মালদা, 2 ফেব্রুয়ারি : সালিশি সভায় চলল গুলি ৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত এক ৷ আহত হয়েছেন আরও একজন ৷ আজ, সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদার কালিয়াচক থানার মোজমপুর সংলগ্ন নারায়ণপুর গ্রামে৷ এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ৷ গিয়েছেন এলাকার বিধায়ক ইশা খান চৌধুরিও৷ তবে এই ঘটনা নিয়ে এখনও কেউ কিছু বলতে নারাজ৷ পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুর একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে নারায়ণপুর গ্রামের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তুহুর আলি বিশ্বাসের বাড়িতে৷ এলাকায় তিনি তুহুর মহাজন নামে পরিচিত৷ পারিবারিক কোনও বিবাদের জেরে আজ সেই বাড়িতে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ সভা চলাকালীনই দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়৷ হঠাৎ গুলি চলতে শুরু করে৷ একটি গুলি লাগে সেখানে উপস্থিত শরিফ নওয়াজ চৌধুরির পেটে৷ 29 বছরের শরিফ ঘটনাস্থলেই মারা যান৷ আরেকটি গুলি লাগে 34 বছর বয়সি সালাম চৌধুরির শরীরের পিছনের অংশে৷ গুলির শব্দে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ গুলিবিদ্ধ দু’জনকেই সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে আসা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ চিকিৎসকরা শরিফ নওয়াজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
যদিও গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ সবার৷ এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন তুহুর আলি বিশ্বাস কিংবা তাঁর ভাই সাইদুল বিশ্বাস৷ এমনকী, সংবাদমাধ্যমকে ছবি তুলতেও বাধা দেওয়া হয়৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরিকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি৷
আরও পড়ুন : এবার কৃষকদের সঙ্গে "সহভোজ", শনিবার মালদা সফরে নাড্ডা
কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ঘটনাস্থল থেকে কিছু নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তবে এনিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশি টহল চলছে৷