মালদা, 11 জানুয়ারি : খোদ জেলা বিজেপি সভাপতির ভাইপো ঘাসফুল শিবিরে! তেমনটাই ঘটেছে গাজোলে৷ যদিও এই ঘটনাকে সঠিক বলে এখনও মানতে রাজি নন জেলা গেরুয়া শিবিরের প্রধান সেনাপতি৷ তবে ভোটের মুখে এই ঘটনা শোরগোল ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে৷
এগিয়ে আসছে একুশের ভোট৷ তার আগে তৃণমূল থেকে বিজেপি, কোথাও আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ধুম বেড়েছে৷ গোটা রাজ্যেই ধরা পড়ছে এই ছবি৷ ব্যতিক্রম নয় মালদাও৷ এর আগে গাজোলের তৃণমূল বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসকে নিজেদের নৌকায় তুলেছে বিজেপি৷ এবার সেই গাজোলেই বিজেপি জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের ভাইপো কাশীনাথ মণ্ডল সদলবলে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে৷ ঘটনাটি ঘটেছে গাজোলের বৈরগাছি 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজারামচক এলাকায়৷ জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর দুলাল সরকারের উপস্থিতিতে ঘাসফুল ঝান্ডা হাতে নেন কাশীনাথবাবু ও তাঁর অনুগামীরা৷
দুলালবাবু বলেন, “গাজোলের বৈরগাছি 1 নম্বর অঞ্চলে একটি কর্মীসভা ছিল৷ সেখানে জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের ভাইপো কাশীনাথ মণ্ডল বেশ কিছু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হয়ে এলাকায় মানুষের কাজ করার জন্যই আজ তাঁরা তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছেন৷”
আরও পড়ুন : বিহার থেকে উদ্ধার সুন্দরবনের 6 যুবতি
যদিও গোটা ঘটনাটিকে তৃণমূলের নির্বাচনী কারসাজি বলেই মন্তব্য করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি৷ গোবিন্দবাবু বলেন, “বৈরগাছি 1 গ্রাম পঞ্চায়েতে রামপুর বলে কোনও গ্রাম নেই৷ রাজারামচক নামে গ্রাম রয়েছে৷ সেখানে তৃণমূলের সভা হতেই পারে৷ কিন্তু আমার পরিবারের কোনও সদস্য কোনওদিন কংগ্রেস, সিপিএম কিংবা তৃণমূল করেনি৷ চিরদিনই বিজেপি করে এসেছে৷ ফলে যেটা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই সঠিক নয়৷ কাশীনাথ আমার ভাইপোর ডাক নাম৷ ওর ভালো নাম প্রণব৷ কাশী নামে ওকে কতজন চেনে তা নিয়েই সন্দেহ আছে৷ হয়ত ও কোনও কারণে সেখানে গিয়েছিল৷ তারপর তার ছবি দিয়ে যদি তৃণমূলীরা অপপ্রচার করে, তাহলে কিছু করার নেই৷ আমার পরিবারের কেউ ডুবন্ত জাহাজে যাবে, তা আমি বিশ্বাস করি না৷ শেষ অস্ত্র হিসেবে তৃণমূল এখন পরিবারে অশান্তি বাঁধানোর চিন্তাভাবনা করছে৷ কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে না৷”