ETV Bharat / state

মালদায় একাধিক বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি বিরোধীদের - bjp

উত্তর মালদা কেন্দ্রে মোট ৩১টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলল কংগ্রেস । এদিকে, CPI(M)-র পক্ষ থেকেও উত্তর মালদার ২৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে ।

বিরোধী
author img

By

Published : Apr 24, 2019, 7:42 PM IST

মালদা, 24 এপ্রিল : উত্তর মালদা কেন্দ্রে মোট ৩১টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলল কংগ্রেস । কেন্দ্রীয় বাহিনী BJP-র হয়ে মালদা জেলায় ভোট করাচ্ছে, তৃণমূলের এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি । এদিকে, CPI(M)-র পক্ষ থেকেও উত্তর মালদার ২৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে ।

আজ দুপুরে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা কংগ্রেস কার্যালয় হায়াতভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম । সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালদার দুই কেন্দ্রের প্রার্থী আবু হাসেন খান চৌধুরি, ইশা খান চৌধুরি । ছিলেন মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম ও পুরাতন মালদার বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার ।

সেখানে মোস্তাক আলম বলেন, "গতকাল মালদার মানুষ শাসকদলের সন্ত্রাস রুখে দিয়েছে । মানুষ যাতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমরা সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিলাম । সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না । যে সব বুথে রাজ্য পুলিশ ছিল, সেই বুথগুলিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে । সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলিতে সন্ত্রাস রুখতে সাহায্য করেছে । ভোটের ঠিক আগে পুলিশ সুপারকে অপসারণ করা হয়েছিল, এটা সাধারণ মানুষের জয় । তৃণমূলের মন্ত্রীকে এবার মানুষ উচিত শিক্ষা দিয়েছে । পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি যে লুট করেছেন তার যোগ্য জবাব মানুষ দিয়েছে । আগামী ২৩ মে তিনি তা বুঝতে পারবেন । ওর বাবা গনি খান চৌধুরিকে মেনে চলতেন । আর উনি গনি খান চৌধুরির মাটিতে এসে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন । রতুয়ায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে, বুথ দখল করেছে । রতুয়ার ২৯টি বুথে, চাঁচলের ২টি বুথে ছাপ্পা চালিয়েছে তৃণমূল । আমরা এই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি ।"

কেন্দ্রীয় বাহিনী BJP-র হয়ে ভোট করাচ্ছে, তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মোস্তাক আলম বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী BJP-র হয়ে ভোট করেছে এসব ফালতু কথা বলে লাভ নেই । কেন্দ্রীয় বাহিনী BJP-র হয়ে কেন ভোট করবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দিয়েছে । মানুষ দিদির বিরুদ্ধে গিয়ে BJP-কে ভোট দিয়েছে । রতুয়ার দু-একটি জায়গায় তৃণমূলের লোকজন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বোতল আর মুরগি দিয়েছে । সেই দু-একটি জায়গা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে ।"

এদিকে, গতকাল রাতেই CPI(M)-র পক্ষ থেকে উত্তর মালদার ২৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে । রতুয়ার ২৪টি বুথ ও চাঁচলের ২টি বুথে সন্ত্রাসের সঙ্গে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে CPI(M) ।

মালদা, 24 এপ্রিল : উত্তর মালদা কেন্দ্রে মোট ৩১টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলল কংগ্রেস । কেন্দ্রীয় বাহিনী BJP-র হয়ে মালদা জেলায় ভোট করাচ্ছে, তৃণমূলের এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি । এদিকে, CPI(M)-র পক্ষ থেকেও উত্তর মালদার ২৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে ।

আজ দুপুরে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলা কংগ্রেস কার্যালয় হায়াতভবনে সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম । সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালদার দুই কেন্দ্রের প্রার্থী আবু হাসেন খান চৌধুরি, ইশা খান চৌধুরি । ছিলেন মানিকচকের বিধায়ক মোত্তাকিন আলম ও পুরাতন মালদার বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার ।

সেখানে মোস্তাক আলম বলেন, "গতকাল মালদার মানুষ শাসকদলের সন্ত্রাস রুখে দিয়েছে । মানুষ যাতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তার জন্য কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমরা সমস্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিলাম । সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না । যে সব বুথে রাজ্য পুলিশ ছিল, সেই বুথগুলিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে । সাধারণ মানুষের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলিতে সন্ত্রাস রুখতে সাহায্য করেছে । ভোটের ঠিক আগে পুলিশ সুপারকে অপসারণ করা হয়েছিল, এটা সাধারণ মানুষের জয় । তৃণমূলের মন্ত্রীকে এবার মানুষ উচিত শিক্ষা দিয়েছে । পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি যে লুট করেছেন তার যোগ্য জবাব মানুষ দিয়েছে । আগামী ২৩ মে তিনি তা বুঝতে পারবেন । ওর বাবা গনি খান চৌধুরিকে মেনে চলতেন । আর উনি গনি খান চৌধুরির মাটিতে এসে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছেন । রতুয়ায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে, বুথ দখল করেছে । রতুয়ার ২৯টি বুথে, চাঁচলের ২টি বুথে ছাপ্পা চালিয়েছে তৃণমূল । আমরা এই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি ।"

কেন্দ্রীয় বাহিনী BJP-র হয়ে ভোট করাচ্ছে, তৃণমূলের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মোস্তাক আলম বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী BJP-র হয়ে ভোট করেছে এসব ফালতু কথা বলে লাভ নেই । কেন্দ্রীয় বাহিনী BJP-র হয়ে কেন ভোট করবে? কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দিয়েছে । মানুষ দিদির বিরুদ্ধে গিয়ে BJP-কে ভোট দিয়েছে । রতুয়ার দু-একটি জায়গায় তৃণমূলের লোকজন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বোতল আর মুরগি দিয়েছে । সেই দু-একটি জায়গা ছাড়া ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে ।"

এদিকে, গতকাল রাতেই CPI(M)-র পক্ষ থেকে উত্তর মালদার ২৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে । রতুয়ার ২৪টি বুথ ও চাঁচলের ২টি বুথে সন্ত্রাসের সঙ্গে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে CPI(M) ।

রায়গঞ্জ, ২২ এপ্রিল, প্রসুন মৈত্র : ভোটের বাজারে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদের জনসভার পাশাপাশি ভোট কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার গাড়িগুলি থাকায় চাষের জমিতে পরিনত হয়েছে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামটি। এই স্টেডিয়ামে প্রতিনিয়ত ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেট প্রশিক্ষন নেওয়া হয়। জেলার ক্ষুদে প্রতিভাদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আগামীদিনের প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়াবিদরূপে গড়ে তোলার কারখানা হল এই রায়গঞ্জ স্টেডিয়াম। সেই মাঠটি বর্তমানে খানা খন্দে ভরে গিয়েছে। অবিলম্বে মাঠ সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রীড়াবিদরা। উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে সরকারী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদের নির্বাচনী জনসভা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। এবারে মাঠখুঁড়ে বানানো হয়েছিল বড় প্যান্ডেলও। এমনকী বিজেপি নেতাদের জন্য হেলিপ্যাড বানানো হয়েছিল স্টেডিয়াম সংলগ্ন জায়গায়। স্বাভাবিক কারনেই মাঠের ঘাস খেলার অযোগ্য, আউটফিল্ড এবড়োখেবড়ো, বৃষ্টির জলে কর্দমাক্ত মাঠ। মাস খানেক আগে প্রতিবাদ ক্লাব তারা তাদের নৈশালোক ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্য মাঠ সংস্কারে হাত দিয়েছিল। কিছুটা হলেও হাল ফিরেছিল মাঠের। কিন্তু গত একমাসে নেতা-মন্ত্রীদের দাপাদাপিতে মাঠ বড় গর্ত আর নোংরা-আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। জনসভার কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও মাঠ সংস্কারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচনে ভোট কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার গাড়িগুলিও এখানে ছিল। তার ফলে মাঠে অবস্থা আর খারাপ হয়ে পরে রয়েছে। কিভাবে এই মাঠ এখন ঠিক হবে তা এখন দেখার। প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ কৃষ্ণেন্দু রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, এখন স্টেডিয়ামটি চাষের ক্ষেত থেকেও খারাপ অবস্থায় আছে। প্রশাসনের গাফিলতির কারনে আজ মাঠের এই অবস্থ। প্রশাসন এই মাঠটিকে সম্পর্নভাবে সংস্কার করে আগের মতো অবস্থায় না নিয়ে আসে তাহলে আগামীতে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে জাবার হুমকি দিয়েছেন তিনি। আমাদের দাবি স্টেডিয়ামে খেলা ছাড়া আর কোন অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা যাতে না হয় বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক সুদীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, এখনো নির্বাচনী বিভিন্ন কাজ চলছে। ফলে মাঠের যা অবস্থা আছে তাতে খেলাধুলা করা যাবে না। রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামটার বহু ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সুদীপবাবু। আগামী ২৩ তারিখে বালুরঘাট লোকসভা নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন হলে আমরা স্টেডিয়ামের মাঠ সংস্কারের জন্য প্রশাসনকে জানিয়ে কিভাবে আগের মতো অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.