ETV Bharat / state

জাতীয় সড়কে অস্থায়ী বাজার, উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে সবজি বিক্রেতাকে ধাক্কা পৌরপ্রধানের - Chairman

জাতীয় সড়কের ধারে ফুটপাতগুলি চলে গেছিল অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে । এই ফুটপাত হয়ে উঠেছিল অস্থায়ী বাজার ৷ আর বাজারের সমস্ত আবর্জনা জমা হচ্ছিল জাতীয় সড়কে ৷ সেই বাজারে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন এক ব্যবসায়ীকে ধাক্কা দিলেন পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ।

সবজি বিক্রেতাকে ধাক্কা পৌরপ্রধানের
author img

By

Published : Jun 20, 2019, 4:12 PM IST

Updated : Jun 20, 2019, 4:19 PM IST

মালদা, 20 জুন : রোজের মতো ভিড় বাজারে । সবজি কেনাবেচাতে ব্যস্ত মানুষজন । তার মধ্যে হঠাৎ শুরু চিৎকার চেঁচামেচি । নজরে পড়ল জোর করে তুলে দেওয়া হচ্ছে সবজি বিক্রেতাদের । এমনকী, এক ব্যবসায়ীকে ধাক্কা দিতে দেখা গেল ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানকে । জানা গেল, বাজারটি অস্থায়ী । অনুমতি না থাকলেও রথবাড়ি সংলগ্ন 34 নম্বর জাতীয় সড়কের ফুটপাতে এভাবেই বসে সবজি বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা । বাজারের সমস্ত আবর্জনা থেকে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায় । আগেও একবার তুলে দেওয়া হয়েছিল এই অস্থায়ী বাজার । তবে লাভ কিছু হয়নি । ফের ফুটপাত ঘিরে ব্যবসা শুরু করেন সবজি বিক্রেতারা । আজ সকালে ফের ফুটপাত পুনরুদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ অভিযান চালায় ইংরেজবাজার পৌরসভা ।

Malda Bazar
রথবাড়ি সংলগ্ন জাতীয় সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বেআইনিভাবে কিছু অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন ৷

মালদা শহরের মধ্যে দিয়ে গেছে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক ৷ প্রতিদিন এই জাতীয় সড়কে প্রায় 30 হাজার গাড়ি চলাচল করে ৷ রথবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এই জাতীয় সড়কের ধারের ফুটপাতগুলি চলে গেছিল অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে ৷ এই ফুটপাত হয়ে উঠেছিল অস্থায়ী বাজার ৷ বাজারের সমস্ত আবর্জনা জমা হচ্ছিল জাতীয় সড়কে ৷ জমা আবর্জনা থেকে গোটা এলাকায় ছড়াচ্ছিল দুর্গন্ধ ৷ রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছিল ৷ এর আগেও পৌরসভার পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় ৷ তবে দু'দিনের মধ্যেই ফের জাতীয় সড়কটি অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যায় ৷ তাই আজ সকালে ফের উচ্ছেদ অভিযান চালাল ইংরেজবাজার পৌরসভা ৷ উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন DSP (হেড কোয়ার্টার) বিপুল মজুমদার সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা ৷ উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন বাজারের এক ব্যবসায়ীকে ধাক্কা দিতে দেখা যায় পৌরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষকে ।

Malda Bazar
জাতীয় সড়কের ধারে ফুটপাতগুলি চলে গেছিল অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে

নীহারবাবু বলেন, "রথবাড়ি সংলগ্ন জাতীয় সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বেআইনিভাবে কিছু অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন ৷ শুধু তাই নয় জাতীয় সড়ককে পরিত্যক্ত ফল-সবজি দিয়ে আবর্জনার স্তূপে পরিণত করছেন ৷ তাতে এলাকায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, তেমনই শহরবাসীর রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও বাড়ছে ৷ জাতীয় সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বাড়ছে ৷ আজ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় ৷ তবে এই অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে চাইলে তাঁদের ফুলবাড়ি বাজারে কিংবা 420 মোড়ের বাজারে জায়গা করে দেওয়া হবে ৷"

malda bazar
অস্থায়ী বাজারে উচ্ছেদ অভিযান

পৌরসভা প্রতিদিন অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায় করে, অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে নীহারবাবু বলেন, "আগে নিয়ম ছিল শহরের মধ্যে ব্যবসা করতে হলে পৌরসভাকে ট্যাক্স দিতে হবে ৷ দু'মাস আগে পৌরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জাতীয় সড়কে অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের যেন টাকা না তোলা হয় ৷ যদি পৌরসভার নাম করে কেউ টাকা তুলে থাকে তবে অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা কেন পৌরসভায় বা চেম্বার অব কমার্সে অভিযোগ জানাননি ৷ আমার অনুমান, অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা মিথ্যে কথা বলে পৌরসভাকে বদনামের চেষ্টা করছে ৷ অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা যদি পৌরসভার নাম করে তোলা নেওয়ার অভিযোগ জানান, তবে যারা তোলা তুলছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

এর আগেও পৌর কর্তৃপক্ষ এই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল ৷ দু'দিনের মধ্যেই ফের জাতীয় সড়ক দখল হয়ে যায় ৷ এবারেও কি সেই ছবি উঠে আসবে ? এই প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, "এটা শুধু পৌরসভার দায়িত্ব নয় ৷ যারা এই অভিযোগ করছেন তাঁরা নিজেদের দায়িত্ববোধটা এড়িয়ে যাচ্ছেন ৷ মানুষের সহযোগিতা না পেলে প্রতিদিন এত পুলিশ ফোর্স নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব নয় ৷ তবে এবারে প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে পুলিশ ও পৌরসভার কিছু কর্মী দু'টি সিফটে কাজ করবেন ৷ আমরা কোনও মতে জাতীয় সড়কে আর ব্যবসা করতে দেব না ৷"

মালদা, 20 জুন : রোজের মতো ভিড় বাজারে । সবজি কেনাবেচাতে ব্যস্ত মানুষজন । তার মধ্যে হঠাৎ শুরু চিৎকার চেঁচামেচি । নজরে পড়ল জোর করে তুলে দেওয়া হচ্ছে সবজি বিক্রেতাদের । এমনকী, এক ব্যবসায়ীকে ধাক্কা দিতে দেখা গেল ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানকে । জানা গেল, বাজারটি অস্থায়ী । অনুমতি না থাকলেও রথবাড়ি সংলগ্ন 34 নম্বর জাতীয় সড়কের ফুটপাতে এভাবেই বসে সবজি বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা । বাজারের সমস্ত আবর্জনা থেকে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ায় । আগেও একবার তুলে দেওয়া হয়েছিল এই অস্থায়ী বাজার । তবে লাভ কিছু হয়নি । ফের ফুটপাত ঘিরে ব্যবসা শুরু করেন সবজি বিক্রেতারা । আজ সকালে ফের ফুটপাত পুনরুদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ অভিযান চালায় ইংরেজবাজার পৌরসভা ।

Malda Bazar
রথবাড়ি সংলগ্ন জাতীয় সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বেআইনিভাবে কিছু অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন ৷

মালদা শহরের মধ্যে দিয়ে গেছে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক ৷ প্রতিদিন এই জাতীয় সড়কে প্রায় 30 হাজার গাড়ি চলাচল করে ৷ রথবাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এই জাতীয় সড়কের ধারের ফুটপাতগুলি চলে গেছিল অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে ৷ এই ফুটপাত হয়ে উঠেছিল অস্থায়ী বাজার ৷ বাজারের সমস্ত আবর্জনা জমা হচ্ছিল জাতীয় সড়কে ৷ জমা আবর্জনা থেকে গোটা এলাকায় ছড়াচ্ছিল দুর্গন্ধ ৷ রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছিল ৷ এর আগেও পৌরসভার পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় ৷ তবে দু'দিনের মধ্যেই ফের জাতীয় সড়কটি অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যায় ৷ তাই আজ সকালে ফের উচ্ছেদ অভিযান চালাল ইংরেজবাজার পৌরসভা ৷ উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন DSP (হেড কোয়ার্টার) বিপুল মজুমদার সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা ৷ উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন বাজারের এক ব্যবসায়ীকে ধাক্কা দিতে দেখা যায় পৌরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষকে ।

Malda Bazar
জাতীয় সড়কের ধারে ফুটপাতগুলি চলে গেছিল অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে

নীহারবাবু বলেন, "রথবাড়ি সংলগ্ন জাতীয় সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বেআইনিভাবে কিছু অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন ৷ শুধু তাই নয় জাতীয় সড়ককে পরিত্যক্ত ফল-সবজি দিয়ে আবর্জনার স্তূপে পরিণত করছেন ৷ তাতে এলাকায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, তেমনই শহরবাসীর রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও বাড়ছে ৷ জাতীয় সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বাড়ছে ৷ আজ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয় ৷ তবে এই অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে চাইলে তাঁদের ফুলবাড়ি বাজারে কিংবা 420 মোড়ের বাজারে জায়গা করে দেওয়া হবে ৷"

malda bazar
অস্থায়ী বাজারে উচ্ছেদ অভিযান

পৌরসভা প্রতিদিন অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায় করে, অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে নীহারবাবু বলেন, "আগে নিয়ম ছিল শহরের মধ্যে ব্যবসা করতে হলে পৌরসভাকে ট্যাক্স দিতে হবে ৷ দু'মাস আগে পৌরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জাতীয় সড়কে অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের যেন টাকা না তোলা হয় ৷ যদি পৌরসভার নাম করে কেউ টাকা তুলে থাকে তবে অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা কেন পৌরসভায় বা চেম্বার অব কমার্সে অভিযোগ জানাননি ৷ আমার অনুমান, অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা মিথ্যে কথা বলে পৌরসভাকে বদনামের চেষ্টা করছে ৷ অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা যদি পৌরসভার নাম করে তোলা নেওয়ার অভিযোগ জানান, তবে যারা তোলা তুলছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব ৷"

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

এর আগেও পৌর কর্তৃপক্ষ এই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছিল ৷ দু'দিনের মধ্যেই ফের জাতীয় সড়ক দখল হয়ে যায় ৷ এবারেও কি সেই ছবি উঠে আসবে ? এই প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, "এটা শুধু পৌরসভার দায়িত্ব নয় ৷ যারা এই অভিযোগ করছেন তাঁরা নিজেদের দায়িত্ববোধটা এড়িয়ে যাচ্ছেন ৷ মানুষের সহযোগিতা না পেলে প্রতিদিন এত পুলিশ ফোর্স নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব নয় ৷ তবে এবারে প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে পুলিশ ও পৌরসভার কিছু কর্মী দু'টি সিফটে কাজ করবেন ৷ আমরা কোনও মতে জাতীয় সড়কে আর ব্যবসা করতে দেব না ৷"

Intro:মালদা, ২০ জুনঃ সাতসকালে আরও একবার নাটক দেখল মালদা শহরের মানুষ৷ তেমনটাই গুঞ্জন উঠেছে শহরে৷ আরও অনেকবারের মতো আজ সকালেও রথবাড়ি সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ফুটপাত পুনরুদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান চালাল ইংরেজবাজার পৌরসভা৷ অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন খোদ পৌরসভার চেয়ারম্যানও৷Body:মালদা শহরের মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক৷ প্রতিদিন এই জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার গাড়ি চলাচল করে৷ রথবাড়ি সংলগ্ন এলাকার জাতীয় সড়কের ধারের ফুটপাতগুলি চলে গিয়েছিল অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে৷ এই ফুটপাত যেন হয়ে উঠেছিল অস্থায়ী বাজার৷ আর এই বাজারের সমস্ত আবর্জনা জমা হচ্ছিল জাতীয় সড়কে৷ জমা আবর্জনা থেকে গোটা এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল৷ সংকীর্ণ রাস্তায় দুর্ঘটনার ঘটনার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছিল৷ এর আগেও পৌরসভার পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়৷ তবে দু-দিনের মধ্যেই ফের জাতীয় সড়ক অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যায়৷ আজ সাতসকালে ফের উচ্ছেদ অভিযান চালাল ইংরেজবাজার পৌরসভা৷ এদিনের উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) বিপুল মজুমদার সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা৷ উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ অস্থায়ী ব্যবসায়ীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন৷
উচ্ছেদ অভিযান শেষে নীহারবাবু জানান, "রথবাড়ি সংলগ্ন জাতীয় সড়ক ও ফুটপাত দখল করে বেআইনিভাবে কিছু অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন৷ শুধু তাই নয় জাতীয় সড়ককে পরিত্যক্ত ফল-সবজি দিয়ে আবর্জনার স্তূপে পরিণত করছেন৷ তাতে এলাকায় যেমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, তেমনই শহরবাসীর রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও বাড়ছে৷ জাতীয় সড়ক সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনাও বাড়ছে৷ সমস্ত বিচার করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জাতীয় সড়কের ওপরে কোনও ব্যবসায়ীকে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না৷ আজ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়৷ তবে এই অস্থায়ী ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে চাইলে তাঁদের ফুলবাড়ি বাজারে কিংবা ৪২০ মোড়ের বাজারে জায়গা করে দেওয়া হবে৷"
পৌরসভা প্রতিদিন অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের থেকে তোলা আদায় করে, অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে নীহারবাবু বলেন, "আগে নিয়ম ছিল শহরের মধ্যে ব্যবসা করতে হলে পৌরসভাকে ট্যাক্স দিতে হবে৷ দু-মাস আগে পৌরসভা থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল জাতীয় সড়কে অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের যেন টাকা না তোলা হয়৷ যদি পৌরসভার নাম করে কেউ টাকা তুলে থাকে তবে অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা কেন পৌরসভায় বা চেম্বার অব কমার্সে অভিযোগ জানাননি৷ আমার অনুমান অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা মিথ্যে কথা বলে পৌরসভাকে বদনামের চেষ্টা করছে৷ অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা যদি পৌরসভার নাম করে তোলা নেওয়ার অভিযোগ জানান, তবে যারা তোলা তুলছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব৷"
এর আগেও পৌর কর্তৃপক্ষ এই এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায়৷ দু-দিনের মধ্যেই ফের জাতীয় সড়ক দখল হয়ে যায়৷ এবারেও কি সেই ছবি উঠে আসবে? এপ্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান জানান, "এটা শুধু পৌরসভার দায়িত্ব নয়৷ যারা এই অভিযোগ করছেন তাঁরা নিজেদের দায়িত্ববোধটা এড়িয়ে যাচ্ছেন৷ মানুষের সহযোগিতা না পেলে প্রতিদিন এত পুলিশ ফোর্স নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব নয়৷ তবে এবারে প্রতিদিন ভোর পাঁচটা থেকে পুলিশ ও পৌরসভার কিছু কর্মী দুটি সিফটে কাজ করবেন৷ আমরা কোনোমতে জাতীয় সড়কে আর ব্যবসা করতে দেব না৷"Conclusion:
Last Updated : Jun 20, 2019, 4:19 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.