ETV Bharat / state

দিদির দেওরের সঙ্গে সম্পর্ক! মেয়েকে খুন করে জলে ফেলে দিলেন বাবা-মা - mom

মেয়েকে খুন করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দম্পতির বিরুদ্ধে ৷ আজ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুরে ।

মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর
author img

By

Published : Jul 6, 2019, 6:12 PM IST


মালদা, 6 জুলাই : নৌকাটা তখন মাঝ নদীতে । ঝপাৎ শব্দে চমকে উঠেছিলেন মাঝিও । শুধু বুঝেছিলেন, তাঁর নৌকা থেকেই কিছু একটা ফেলা হয়েছে জলে । নৌকায় তখন শুধুই ওই দম্পতি । সন্দেহের বশেই দম্পত্তির দিকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন প্রশ্নটা । কিছুটা ঝাঁঝালো সুরেই । প্রথমে আমতা আমতা করলেও বেশিক্ষণ চুপ থাকতে পারেননি । মাঝির বার বার প্রশ্নে ভেঙে পড়েন তাঁরা । স্বীকার করেন, বস্তায় ছিল তাঁদের মেয়ের দেহ । যাকে খুন করে জলে ভাসিয়ে দিয়েছেন তাঁরাই ।

ঘটনাটি মালদার মানিকচকের মহেন্দ্রটোলা গ্রামের । এই গ্রামেরই বাসিন্দা ধীরেন মণ্ডলের পেশায় কৃষক । স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ছোট সংসার । বড় মেয়ে পার্বতী ও ছোটো মেয়ে প্রতিমা । বছর কয়েক আগে পার্বতীর বিয়ে হয় । এই পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল । কিন্তু, পার্বতীর দেওরের সঙ্গে সখ্যতা জমেছিল প্রতিমার । সখ্যতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে । কিন্তু, প্রতিমার এই সম্পর্ক মানতে চাননি ধীরেন বা তাঁর স্ত্রী সুমতি । সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মেয়েকে চাপ দিলেও মেয়ে তা শোনেনি ।

murder
গঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছন মেয়ের দেহ

আজ জেরায় ধীরেন স্বীকার করেন, গত রাতেও মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা । আলোচনা ক্রমেই মাত্রা ছাড়ায় । রাগের মাথায় মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁরা । খুনের পর মেয়ের দেহকে বস্তায় মুড়ে ফেলেন । তার পর আজ সকালে স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মেয়ের বস্তা বন্দি দেহ সাইকেলে চাপিয়ে প্রথমে গঙ্গার ধারে নিয়ে আসেন তাঁরা । নৌকা ভাড়া করেন । মাঝিকে বলেছিলেন, গঙ্গা পার করে দেওয়ার জন্য । কিন্তু, মাঝ গঙ্গায় গিয়ে বস্তা ফেলে দেওয়ার পরই 'দুধ কা দুধ, পানি কা পানি' হয়ে যায় ।

dead
প্রতিমার মৃতদেহের খোঁজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর

দম্পতির কথা শোনার পর নৌকা ঘাটে ফিরিয়ে আনেন মাঝি ৷ খবর দেওয়া যায় স্থানীয়দের । খবর দেওয়া হয় ভূতনি থানার পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয় সুমতি ও ধীরেন । নিজের দোষ স্বীকার করেন তাঁরা । পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন মালদা জেলা আদালতের বিচারক ।

অন্যদিকে, প্রতিমার মৃতদেহের খোঁজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে (NDRF) খবর দেওয়া হয় । তল্লাশি শুরু করে NDRF বাহিনী।


মালদা, 6 জুলাই : নৌকাটা তখন মাঝ নদীতে । ঝপাৎ শব্দে চমকে উঠেছিলেন মাঝিও । শুধু বুঝেছিলেন, তাঁর নৌকা থেকেই কিছু একটা ফেলা হয়েছে জলে । নৌকায় তখন শুধুই ওই দম্পতি । সন্দেহের বশেই দম্পত্তির দিকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন প্রশ্নটা । কিছুটা ঝাঁঝালো সুরেই । প্রথমে আমতা আমতা করলেও বেশিক্ষণ চুপ থাকতে পারেননি । মাঝির বার বার প্রশ্নে ভেঙে পড়েন তাঁরা । স্বীকার করেন, বস্তায় ছিল তাঁদের মেয়ের দেহ । যাকে খুন করে জলে ভাসিয়ে দিয়েছেন তাঁরাই ।

ঘটনাটি মালদার মানিকচকের মহেন্দ্রটোলা গ্রামের । এই গ্রামেরই বাসিন্দা ধীরেন মণ্ডলের পেশায় কৃষক । স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ছোট সংসার । বড় মেয়ে পার্বতী ও ছোটো মেয়ে প্রতিমা । বছর কয়েক আগে পার্বতীর বিয়ে হয় । এই পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল । কিন্তু, পার্বতীর দেওরের সঙ্গে সখ্যতা জমেছিল প্রতিমার । সখ্যতা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে । কিন্তু, প্রতিমার এই সম্পর্ক মানতে চাননি ধীরেন বা তাঁর স্ত্রী সুমতি । সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মেয়েকে চাপ দিলেও মেয়ে তা শোনেনি ।

murder
গঙ্গা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছন মেয়ের দেহ

আজ জেরায় ধীরেন স্বীকার করেন, গত রাতেও মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা । আলোচনা ক্রমেই মাত্রা ছাড়ায় । রাগের মাথায় মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তাঁরা । খুনের পর মেয়ের দেহকে বস্তায় মুড়ে ফেলেন । তার পর আজ সকালে স্বামী-স্ত্রী দু'জনে মেয়ের বস্তা বন্দি দেহ সাইকেলে চাপিয়ে প্রথমে গঙ্গার ধারে নিয়ে আসেন তাঁরা । নৌকা ভাড়া করেন । মাঝিকে বলেছিলেন, গঙ্গা পার করে দেওয়ার জন্য । কিন্তু, মাঝ গঙ্গায় গিয়ে বস্তা ফেলে দেওয়ার পরই 'দুধ কা দুধ, পানি কা পানি' হয়ে যায় ।

dead
প্রতিমার মৃতদেহের খোঁজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর

দম্পতির কথা শোনার পর নৌকা ঘাটে ফিরিয়ে আনেন মাঝি ৷ খবর দেওয়া যায় স্থানীয়দের । খবর দেওয়া হয় ভূতনি থানার পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয় সুমতি ও ধীরেন । নিজের দোষ স্বীকার করেন তাঁরা । পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন মালদা জেলা আদালতের বিচারক ।

অন্যদিকে, প্রতিমার মৃতদেহের খোঁজে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে (NDRF) খবর দেওয়া হয় । তল্লাশি শুরু করে NDRF বাহিনী।

Intro:মালদা, ৬ জুলাই : মেয়েকে খুন করে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে৷ আজ ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেন্দ্রটোলা গ্রামে৷ খবর পেয়ে অভিযুক্ত বাবা-মাকে গ্রেফতার করেছে ভূতনি থানার পুলিশ৷ ধৃতদের আজ মালদা জেলা আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে৷ তবে ওই যুবতির মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি৷Body:         মৃত যুবতির নাম প্রতিমা মণ্ডল৷ বয়স ১৮ বছর হলেও তিনি স্থানীয় একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়তেন৷ তাঁর বাবা ধীরেন মণ্ডল পেশায় কৃষক৷ মা সুমতি মণ্ডল সাধারণ গৃহবধূ৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রতিমা তাঁরই দিদির দেওরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ দিদির শ্বশুরবাড়ি পাশের গ্রামে৷ মেয়ের এই প্রেম মেনে নিতে পারেননি ধীরেনবাবু ও সুমতিদেবী৷ তাঁরা মেয়েকে এই প্রেম থেকে সরে আসতে বলেন৷ কিন্তু মেয়ে তাঁদের সাফ জানিয়ে দেয়, তাঁর পক্ষে একথা মানা সম্ভব নয়৷ এনিয়ে ধীরেনবাবুদের বাড়িতে কিছুদিন থেকে পারিবারিক সমস্যা চলছিল৷
         ভূতনি থানার পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকালে ধীরেনবাবু ও তাঁর স্ত্রী সাইকেলে একটি বস্তা চাপিয়ে গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যান৷ একটি নৌকায় সাইকেল সহ বস্তাটি তোলেন তাঁরা৷ মাঝিকে বলেন, তাঁরা গঙ্গার ওপারে যাবেন৷ নৌকা মাঝগঙ্গায় পৌঁছোলে তাঁরা বস্তাটি সেখানে ফেলে দেন৷ মুহূর্তের মধ্যে বস্তাটি গঙ্গায় তলিয়ে যায়৷ এরপর মাঝি তাঁদের এনিয়ে চেপে ধরলে তাঁরা জানান, মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তাঁরা তার দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিলেন৷ সেকথা শুনে মাঝি ফের নৌকা ঘাটে ফিরিয়ে আনে৷ মাঝির কাছ থেকে খবর পেয়ে গ্রামবাসীরা মণ্ডল দম্পতিকে চেপে ধরেন৷ খবর পেয়ে পুলিশও সেখানে পৌঁছোয়৷ পুলিশ মণ্ডল দম্পতিকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে থানায় আনে৷ পুলিশের জেরার সামনে মণ্ডল দম্পতি নিজেদের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করেন৷ এরপরেই প্রতিমা মণ্ডলের দেহের খোঁজ পেতে খবর দেওয়া হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে৷ খবর পেয়ে এনডিআরএফ-এর জওয়ানরা গঙ্গায় তল্লাশি শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত প্রতিমার দেহের খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ তল্লাশি এখনও জারি রয়েছে৷ তবে গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রামবাসীরা৷ তাঁরা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেননি৷
Conclusion:         এদিকে এই ঘটনায় ভূতনি থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণেদিত হয়ে ধীরেন মণ্ডল ও সুমতি মণ্ডলের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ৩০২, ২০১ ও ১২০ বি ধারায় মামলা রুজু করেছে৷ ৭ দিনের হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আজ ধৃতদের জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৫ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.