মালদা, 21 জুন: মনে হচ্ছে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া রাজ্যে শান্তি আসবে না ৷ মালদায় এ কথা বলে আবারও রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন (Presidential Rule) জারি নিয়ে জল্পনা উসকে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ এখন উগ্রপন্থীদের গড় হয়ে গিয়েছে ৷ রাজ্যের অনেক গ্রামে উগ্রপন্থীদের মডিউল তৈরি হয়েছে ৷ রাজ্য সরকার সব জানে ৷ রাজনীতির জন্য কিছু করে না ৷’’
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় সফরে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ গতকাল উত্তর দিনাজপুরে দলীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি ৷ আজ দক্ষিণ দিনাজপুরে সেই বৈঠক ছিল ৷ তবে মালদায় রাত্রিবাস করেন ৷ বিশ্ব যোগ দিবসে আজ সকালে তিনি দলের মালদা জেলা সদর দফতর শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভবনে যোগাসনে অংশ নেন ৷ তার আগে দিলীপবাবু সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন ৷
আরও পড়ুন: অভিনয় করি বলে এত সস্তা-ঘরভাঙানি নই, এটা আমার রক্তে নেই, নিরবতা ভাঙলেন শ্রীময়ী
তিনি বলেন, “এই জেলায় লুঙ্গিবাহিনী প্রকাশ্যে থানায় আগুন জ্বালাল, বাস-ট্রেন পোড়াল, স্টেশন পোড়াল, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করা হল না ৷ দেশদ্রোহীদের এখানে থাকার জায়গা দেওয়া হচ্ছে ৷ দলের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে ৷ বিদেশি একজন নাগরিক এখন রাজ্যের প্রধান দলের পদাধিকারী ৷ তাঁদের লোকজনই এ সব করাচ্ছে ৷ এঁদের অপশাসনে হতাশ হয়ে অনেক মানুষ উত্তরবঙ্গ ভাগের কথা বলছেন ৷ সরকার নিজের দায়িত্ব পালন করুক ৷ কাউকে দেশপ্রেম শেখাতে হবে না ৷ আমাদের বিরুদ্ধে এই সরকার 35 হাজার মামলা করেছে ৷ এতে সরকারের উপর থেকে মানুষের ভরসাটাই উঠে গিয়েছে ৷”
আরও পড়ুন: ভারতের করোনার ভ্যাকসিনেশন নিয়ে মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ জেপি নাড্ডা
আলিপুরদুয়ারে বিজেপির ভাঙনের বিষয়ে দিলীপবাবুর দাবি, তিনিও বিষয়টি শুনেছেন ৷ এ নিয়ে দলে কথাবার্তা চলছে ৷ অনেক কর্মকর্তা ভয়ে দল ছেড়ে পালাতে চাইছেন ৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথায়, “এখানে রাজ্যপালকেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা নিতে হয় ৷ আমাদেরও তা নিতে হচ্ছে ৷ সাধারণ মানুষ কিন্তু এখানে অসুরক্ষিত ৷ এ ভাবে এত মানুষকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব নয় ৷ সরকার রাজ্যবাসীকে সুরক্ষা দিতে পারছে না ৷ এখানকার 10 কোটি মানুষ নিজেদের অসুরক্ষিত মনে করছেন ৷ অনেকেরই মনে হচ্ছে, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া শান্তি আসবে না ৷ গোটা রাজ্য এখন উগ্রপন্থীদের গড় হয়ে গিয়েছে ৷ এই সরকার সব জানে ৷ কিন্তু তাদের গায়ে হাত দেয় না ৷ কারণ এরাই তাদের ভোটে জেতায় ৷ দেশের কোথাও এমন অশান্তি নেই ৷ কেন এখানে বারবার সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে ? কেন বাংলাদেশ থেকে উগ্রপন্থীরা এখানে এসে লুকিয়ে থাকে ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এর উত্তর দিতে হবে ৷’’ তাঁর অভিযোগ, মমতা এখানে উগ্রপন্থী ও সমাজবিরোধীদের রক্ষাকর্তা হয়ে গিয়েছেন ৷ তাঁর দল এদের আশ্রয় হয়ে গিয়েছে ৷ রাজ্যের অবস্থা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের মতো হয়ে যাচ্ছে ৷ রাজ্যের অনেক গ্রামে সিমি, আল কায়েদা, আইএস-এর লোকেরা এসে মডিউল তৈরি করেছে ৷ এখান থেকে তারা উগ্রপন্থী তৈরি করছে ৷ তাদের অনেকে বাইরেও গিয়েছে ৷