের বেধড়ক মারধর করল রোগীর পরিবারের সদস্যরা । ঘটনাটি রতুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের । খবর পয়ে ঘটনাস্থানে যায় রতুয়া থানার পুলিশ। তারা CCTV ফুটেজ দেখে মৃতের দুই ভাই সালাউদ্দিন ও সাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে । আজ তাদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে ।

প্রসঙ্গত, গতকাল দুপুরে বাইক চেপে সামসী কলেজ মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন হেপাজুদ্দিন(২৫) । সেসময় ব্যাঙ্ক মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক-সহ রাস্তায় পড়ে যান তিনি । স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে রতুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান । সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবর আলি । এরপর রাতে মৃত্যু হয় হেপাজুদ্দিনের । ঘটনার পর
চিকিৎসায় গাফিলতিতে হেপাজুদ্দিনের মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের বেধড়ক মারধর করে হেপাজুদ্দিনের পরিবারের লোকজন ।

আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনেকক্ষণ পর হেপাজুদ্দিনের চিকিৎসা শুরু হয় । হেপাজুদ্দিনের আঘাত লেগেছিল বাঁ পায়ে। একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর তাঁর অবস্থায় অবনতি হয় । রাতে মারা যান ।
হেপাজুদ্দিনের মৃত্যুর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বর । স্থানীয় বাসিন্দারা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন । ঘটনার পর স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্তা হুমকি দেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, নাহলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মবিরতি পালন করা হবে।

রতুয়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মাসুদ রহমান বলেন, "হেপাজুদ্দিনের যথাযথ চিকিৎসা হয়েছে । স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মজুত ওষুধপত্রই তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে ইনজেকশনও দেওয়া হয়। কিন্তু, রাতে মৃত্যু হয় । এরপরে মৃতের বাড়ির লোকজন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে । এই ঘটনার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । প্রশাসন ও পুলিশকে দু'দিন সময় দিয়েছি। এর মধ্যে অরপাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কর্মবিরতিতে নামতে বাধ্য হব।"

মালদা, 19 এপ্রিল : চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে চিকিৎসক ও নার্সদের বেধড়ক মারধর করল রোগীর পরিবারের সদস্যরা । ঘটনাটি রতুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের । খবর পয়ে ঘটনাস্থানে যায় রতুয়া থানার পুলিশ। তারা CCTV ফুটেজ দেখে মৃতের দুই ভাই সালাউদ্দিন ও সাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে । আজ তাদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে ।

প্রসঙ্গত, গতকাল দুপুরে বাইক চেপে সামসী কলেজ মাঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন হেপাজুদ্দিন(২৫) । সেসময় ব্যাঙ্ক মোড়ের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক-সহ রাস্তায় পড়ে যান তিনি । স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে রতুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান । সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবর আলি । এরপর রাতে মৃত্যু হয় হেপাজুদ্দিনের । ঘটনার পর
চিকিৎসায় গাফিলতিতে হেপাজুদ্দিনের মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের বেধড়ক মারধর করে হেপাজুদ্দিনের পরিবারের লোকজন ।

আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনেকক্ষণ পর হেপাজুদ্দিনের চিকিৎসা শুরু হয় । হেপাজুদ্দিনের আঘাত লেগেছিল বাঁ পায়ে। একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর তাঁর অবস্থায় অবনতি হয় । রাতে মারা যান ।
হেপাজুদ্দিনের মৃত্যুর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বর । স্থানীয় বাসিন্দারা পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন । ঘটনার পর স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্তা হুমকি দেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, নাহলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মবিরতি পালন করা হবে।

রতুয়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মাসুদ রহমান বলেন, "হেপাজুদ্দিনের যথাযথ চিকিৎসা হয়েছে । স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মজুত ওষুধপত্রই তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে ইনজেকশনও দেওয়া হয়। কিন্তু, রাতে মৃত্যু হয় । এরপরে মৃতের বাড়ির লোকজন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে । এই ঘটনার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । প্রশাসন ও পুলিশকে দু'দিন সময় দিয়েছি। এর মধ্যে অরপাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে কর্মবিরতিতে নামতে বাধ্য হব।"

Intro:মালদা, ১৯ এপ্রিলঃ মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার পথে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক তৃণমূলকর্মীর৷ গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে রতুয়া থানার সামসি এলাকায়৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃতের পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্সদের বেধড়ক মারধর করে৷ এই ঘটনায় আপাতত দুজনকে গ্রেফতার করেছে রতুয়া থানার পুলিশ৷ এলাকার স্বাস্থ্যকর্তা হুমকি দিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিগ্রহের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতার না করা হলে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মবিরতি পালন করা হবে৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মালদা জেলায় উপস্থিত থাকাকালীন এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনিক মহলে৷Body:মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম হেপাজুদ্দিন৷ বয়স আনুমানিক ২৫ বছর৷ তিনি পেশায় ট্র্যাক্টর চালক৷ বাড়ি বিলাইমারি গ্রামপঞ্চায়েতের রুহিমারি গ্রামে৷ এলাকায় সক্রিয় তৃণমূলকর্মী হিসাবে পরিচিত তিনি৷ গতকাল দুপুরে বাইক নিয়ে তিনি সামসী কলেজ মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন৷ পথে ভাদো ব্যাংক মোড় এলাকায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি৷ বাইক সহ রাস্তায় পড়ে যান৷ তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় রতুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় এলাকার মানুষজন৷ কিছুক্ষণ পরেই তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবর আলি৷ রাতে মৃত্যু হয় হেপাজুদ্দিনের৷
হেপাজুদ্দিনের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে হেপাজুদ্দিনের৷ আহত অবস্থায় তাঁকে তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও অনেক পরে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়৷ সবচেয়ে বড়ো কথা হেপাজুদ্দিনের মূল আঘাত লেগেছিল বাম পায়ে৷ একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর তাঁর অবস্থায় অবনতি হয়৷ শেষ পর্যন্ত রাতে মারা যান তিনি৷
এদিকে হেপাজুদ্দিনের মৃত্যুর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বর৷ পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও নার্সদের বেধড়ক মারধর করে৷ স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় রতুয়া থানার পুলিশও৷ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশ৷ তারই ভিত্তিতে গতকাল রাতে গ্রেফতার করা হয় হেপাজুদ্দিনের দুই ভাই সালাউদ্দিন ও সাহাবুদ্দিনকে৷ আজ তাদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে৷
Conclusion:রতুয়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মাসুদ রহমান জানিয়েছেন, আহত হেপাজুদ্দিনের যথাযথ চিকিৎসা হয়েছে৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মজুত থাকা ওষুধপত্র তাঁকে দেওয়া হয়েছিল৷ তাঁকে ইনজেকশনও দেওয়া হয়৷ রাতে তাঁর মৃত্যু হয়৷ এরপরেই মৃতের বাড়ির লোকজন চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বেধড়ক মারধর করে৷ এই ঘটনার তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন৷ তাঁরা প্রশাসন ও পুলিশকে দুদিন সময় দিয়েছেন৷ এর মধ্যে সব হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে তাঁরা কর্মবিরতিতে নামতে বাধ্য হবেন৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.