ETV Bharat / state

আমবাগানে ডেকে যুবককে বিষ খাইয়ে খুন, অভিযুক্ত প্রেমিকা সহ গ্রেপ্তার ২ - malda daily news

শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে কয়েকদিন আগে বাড়িতে আসে ভজো মহালদার (19)। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকারই এক কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার । অভিযোগ, সেই সময় ওই কিশোরী ভজোকে ফোন করে দেখা করতে বলে ৷ দেখা করার পর সে ভজোকে বলে তাকে বিয়ে করতে হবে । কিন্তু এই মুহূর্তে বিয়েতে রাজি ছিল না সে । সময় চেয়েছিল বলে ভজোর মা জানিয়েছেন । ভজোর মায়ের অভিযোগ, সে বিয়ে করতে এই মুহূর্তে রাজি না থাকায় ওই স্থানেই ভজোর প্রেমিকা সহ আরও তিনজন মিলে ভজোর জোর করে মুখ চেপে ধরে । তারপর বিষ খাইয়ে দেয় ৷

MALDA
MALDA
author img

By

Published : Feb 24, 2020, 2:07 AM IST

মালদা, 24 ফেব্রুয়ারি : পরে বিয়ের কথা বলায় বিষ খাইয়ে যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রেমিকা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৷ মৃতের নাম ভজো মহালদার (19)৷ মানিকচকের ধনরাজ গ্রামের ঘটনা ৷ শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে । যদিও শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই অভিযুক্ত প্রেমিকা সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে মানিকচক থানার পুলিশ ৷ গতকাল ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচদিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।

ভজো মহালদার পেশায় শ্রমিক ছিল ৷ বছরের বেশিরভাগ সময়ই ভিন রাজ্যে কাজ করত ৷ মৃত্যুর আগে সে গুজরাতে কাজে গিয়েছিল। শিবরাত্রি উপলক্ষে কয়েকদিন আগে বাড়ি ফেরে। তার বাবা সুরঞ্জন মহালদার মৎস্যজীবী ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকারই এক কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভজোর । সেই কিশোরী ক্লাস টেনের ছাত্রী । শুক্রবার সন্ধেয় এলাকায় শিবরাত্রি উপলক্ষে জলসা হচ্ছিল ৷ ভজো সেই জলসা দেখতে যায়৷ অভিযোগ, সেই সময় ওই কিশোরী ভজোকে ফোন করে কাছেই একটি আমবাগানে ডাকে ৷ সেখানে ভজোকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে সে৷ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই বাগানেই প্রেমিকা সহ দু’-তিনজন ভজোকে বিষ খাইয়ে দেয়৷

DEATH
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন চন্দনা দেবী

ভজো ফোন করে সমস্ত ঘটনা পরিবারের লোকজনদের জানায়৷ খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ভজোকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মালদা মেডিকেলে রেফার করেন৷ কিন্তু, তার আগে মাঝ রাস্তায় মৃত্যু হয় ভজোর৷ এই ঘটনায় ওই কিশোরীর সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভজোর বাবা৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেই রাতেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে৷

ভজোর বাবা সুরঞ্জন মহালদার বলেনন, “শুক্রবার রাতে হঠাৎ ছেলে ফোন করে জানায়, সেদিনই তাকে বিয়ে করতে চাইছে মেয়েটি৷ ছেলে রাজি না হওয়ায় ওরা তিন-চারজন মিলে তাকে কীটনাশক খাইয়ে দেয়৷ ছেলে তার প্রেমিকা ও আরেকজনের নাম বলতে পেরেছে৷ এরপরেই মারা যায় সে৷ আমি দোষীদের শাস্তি চাই৷”

ভজোর মা চন্দনা মহালদার বলেন, “ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল কি না জানা নেই৷ জানা থাকলে আমরা দু’জনের বিয়ে দিয়ে দিতাম৷ শুক্রবার রাতে মেয়েটি ছেলেকে ফোন করে ডাকে৷ ছেলে ফোনে জানায়, সেদিনই বিয়ে করতে চেয়েছিল মেয়েটি৷ ছেলে তাদের বলেছিল, শনিবার তার গুজরাত যাওয়ার টিকিট কাটা আছে৷ সেখান থেকে ফিরে তাকে বিয়ে করবে৷ কিন্তু তাতে রাজি হয়নি ওই মেয়ে৷ জোর করে তাকে গমচাষের বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়েছে৷”

স্থানীয় বাসিন্দা আরতি মহালদার বলেন, “সেই রাতে ছেলেটা কিছু বলতে পারেনি৷ শুধু ঘামছিল৷ আমি বারবার ওকে প্রশ্ন করি, কেউ তাকে কিছু খাইয়ে দিয়েছে কি না৷ সে উত্তর দিতে পারেনি৷ সেই অবস্থাতেও সে শুধু ওর মাকে বলছিল, তাকে যেন তাড়াতাড়ি মানিকচক নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ওকে বাঁচানো যায়নি৷ ওই মেয়েটি ভজোকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে৷ আমরা ওর কঠোর শাস্তি চাই৷ পুলিশ ওকে শাস্তি দিতে না পারলে ওই মেয়েকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক৷ আমরা সব বুঝে নেব৷”

অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক

এদিকে ঘটনার পর থেকেই বাড়ি ফাঁকা ওই কিশোরীর ৷ সদর দরজায় তালা ৷ পরিবারের সদস্যরা কোথায়, গ্রামের কেউ বলতে পারেননি ৷ মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় প্রথমে কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল ৷ পরে অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷

মালদা, 24 ফেব্রুয়ারি : পরে বিয়ের কথা বলায় বিষ খাইয়ে যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রেমিকা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ৷ মৃতের নাম ভজো মহালদার (19)৷ মানিকচকের ধনরাজ গ্রামের ঘটনা ৷ শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে । যদিও শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই অভিযুক্ত প্রেমিকা সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে মানিকচক থানার পুলিশ ৷ গতকাল ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের পাঁচদিন পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।

ভজো মহালদার পেশায় শ্রমিক ছিল ৷ বছরের বেশিরভাগ সময়ই ভিন রাজ্যে কাজ করত ৷ মৃত্যুর আগে সে গুজরাতে কাজে গিয়েছিল। শিবরাত্রি উপলক্ষে কয়েকদিন আগে বাড়ি ফেরে। তার বাবা সুরঞ্জন মহালদার মৎস্যজীবী ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকারই এক কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ভজোর । সেই কিশোরী ক্লাস টেনের ছাত্রী । শুক্রবার সন্ধেয় এলাকায় শিবরাত্রি উপলক্ষে জলসা হচ্ছিল ৷ ভজো সেই জলসা দেখতে যায়৷ অভিযোগ, সেই সময় ওই কিশোরী ভজোকে ফোন করে কাছেই একটি আমবাগানে ডাকে ৷ সেখানে ভজোকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে সে৷ বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ওই বাগানেই প্রেমিকা সহ দু’-তিনজন ভজোকে বিষ খাইয়ে দেয়৷

DEATH
ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন চন্দনা দেবী

ভজো ফোন করে সমস্ত ঘটনা পরিবারের লোকজনদের জানায়৷ খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ভজোকে উদ্ধার করে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান৷ চিকিৎসকরা তাঁকে মালদা মেডিকেলে রেফার করেন৷ কিন্তু, তার আগে মাঝ রাস্তায় মৃত্যু হয় ভজোর৷ এই ঘটনায় ওই কিশোরীর সহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভজোর বাবা৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সেই রাতেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করে৷

ভজোর বাবা সুরঞ্জন মহালদার বলেনন, “শুক্রবার রাতে হঠাৎ ছেলে ফোন করে জানায়, সেদিনই তাকে বিয়ে করতে চাইছে মেয়েটি৷ ছেলে রাজি না হওয়ায় ওরা তিন-চারজন মিলে তাকে কীটনাশক খাইয়ে দেয়৷ ছেলে তার প্রেমিকা ও আরেকজনের নাম বলতে পেরেছে৷ এরপরেই মারা যায় সে৷ আমি দোষীদের শাস্তি চাই৷”

ভজোর মা চন্দনা মহালদার বলেন, “ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল কি না জানা নেই৷ জানা থাকলে আমরা দু’জনের বিয়ে দিয়ে দিতাম৷ শুক্রবার রাতে মেয়েটি ছেলেকে ফোন করে ডাকে৷ ছেলে ফোনে জানায়, সেদিনই বিয়ে করতে চেয়েছিল মেয়েটি৷ ছেলে তাদের বলেছিল, শনিবার তার গুজরাত যাওয়ার টিকিট কাটা আছে৷ সেখান থেকে ফিরে তাকে বিয়ে করবে৷ কিন্তু তাতে রাজি হয়নি ওই মেয়ে৷ জোর করে তাকে গমচাষের বিষ খাইয়ে দেওয়া হয়েছে৷”

স্থানীয় বাসিন্দা আরতি মহালদার বলেন, “সেই রাতে ছেলেটা কিছু বলতে পারেনি৷ শুধু ঘামছিল৷ আমি বারবার ওকে প্রশ্ন করি, কেউ তাকে কিছু খাইয়ে দিয়েছে কি না৷ সে উত্তর দিতে পারেনি৷ সেই অবস্থাতেও সে শুধু ওর মাকে বলছিল, তাকে যেন তাড়াতাড়ি মানিকচক নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও ওকে বাঁচানো যায়নি৷ ওই মেয়েটি ভজোকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে৷ আমরা ওর কঠোর শাস্তি চাই৷ পুলিশ ওকে শাস্তি দিতে না পারলে ওই মেয়েকে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক৷ আমরা সব বুঝে নেব৷”

অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার যুবক

এদিকে ঘটনার পর থেকেই বাড়ি ফাঁকা ওই কিশোরীর ৷ সদর দরজায় তালা ৷ পরিবারের সদস্যরা কোথায়, গ্রামের কেউ বলতে পারেননি ৷ মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় প্রথমে কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল ৷ পরে অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.