ETV Bharat / state

ধানতলা গ্রামে তরুণী খুনের কিনারা করল পুলিশ - ধানতলা গ্রামে তরুণী খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ

বাপন ঘোষের খুনের ছক চমকে দিয়েছে পুলিশকেও ৷ শিলিগুড়ির তরুণীকে ডেকে এনে পরিকল্পনামাফিকই খুন করেছে সে৷ খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে সে চেষ্টার কসুর রাখেনি ৷ সবচেয়ে বড়ো বিষয়, তার এই পরিকল্পনার কথা আগেও দুই বন্ধুকে সে জানিয়েছিল৷ ঝুমা দে নামে ওই তরুণীকে খুন করার পর বাপন যোগাযোগ করে তার বাড়িতে৷ সে’ই ঝুমার অভিভাবকদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেয়৷ পুলিশ নিশ্চিত, এই ঘটনায় বাপনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত নয়৷ তাই তার বন্ধুদেরও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

Dhantala murder
ঘটনার পুননির্মাণ
author img

By

Published : Dec 14, 2019, 8:58 AM IST

মালদা, 14 ডিসেম্বর :ধানতলা গ্রামে তরুণী খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ । উদ্ধার হল কোতওয়ালির ধানতলা গ্রামের আমবাগানে খুন হওয়া তরুণীর মোবাইল ফোনও ৷ পুলিশের জেরায় এই ঘটনায় ধৃত বাপন ঘোষ আগেই জানিয়েছিল, সে নিজেই ওই তরুণীকে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছে ৷ পুলিশ শুক্রবার এই ঘটনার পুননির্মাণে জন্য অভিযুক্ত বাপনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় । বিকেলের দিকে মালদা রেঞ্জের DIG সহ অন্যান্য পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় ।

বাপন ঘোষের খুনের ছক চমকে দিয়েছে পুলিশকেও ৷ শিলিগুড়ির তরুণীকে ডেকে এনে পরিকল্পনামাফিকই খুন করেছে সে ৷ খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে সে চেষ্টার কসুর রাখেনি ৷ সবচেয়ে জরুরি বিষয়, এই পরিকল্পনার কথা আগেও দুই বন্ধুকে সে জানিয়েছিল ৷ ঝুমা দে নামে ওই তরুণীকে খুন করার পর বাপন যোগাযোগ করে তার বাড়িতে ৷ সেই ঝুমার অভিভাবকদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেয় ৷ পুলিশ নিশ্চিত, এই ঘটনায় বাপনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত নয় ৷ তাই তার বন্ধুদেরও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই মামলা থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে ভারতীয় দণ্ডবিধির 34 নম্বর ধারাও ৷ আজ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁরা দ্রুত আদালতে চার্জশিট পেশ করবেন৷ এদিকে আজ সন্ধেয় বাপনকে ঘটনাস্থানে নিয়ে যান পুলিশকর্তারা৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকারের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনা বিবৃত করে বাপন ৷

ঘটনার পুননির্মাণ

আজ বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “শিলিগুড়ির তরুণী ঝুমা দে খুনের ঘটনায় আমরা বাপন ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছিলাম৷ আমরা বাপনের কাছের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি ৷ সব কিছু খতিয়ে দেখে আমরা জানতে পেরেছি, গত 2 ডিসেম্বর ঝুমা আর বাপন মালদা স্টেশনে দেখা করে৷ স্টেশন থেকে বেরিয়ে তারা কিছুটা ঘোরাঘুরি করে ৷ এরপর তারা ঘটনাস্থানের কাছে আমবাগানেই এক জায়গায় বসে মদ্যপান করে ৷ খাবারও খায় ৷ মদ্যপানের পর দু’জনের মধ্যে বিয়ের বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় ৷ ঝুমার সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে বলে বাপন সন্দেহ করত ৷ সব মিলিয়ে বচসা বাড়তে থাকে ৷ তখনই বাপন ঝুমার গলা টিপে তাকে খুন করে ৷ এরপর সেখানে ঝুমার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ৷ তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, বাপন ঝুমাকে খুন করবে বলে আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল ৷ সে ঘটনাস্থানে আগে থেকে পেট্রোল নিয়ে গিয়েছিল ৷ সে কথাচ্ছলে তার দুই বন্ধুকেও তার পরিকল্পনার বিষয়ে জানিয়েছিল ৷ আজ আমরা ঝুমার মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি৷ একই সঙ্গে যে জায়গায় তারা বসে মদ্যপান করেছিল, সেখান থেকে মদের বোতল, প্লাস্টিকের গ্লাস ও খাবারের উচ্ছিষ্ট উদ্ধার করেছি ৷ এই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আমরা ওই এলাকার সমস্ত CCTV-র ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি ৷

প্রশ্ন উঠছে অন্য জায়গায় ৷ পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, 2 ডিসেম্বর রাত 12টা থেকে 1টার মধ্যে বাপন ঝুমাকে খুন করে ৷ কিন্তু তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে 5 তারিখ সকালে ৷ যে জায়গায় মৃতদেহটি পড়ে ছিল, তার পাশেই রয়েছে একটি জলাশয় ৷ তাতে মাছ চাষ হয় ৷ সবচেয়ে বড়ো বিষয়, ওই আমবাগানে প্রচুর শিয়ালের বাস ৷ প্রশ্ন উঠছে, 3টি রাত চলে গেলেও কোনও শিয়াল কিংবা কুকুর ওই মৃতদেহ ছোঁয়নি কেন? 3 দিনেও মৃতদেহে পচন শুরু হয়নি কেন তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে ৷ এব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, “পুড়ে যাওয়া কোনও লাশে পচন শুরু হতে কিছুটা বেশি সময় লাগে ৷ আমরা আরেকটা তথ্য পেয়েছি ৷ ওই গ্রামের এক মহিলা 5 তারিখ সকালের আগেও ঘটনাস্থানে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন ৷ কিন্তু ভয়ে তিনি কাউকে কিছু জানাননি ৷ পেট্রোলের গন্ধ থাকা কোনও খাদ্যসামগ্রী সাধারণত শিয়াল, কুকুর কিংবা বিড়াল খায় না ৷"

মালদা, 14 ডিসেম্বর :ধানতলা গ্রামে তরুণী খুনের কিনারা করে ফেলল পুলিশ । উদ্ধার হল কোতওয়ালির ধানতলা গ্রামের আমবাগানে খুন হওয়া তরুণীর মোবাইল ফোনও ৷ পুলিশের জেরায় এই ঘটনায় ধৃত বাপন ঘোষ আগেই জানিয়েছিল, সে নিজেই ওই তরুণীকে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছে ৷ পুলিশ শুক্রবার এই ঘটনার পুননির্মাণে জন্য অভিযুক্ত বাপনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় । বিকেলের দিকে মালদা রেঞ্জের DIG সহ অন্যান্য পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয় ।

বাপন ঘোষের খুনের ছক চমকে দিয়েছে পুলিশকেও ৷ শিলিগুড়ির তরুণীকে ডেকে এনে পরিকল্পনামাফিকই খুন করেছে সে ৷ খুনের পর প্রমাণ লোপাট করতে সে চেষ্টার কসুর রাখেনি ৷ সবচেয়ে জরুরি বিষয়, এই পরিকল্পনার কথা আগেও দুই বন্ধুকে সে জানিয়েছিল ৷ ঝুমা দে নামে ওই তরুণীকে খুন করার পর বাপন যোগাযোগ করে তার বাড়িতে ৷ সেই ঝুমার অভিভাবকদের পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেয় ৷ পুলিশ নিশ্চিত, এই ঘটনায় বাপনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত নয় ৷ তাই তার বন্ধুদেরও ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ এই মামলা থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে ভারতীয় দণ্ডবিধির 34 নম্বর ধারাও ৷ আজ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, এই ঘটনায় তাঁরা দ্রুত আদালতে চার্জশিট পেশ করবেন৷ এদিকে আজ সন্ধেয় বাপনকে ঘটনাস্থানে নিয়ে যান পুলিশকর্তারা৷ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) দীপক সরকারের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনা বিবৃত করে বাপন ৷

ঘটনার পুননির্মাণ

আজ বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “শিলিগুড়ির তরুণী ঝুমা দে খুনের ঘটনায় আমরা বাপন ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছিলাম৷ আমরা বাপনের কাছের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছি ৷ সব কিছু খতিয়ে দেখে আমরা জানতে পেরেছি, গত 2 ডিসেম্বর ঝুমা আর বাপন মালদা স্টেশনে দেখা করে৷ স্টেশন থেকে বেরিয়ে তারা কিছুটা ঘোরাঘুরি করে ৷ এরপর তারা ঘটনাস্থানের কাছে আমবাগানেই এক জায়গায় বসে মদ্যপান করে ৷ খাবারও খায় ৷ মদ্যপানের পর দু’জনের মধ্যে বিয়ের বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় ৷ ঝুমার সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক রয়েছে বলে বাপন সন্দেহ করত ৷ সব মিলিয়ে বচসা বাড়তে থাকে ৷ তখনই বাপন ঝুমার গলা টিপে তাকে খুন করে ৷ এরপর সেখানে ঝুমার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ৷ তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, বাপন ঝুমাকে খুন করবে বলে আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল ৷ সে ঘটনাস্থানে আগে থেকে পেট্রোল নিয়ে গিয়েছিল ৷ সে কথাচ্ছলে তার দুই বন্ধুকেও তার পরিকল্পনার বিষয়ে জানিয়েছিল ৷ আজ আমরা ঝুমার মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি৷ একই সঙ্গে যে জায়গায় তারা বসে মদ্যপান করেছিল, সেখান থেকে মদের বোতল, প্লাস্টিকের গ্লাস ও খাবারের উচ্ছিষ্ট উদ্ধার করেছি ৷ এই ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আমরা ওই এলাকার সমস্ত CCTV-র ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি ৷

প্রশ্ন উঠছে অন্য জায়গায় ৷ পুলিশ সুপার জানাচ্ছেন, 2 ডিসেম্বর রাত 12টা থেকে 1টার মধ্যে বাপন ঝুমাকে খুন করে ৷ কিন্তু তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে 5 তারিখ সকালে ৷ যে জায়গায় মৃতদেহটি পড়ে ছিল, তার পাশেই রয়েছে একটি জলাশয় ৷ তাতে মাছ চাষ হয় ৷ সবচেয়ে বড়ো বিষয়, ওই আমবাগানে প্রচুর শিয়ালের বাস ৷ প্রশ্ন উঠছে, 3টি রাত চলে গেলেও কোনও শিয়াল কিংবা কুকুর ওই মৃতদেহ ছোঁয়নি কেন? 3 দিনেও মৃতদেহে পচন শুরু হয়নি কেন তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে ৷ এব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, “পুড়ে যাওয়া কোনও লাশে পচন শুরু হতে কিছুটা বেশি সময় লাগে ৷ আমরা আরেকটা তথ্য পেয়েছি ৷ ওই গ্রামের এক মহিলা 5 তারিখ সকালের আগেও ঘটনাস্থানে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন ৷ কিন্তু ভয়ে তিনি কাউকে কিছু জানাননি ৷ পেট্রোলের গন্ধ থাকা কোনও খাদ্যসামগ্রী সাধারণত শিয়াল, কুকুর কিংবা বিড়াল খায় না ৷"

Intro:মালদা, ১৩ ডিসেম্বর : অবশেষে উদ্ধার হল কোতওয়ালির ধানতলা গ্রামের আমবাগানে খুন হওয়া তরুণীর মোবাইল ফোন৷ একই সঙ্গে এই খুন কাণ্ডে আরও কয়েকটি তথ্য পেয়েছে পুলিশ৷ তবে এই ঘটনায় ধৃত বাপন ঘোষ এখনও দাবি করছে, সে নিজেই ওই তরুণীকে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছিল৷ যদিও তার এই বক্তব্যে এখনও সহমত নন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা৷ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ বিকেলের দিকে মালদা রেঞ্জের ডিআইজি সহ অন্যান্য পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনার পূনর্নির্মাণ করা হবে৷


Body:         কোতওয়ালির ধানতলার আমবাগানে শিলিগুড়ির এক তরুণীকে ডেকে এনে খুন করা হয়েছিল৷ খুনের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল দেহ৷ সেই ঘটনায় গত পরশু মূল অভিযুক্ত বাপন ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ গতকাল জেলা আদালতের মাধ্যমে তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে৷ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছিল বাপনের স্ত্রী টুম্পা ঘোষ সহ তার তিন বন্ধুকে৷ কিন্তু একাধিকবার জেরা করার পর পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, টুম্পা এবং বাপনের এক বন্ধু এই ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত নয়৷ গতকালই দু’জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে এখনও পুলিশ বাপনের দুই বন্ধুকে আটক করে রেখেছে৷ পুলিশের সন্দেহ, এই দুই বন্ধু খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত৷ কিন্তু মৃত তরুণীর মোবাইল ফোনটি আজ সকাল পর্যন্ত খুঁজে পায়নি পুলিশ৷ ফোনের খোঁজে আজ সকালেও বাপনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়৷ ঘটনার তদন্তে মৃতার মোবাইল ফোনটি বড়ো ভূমিকা নিতে পারে বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা৷
         অবশেষে বাপনই খোঁজ দেয় সেই মোবাইল ফোনের৷ আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তাকে নিয়ে ঘটনাস্থানে যান পুলিশ আধিকারিকরা৷ সেই সময় বাপন জানায়, ওই তরুণী তার সঙ্গে দেখা করতেই মালদায় এসেছিল৷ গত ৪ ডিসেম্বর গভীর রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থানে তারা মুখোমুখি বসে গল্প করছিল৷ তরুণী তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে শুরু করে৷ সে প্রেমিকাকে নিজের ব্যক্তিগত পরিস্থিতি জানায়৷ বোঝানোর চেষ্টা করে, এই মুহূর্তে সে তাকে বিয়ে করতে পারবে না৷ ঘণ্টাখানেক ধরে এনিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়৷ সেই সময় হঠাৎ তার মায়ের উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করে তার প্রেমিকা৷ সেই মন্তব্য সহ্য করতে না পেরে সে তার সঙ্গে থাকা একটি পেট্রোল ভরতি বোতল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে৷ মাথায় আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারায় তার প্রেমিকা৷ তখনই রাগের বশে সে প্রেমিকার গলা টিপে ধরে৷ বেশ কিছুক্ষণ ধরে গলা চেপে থাকার পর সে পরীক্ষা করে দেখে, তখনও বেঁচে আছে সে৷ ফলে সে দ্বিতীয়বার তার গলা টিপে ধরে৷ এবার তার প্রেমিকার মৃত্যু হয়৷ গোটা ঘটনায় সে নিজেও খানিকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে৷ ঘোর কাটতেই সে প্রেমিকার দেহ সেখানে ফেলে রেখে পালায়৷ আমবাগানের ভিতর দিয়ে সে বাড়ি চলে যায়৷ পরে সাইকেল নিয়ে সে ফের ঘটনাস্থানে ফিরে আসে৷ প্রেমিকার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ তার মোবাইল ফোনটি সে নিজের বাড়ির গোয়ালে, গোরুকে খাওয়ানোর নাদের পাশে মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে রাখে৷ তবে এই ঘটনায় তার সঙ্গে আর কেউ জড়িত নয়৷


Conclusion:         বাপনের কথামতো তার বাড়ির গোয়াল থেকে মৃত তরুণীর স্মার্টফোনটি উদ্ধার করে পুলিশ৷ এই ঘটনার তদন্তে ফোনটি বড়ো ভূমিকা নিতে পারে বলে অনুমান পুলিশ আধিকারিকদের৷ তবে এদিনের এই তদন্ত চলাকালীন পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়৷ তদন্তকারী অফিসার, ইংরেজবাজার থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস জানান, এদিন দুপুরে ডিআইজি সহ তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে৷ সেই সময় সংবাদমাধ্যম ছবি তুলতে পারে৷ যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছে, গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত এলাকা জুড়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে পুলিশ৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.