মালদা, 29 জুন : বর্ষার আগে নদী বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী । মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে বাঁধ মেরামতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুললেন স্থানীয়রা । উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী । দীর্ঘদিন ধরে চাঁচল 2 নম্বর ব্লকের মালতিপুর বিধানসভা এলাকার বাঁধের সংস্কার নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল । গতকাল দুপুরে স্থানীয় বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ওই এলাকার বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন । ওই এলাকার পীরগঞ্জ, যদুপুর, চন্দ্রপাড়া, সুজাপুর, মহারাজপুর সংলগ্ন বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী । এদিকে, মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে বাঁধ সংস্কার নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে ধরেন স্থানীয়রা । স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্ত অভিযোগ শুনে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেন মন্ত্রী । পরে রতুয়া 2 নম্বর ব্লকের দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাবিনা বলেন, “আমরা বেশ কিছু এলাকার বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলাম । মহারাজপুরের বাসিন্দাদের একটি ক্যানেলের দাবি রয়েছে । ওই এলাকায় ক্যানেল হলে এলাকার অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নতি হবে । বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে । যদুপুর এলাকায় গতবছর বর্ষার সময়ে ভাঙন হয়েছিল । এবার পরিস্থিতি অনেকটা সেদিকেই এগোচ্ছে । এই এলাকার তিনটে জায়গায় 1225 মিটার বাঁধের কাজ হবে । সেই কাজের জন্য সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । খুব শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হয়ে যাবে । সামনে বর্ষা ৷ যে সমস্ত এলাকায় ভাঙন ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেবে সেই সমস্ত এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হবে । আমাদের দফতর পুরোপুরি তৈরি ।”
ওই এলাকার বাঁধ সংস্কার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “বাঁধ ঠিকঠাক রাখতে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে । অনেক সময় দেখা যায় মানুষ বাঁধ থেকে মাটি কেটে নেয় । প্রশাসনের তরফ থেকে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে । তবে শুধুমাত্র প্রশাসন জোগান দিয়ে বাঁধ ধরে রাখতে পারে না । মানুষকে সচেতন হতে হবে । আমরা বাঁধের উপরের রাস্তা দিয়েই এসেছি । রাস্তা ঠিকঠাক রয়েছে । দুপাশে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে তা রুখতে দুপাশে গাছ লাগাতে হবে । কীভাবে সেই কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হবে ।”
আরও পড়ুন, যশে ক্ষতিগ্রস্ত সমুদ্র বাঁধ পরিদর্শন করলেন মৎস্যমন্ত্রী
বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সি বলেন, “মানুষের একটা অভিযোগ ছিল । সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে মন্ত্রী এসেছেন । দ্রুত গতিতে পার বাঁধানোর কাজ হবে । বিধানসভার আগেই এই কাজের জন্য টাকা অনুমোদন হয়েছিল ৷ কিন্তু কাজ শুরু করা যায়নি । আমাদের জেলা থেকে সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সাবিনাদি । উনি এক কথায় এলাকায় ছুটে এসেছেন । মানুষের প্রয়োজনীয় সমস্ত কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ।”