মালদা ও হায়দরাবাদ, 24 অগস্ট : হাতুড়ে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রাণ গেল মালদার এক পরিযায়ী শ্রমিকের। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে । মৃত শ্রমিকের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদের বালাপুর থানার পুলিশ। আজ ওই শ্রমিকের মৃতদেহ মালদা জেলায় এসে পৌঁছেছে। আজই তার অন্তিম সৎকার করা হয়েছে । মৃত শ্রমিকের নাম নুর ইসলাম। বয়স 22 বছর। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিথোলিয়া গ্রামে।
মৃতের স্ত্রী মোক্তারি খাতুন জানিয়েছেন, "রাজমিস্ত্রির জোগারের কাজে গত 11 অগস্ট নুর হায়দরাবাদ যায় । তার সঙ্গে আমিও সেখানে গিয়েছিলাম । সঙ্গে ছিল আমাদের 10 মাসের মেয়ে নাসরিন । আমরা বালাপুর থানার নিউ বাবানগর এলাকায় থাকতাম। গত শনিবার নুরের জ্বর হয়। স্থানীয়দের পরামর্শে সে সেখানে এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে যায়। চিকিৎসক নুরকে একটি ইঞ্জেকশন দেয় । তার ঘণ্টাখানেক পর থেকেই নুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার নুরের মৃত্যু হয়।"
আরও পড়ুন: প্রসূতি মৃত্যুতে রাশ টানতে মালদা মেডিক্যালে মাতৃমা ভবনে জরুরি বিভাগ চালু
তাঁর স্ত্রী মোক্তারি খাতুনের বক্তব্য, "হাতুড়ে চিকিৎসকের ভুল ইঞ্জেকশনের জন্য আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আমি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বালাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। নুরই ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। তার মৃত্যুতে আমি কীভাবে মেয়েকে মানুষ করব, নিজের ভবিষ্যতই বা কী হবে কিছুই জানি না ৷"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম নৌসাদ আনসারি। তিনি আদতে বিহারের বাসিন্দা। 4 বছর ধরে তিনি নিউ বাবানগর এলাকায় চিকিৎসা করেন। মোক্তারির অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বালাপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়েছে।