মালদা, 15 জুলাই: বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু মোটরবাইক চালকের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ইংরেজবাজারের মধুঘাট এলাকায়। উত্তেজিত জনতা ঘাতক বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাসের চালক পালানোর আগে বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে 12 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ও দমকলবাহিনী। ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনীও। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে সুজাপুরের ব্রহ্মোত্তরের বাসিন্দা মতিউল হক (27) ও রফিকুল শেখ মোটরবাইকে করে মালদা শহরের দিকে আসছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় একটি বেসরকারি বাস মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। ছিটকে পড়েন দু'জনেই। ঘাতক বাসটি মতিউল হকের উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। গুরুতর আহত হন রফিকুল। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা রফিকুলকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে পাঠান।
এদিকে, ঘটনার পর ঘাতক বাসের চালক পালিয়ে যায়। কোনও কারণবশত বাসে আগুন ধরে যায়। এরইমধ্যে ঘাতক বাস খানিক এগিয়ে গিয়েও একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ও দমকলবাহিনী। দমকের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃতদেহটিকে জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। তবে উত্তেজিত জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রতিবাদে তারা জাতীয় সড়ক অবরোধও করেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনার পর বাসে শর্ট-সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সেই কারণেই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি খানিকটা এগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আরও একটি মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। ইংরেজবাজার দমকল কেন্দ্রের অফিসার বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলেন, "একটি বেসরকারি বাস মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। উত্তেজিত জনতা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়।" স্থানীয় বাসিন্দা দিলবর আলম বলেন, "মোটরবাইকের পিছনে বাসটি ধাক্কা মারে। দু'জন রাস্তায় ছিটকে পড়েন। সেই সময় গাড়িটি চালকের উপর দিয়ে চলে যায়। ৷"
আরও পড়ুন: প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত মা ও মেয়ে-সহ 3, পলাতক অভিযুক্ত চালক