ETV Bharat / state

Panchayat Election Ticket: পঞ্চায়েতের টিকিট পেতে লাগছে টাকা, অভিযোগে কংগ্রেসে যোগ তৃণমূল নেতার

author img

By

Published : Mar 21, 2023, 6:24 PM IST

টাকা দিয়ে পঞ্চায়েতের (Rural Development) টিকিট বিলি করছে শাসক দলের উপর তলার নেতারা ৷ ভোটের আগেই চোরা রক্তক্ষরণ যে চলছে তা একরকম মেনে নিয়েছেন জেলার তৃণমূল (TMC) নেতারা ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
পঞ্চায়েতের টিকিট পেতে লাগছে টাকা অভিযোগে কংগ্রেসে যোগ তৃণমূল নেতার

মালদা, 21 মার্চ: পঞ্চায়েত (Rural Development) ভোট কবে তা এখনও ঘোষণা হয়নি, অথচ প্রার্থীপদের টিকিট নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়ে গিয়েছে শাসকদলের অন্দরে ৷ ইতিমধ্য়েই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন এলাকায়৷ অভিযোগ উঠছে, টাকা দিয়ে টিকিট বিলি করছে দলের উপর তলার নেতারা ৷ এই অভিযোগ তুলেই এবার দল ছাড়লেন তৃণমূলের অঞ্চল সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ৷ যদিও বিষয়টি এখনই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছেন না জেলার তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব ৷ কিন্তু চোরা রক্তক্ষরণ যে চলছে, তা একরকম মেনে নিয়েছেন জেলার নেতারা ৷

চাঁচল 1 নম্বর ব্লকে দল ছাড়ার এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে৷ সোমবার রাতে চাঁচল ব্লকের মতিহারপুর অঞ্চল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আলম ও খরবা অঞ্চলের তৃণমূলের সহসভাপতি সাইদুজ্জামান তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন৷ তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন জেলের ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আনজারুল হক জনি ৷ উপস্থিত ছিলেন দলের স্থানীয় নেতারাও৷ তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও চাঁচলে তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী যোগদান করেছেন বলে হাত শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে৷

দল ছেড়েই তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মোক্তার আলম ৷ তাঁর অভিযোগ, “আমার সন্তোষপুর বুথ নম্বর 206 ৷ বুথটি ওবিসি ও মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ৷ এই বুথের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে আমার স্ত্রীয়ের নাম জেলা কমিটিতে গিয়েছিল ৷ তালিকায় দু’নম্বরে আমার স্ত্রী হাবিবা খাতুনের নাম থাকলেও পরে জানা গেল, এখানকার জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম আর বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদের টিকিট বিলি করছেন৷" মোক্তার আলমের দাবি, টাকার প্রস্তাব তাঁর কাছেও যে আসতে পারে তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷ তিনি বলেন, "এরপরই এই দুর্নীতিগ্রস্ত দলের সঙ্গে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ তাই কংগ্রেসে যোগদান করলাম৷ আমি টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে পারব না৷" মানুষের কাজ করতে চান তবে টাকার বিনিময়ে নয় বলেও এদিন জোরের সঙ্গে দাবি করাছেন প্রাক্তন ওই তৃণমূল নেতা ৷ তাঁর আরও সংযোজন, "2011 সাল থেকে তৃণমূল করলেও সেখানে যোগ্য সম্মান পেতাম না৷ নির্বাচনের ঘোষণার পর তৃণমূলের আরও অনেকে কংগ্রেসে যোগ দেবে৷”

আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার সুপ্রিম শুনানি, জারি থাকছে আন্দোলন

যদিও চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ আফসার আলি এসব অভিযোগ কানেই তুলতে চাননি ৷ তিনি পালটা বলেন, “চাঁচল 1 নম্বর ব্লক স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্লক হিসাবে তৃণমূল গঠন করতে চলেছে৷ বিধায়কের নেতৃত্বে এই ব্লক স্বচ্ছতার দিকে ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে৷ তাই এসব বক্তব্য ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়৷" পাশাপাশি দলবদলুদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, "প্রার্থী হিসাবে প্রতিটি বুথ থেকে প্রচুর নাম এসেছে৷ এখনও এনিয়ে আলোচনা হয়নি৷ আলোচনা না হলে টাকাপয়সার কথা আসছে কীভাবে? আসলে সে অন্য দলে যাবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৷" তাঁর দাবি, কংগ্রেসের থেকে প্রার্থী পদের প্রতিশ্রুতি পেয়েই সে দল বলেছে ৷ যারা দল ছাড়ছে তারা প্রার্থীপদের লোভেই দল ত্যাগ করছে ৷

পঞ্চায়েতের টিকিট পেতে লাগছে টাকা অভিযোগে কংগ্রেসে যোগ তৃণমূল নেতার

মালদা, 21 মার্চ: পঞ্চায়েত (Rural Development) ভোট কবে তা এখনও ঘোষণা হয়নি, অথচ প্রার্থীপদের টিকিট নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়ে গিয়েছে শাসকদলের অন্দরে ৷ ইতিমধ্য়েই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন এলাকায়৷ অভিযোগ উঠছে, টাকা দিয়ে টিকিট বিলি করছে দলের উপর তলার নেতারা ৷ এই অভিযোগ তুলেই এবার দল ছাড়লেন তৃণমূলের অঞ্চল সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ৷ যদিও বিষয়টি এখনই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে চাইছেন না জেলার তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব ৷ কিন্তু চোরা রক্তক্ষরণ যে চলছে, তা একরকম মেনে নিয়েছেন জেলার নেতারা ৷

চাঁচল 1 নম্বর ব্লকে দল ছাড়ার এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে৷ সোমবার রাতে চাঁচল ব্লকের মতিহারপুর অঞ্চল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মোক্তার আলম ও খরবা অঞ্চলের তৃণমূলের সহসভাপতি সাইদুজ্জামান তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন৷ তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন জেলের ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আনজারুল হক জনি ৷ উপস্থিত ছিলেন দলের স্থানীয় নেতারাও৷ তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও চাঁচলে তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী যোগদান করেছেন বলে হাত শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে৷

দল ছেড়েই তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মোক্তার আলম ৷ তাঁর অভিযোগ, “আমার সন্তোষপুর বুথ নম্বর 206 ৷ বুথটি ওবিসি ও মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ৷ এই বুথের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে আমার স্ত্রীয়ের নাম জেলা কমিটিতে গিয়েছিল ৷ তালিকায় দু’নম্বরে আমার স্ত্রী হাবিবা খাতুনের নাম থাকলেও পরে জানা গেল, এখানকার জেলা পরিষদ সদস্য সামিউল ইসলাম আর বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদের টিকিট বিলি করছেন৷" মোক্তার আলমের দাবি, টাকার প্রস্তাব তাঁর কাছেও যে আসতে পারে তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷ তিনি বলেন, "এরপরই এই দুর্নীতিগ্রস্ত দলের সঙ্গে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ তাই কংগ্রেসে যোগদান করলাম৷ আমি টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে পারব না৷" মানুষের কাজ করতে চান তবে টাকার বিনিময়ে নয় বলেও এদিন জোরের সঙ্গে দাবি করাছেন প্রাক্তন ওই তৃণমূল নেতা ৷ তাঁর আরও সংযোজন, "2011 সাল থেকে তৃণমূল করলেও সেখানে যোগ্য সম্মান পেতাম না৷ নির্বাচনের ঘোষণার পর তৃণমূলের আরও অনেকে কংগ্রেসে যোগ দেবে৷”

আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার সুপ্রিম শুনানি, জারি থাকছে আন্দোলন

যদিও চাঁচল ১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ আফসার আলি এসব অভিযোগ কানেই তুলতে চাননি ৷ তিনি পালটা বলেন, “চাঁচল 1 নম্বর ব্লক স্বচ্ছ ভাবমূর্তির ব্লক হিসাবে তৃণমূল গঠন করতে চলেছে৷ বিধায়কের নেতৃত্বে এই ব্লক স্বচ্ছতার দিকে ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে৷ তাই এসব বক্তব্য ভাঁওতাবাজি ছাড়া আর কিছু নয়৷" পাশাপাশি দলবদলুদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, "প্রার্থী হিসাবে প্রতিটি বুথ থেকে প্রচুর নাম এসেছে৷ এখনও এনিয়ে আলোচনা হয়নি৷ আলোচনা না হলে টাকাপয়সার কথা আসছে কীভাবে? আসলে সে অন্য দলে যাবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৷" তাঁর দাবি, কংগ্রেসের থেকে প্রার্থী পদের প্রতিশ্রুতি পেয়েই সে দল বলেছে ৷ যারা দল ছাড়ছে তারা প্রার্থীপদের লোভেই দল ত্যাগ করছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.