ETV Bharat / state

মালদার ঐতিহাসিক পাতালচণ্ডী মন্দির জায়গা পেতে চলেছে পর্যটনে

অবশেষে জেলার ইতিহাস পর্যটনে জায়গা পেতে চলেছে ঐতিহাসিক পাতালচণ্ডী মন্দির। সেন আমলের এই পুরাতত্ত্বকে পর্যটকদের সামনে নিয়ে আসতে রাস্তার কাজ শুরু করছে প্রশাসন।

পাতালচণ্ডী মন্দির
author img

By

Published : Nov 5, 2019, 6:11 AM IST

Updated : Jun 28, 2022, 3:27 PM IST

মালদা, 5 নভেম্বর : সেন আমলে বাংলার রাজধানী গৌড়ের প্রবেশমুখে মাটির নীচ থেকে উঠে এসেছিল পাথরের তৈরি এক দেবীমূর্তি ৷ পাতাল থেকে দেবীমূর্তি বেরিয়ে আসায় দেবীর নাম হয় পাতালচণ্ডী ৷ অবশ্য শুধু এখানেই নয়, তৎকালীন গৌড়ের চারটি প্রবেশমুখেই এমন দেবীমূর্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ৷ বাকি তিনটি দেবীর নাম জহুরাচণ্ডী, মাধাইচণ্ডী ও দুয়ারবাসিনী ৷ তৎকালীন গৌড়ের নৃপতিরা ধরে নেন, এই দেবীরাই যাবতীয় বিপদ থেকে এলাকাকে রক্ষা করে আসছেন ৷ তাই তাঁদের উদ্যোগে চার জায়গায় নির্মিত হয় মন্দির ৷ এর মধ্যে জহুরাচণ্ডী ও মাধাইচণ্ডী মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা থাকলেও পাতালচণ্ডী ও দুয়ারবাসিনী যাওয়ার ভালো রাস্তা এখনও তৈরি হয়নি ৷ পর্যটকরা চাইলেও সহজে এই দুই মন্দিরে সহজে যাতায়াত করতে পারেন না ৷ ফলে জেলার ইতিহাস পর্যটনের মানচিত্রে এতদিন যেন ব্রাত্যই থেকে গিয়েছে পাতালচণ্ডী ও দুয়ারবাসিনী ৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন ৷ পাতালচণ্ডী মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা তৈরির কাজে হাত পড়েছে ৷ গতকাল সেই কাজের শিলান্যাস করেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ ছিলেন BDO সৌগত চৌধুরিসহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ৷

ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত পাতালচণ্ডী মন্দির ৷ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ১৩০০ মিটার ভিতরে আমবাগানে ঘেরা এক জায়গায় মন্দিরের অবস্থান ৷ মন্দিরের একপাশে ১০০ বিঘার এক জলাশয় ৷ এই জলাশয়টি মন্দিরের বলেই দাবি স্থানীয়দের ৷ এনিয়ে বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে ৷ প্রতি বছর এই মন্দিরে বাসন্তীপুজো হয়ে থাকে ৷ বৈশাখ মাস জুড়ে চলে চণ্ডীর আরাধনা ৷ সেই সময় জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য, এমনকি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উপস্থিত হয় পূণ্যার্থীরা ৷ কিন্তু জাতীয় সড়ক থেকে মন্দির পর্যন্ত কোনও রাস্তা না থাকায় তাদের যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়তে হয় ৷ তাই মন্দিরে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়ে আসছিল এলাকার মানুষজন ৷ একই সঙ্গে তারা মন্দিরে বিদ্যুৎ সংযোগ ও নিরাপত্তার দাবিও তুলেছিল ৷ একই দাবি তুলেছিল পর্যটকরাও ৷ কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে সেই দাবিকে এতদিন কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ৷

শেষ পর্যন্ত বিধায়কের উদ্যোগে এলাকার মানুষ ও পর্যটকদের দাবিকে মান্যতা দিতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ৷ আজ মন্দির থেকে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত রাস্তার একাংশের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নীহারবাবু বলেন, "এতদিন এনিয়ে কেন কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি তা আমি বলতে পারব না ৷ তবে এখানকার মানুষ ও মায়ের ভক্তরা যখন আমাকে এই সমস্যার কথা জানায়, তখনই আমি এখানে একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালাই ৷ আপাতত ৩০ লাখ টাকা জোগাড় করতে পেরেছি ৷ সেই টাকা দিয়েই প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৬৫০ মিটার রাস্তা তৈরি হবে ৷ বাকি রাস্তা যাতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে করে দেওয়া যায় তার জন্য BDO-কে আবেদন করেছি ৷ প্রয়োজনে এনিয়ে জেলাশাসকের কাছেও আবেদন জানাব৷ আগামী এক বছরের মধ্যে এই রাস্তার কাজ আমি শেষ করতে চাই ৷ শুধু তাই নয়, এখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই ৷ তা নিয়ে আজ আমি এখান থেকে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ এখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে কত টাকা প্রয়োজন তা নিয়ে তাঁকে একটি রিপোর্ট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি ৷ ওই রিপোর্ট পেলে আমি নিজের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকার ব্যবস্থা করে দেব ৷ রাস্তা এবং আলোর ব্যবস্থা হলে গেলেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়ে যাবে ৷ প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এখানে একটি পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ৷ যাই হোক না কেন, পাতালচণ্ডীকে ভক্ত ও পর্যটকদের সামনে উন্মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য ৷"


রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় বিধাককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা, RSS-এর অন্যতম কর্তা তরুণ পণ্ডিত ৷ তিনি বলেন, "এটা একটা ঐতিহাসিক জায়গা ৷ বাসন্তীপুজোয় এখানে প্রচুর মানুষ আসে ৷ এই মন্দিরে যাতায়াতের জন্য বিধায়ক যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার জন্য তাঁকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি ৷ শুধুমাত্র রাস্তার অভাবে এই মন্দিরে অনেক মানুষ আসতে পারত না ৷ এখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার জন্যও বিধায়ক আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন ৷ গৌড়ের গাইড ম্যাপে পাতালচণ্ডীর উল্লেখ রয়েছে ৷ কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এতদিন এই জায়গাটি উপেক্ষিত ছিল ৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে প্রচুর পর্যটক এখানে আসবে ৷ এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অসাধারণ৷ মন্দিরের পাশে যে ঝিল রয়েছে, তাতে যদি বোটিং-এর ব্যবস্থা করা যায় তাহলে প্রচুর মানুষ এখানে আসবে ৷”


Conclusion:বিডিও সৌগত চৌধুরি বলেন, “পাতালচণ্ডী ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা৷ এই মন্দিরে আসার জন্য কোনও পাকা রাস্তা নেই৷ তাই বিধায়কের আবেদনে আমরা বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে এই রাস্তা তৈরির আবেদন করেছিলাম৷ সেখান থেকে ৬১৮ মিটার রাস্তা তৈরির অনুমোদন পাওয়া গেছে৷ তার জন্যঠ বরাদ্দ হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা৷ এর সঙ্গে বিধায়ক তাঁর উন্নয়ন তহবিল থেকে আরও ৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছেন৷ সেই টাকায় আরও ১০০ মিটার রাস্তা তৈরি করা যাবে৷ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে ১৩০০ মিটারের মধ্যে ৭১৮ মিটার রাস্তা তৈরি করা হবে৷ বাকি রাস্তা ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে তৈরি করা যায় কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি৷ আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে৷ বিদ্যুতের জন্যও আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি৷”

মালদা, 5 নভেম্বর : সেন আমলে বাংলার রাজধানী গৌড়ের প্রবেশমুখে মাটির নীচ থেকে উঠে এসেছিল পাথরের তৈরি এক দেবীমূর্তি ৷ পাতাল থেকে দেবীমূর্তি বেরিয়ে আসায় দেবীর নাম হয় পাতালচণ্ডী ৷ অবশ্য শুধু এখানেই নয়, তৎকালীন গৌড়ের চারটি প্রবেশমুখেই এমন দেবীমূর্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ৷ বাকি তিনটি দেবীর নাম জহুরাচণ্ডী, মাধাইচণ্ডী ও দুয়ারবাসিনী ৷ তৎকালীন গৌড়ের নৃপতিরা ধরে নেন, এই দেবীরাই যাবতীয় বিপদ থেকে এলাকাকে রক্ষা করে আসছেন ৷ তাই তাঁদের উদ্যোগে চার জায়গায় নির্মিত হয় মন্দির ৷ এর মধ্যে জহুরাচণ্ডী ও মাধাইচণ্ডী মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা থাকলেও পাতালচণ্ডী ও দুয়ারবাসিনী যাওয়ার ভালো রাস্তা এখনও তৈরি হয়নি ৷ পর্যটকরা চাইলেও সহজে এই দুই মন্দিরে সহজে যাতায়াত করতে পারেন না ৷ ফলে জেলার ইতিহাস পর্যটনের মানচিত্রে এতদিন যেন ব্রাত্যই থেকে গিয়েছে পাতালচণ্ডী ও দুয়ারবাসিনী ৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন ৷ পাতালচণ্ডী মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা তৈরির কাজে হাত পড়েছে ৷ গতকাল সেই কাজের শিলান্যাস করেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ ছিলেন BDO সৌগত চৌধুরিসহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা ৷

ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত পাতালচণ্ডী মন্দির ৷ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ১৩০০ মিটার ভিতরে আমবাগানে ঘেরা এক জায়গায় মন্দিরের অবস্থান ৷ মন্দিরের একপাশে ১০০ বিঘার এক জলাশয় ৷ এই জলাশয়টি মন্দিরের বলেই দাবি স্থানীয়দের ৷ এনিয়ে বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে ৷ প্রতি বছর এই মন্দিরে বাসন্তীপুজো হয়ে থাকে ৷ বৈশাখ মাস জুড়ে চলে চণ্ডীর আরাধনা ৷ সেই সময় জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য, এমনকি দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে উপস্থিত হয় পূণ্যার্থীরা ৷ কিন্তু জাতীয় সড়ক থেকে মন্দির পর্যন্ত কোনও রাস্তা না থাকায় তাদের যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়তে হয় ৷ তাই মন্দিরে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন জানিয়ে আসছিল এলাকার মানুষজন ৷ একই সঙ্গে তারা মন্দিরে বিদ্যুৎ সংযোগ ও নিরাপত্তার দাবিও তুলেছিল ৷ একই দাবি তুলেছিল পর্যটকরাও ৷ কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে সেই দাবিকে এতদিন কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ৷

শেষ পর্যন্ত বিধায়কের উদ্যোগে এলাকার মানুষ ও পর্যটকদের দাবিকে মান্যতা দিতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ৷ আজ মন্দির থেকে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত রাস্তার একাংশের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নীহারবাবু বলেন, "এতদিন এনিয়ে কেন কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি তা আমি বলতে পারব না ৷ তবে এখানকার মানুষ ও মায়ের ভক্তরা যখন আমাকে এই সমস্যার কথা জানায়, তখনই আমি এখানে একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য চেষ্টা চালাই ৷ আপাতত ৩০ লাখ টাকা জোগাড় করতে পেরেছি ৷ সেই টাকা দিয়েই প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৬৫০ মিটার রাস্তা তৈরি হবে ৷ বাকি রাস্তা যাতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে করে দেওয়া যায় তার জন্য BDO-কে আবেদন করেছি ৷ প্রয়োজনে এনিয়ে জেলাশাসকের কাছেও আবেদন জানাব৷ আগামী এক বছরের মধ্যে এই রাস্তার কাজ আমি শেষ করতে চাই ৷ শুধু তাই নয়, এখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই ৷ তা নিয়ে আজ আমি এখান থেকে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ এখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে কত টাকা প্রয়োজন তা নিয়ে তাঁকে একটি রিপোর্ট দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি ৷ ওই রিপোর্ট পেলে আমি নিজের বিধায়ক উন্নয়ন তহবিল থেকে টাকার ব্যবস্থা করে দেব ৷ রাস্তা এবং আলোর ব্যবস্থা হলে গেলেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়ে যাবে ৷ প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে এখানে একটি পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ৷ যাই হোক না কেন, পাতালচণ্ডীকে ভক্ত ও পর্যটকদের সামনে উন্মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য ৷"


রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় বিধাককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দা, RSS-এর অন্যতম কর্তা তরুণ পণ্ডিত ৷ তিনি বলেন, "এটা একটা ঐতিহাসিক জায়গা ৷ বাসন্তীপুজোয় এখানে প্রচুর মানুষ আসে ৷ এই মন্দিরে যাতায়াতের জন্য বিধায়ক যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার জন্য তাঁকে আমরা সাধুবাদ জানাচ্ছি ৷ শুধুমাত্র রাস্তার অভাবে এই মন্দিরে অনেক মানুষ আসতে পারত না ৷ এখানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার জন্যও বিধায়ক আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন ৷ গৌড়ের গাইড ম্যাপে পাতালচণ্ডীর উল্লেখ রয়েছে ৷ কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এতদিন এই জায়গাটি উপেক্ষিত ছিল ৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে প্রচুর পর্যটক এখানে আসবে ৷ এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অসাধারণ৷ মন্দিরের পাশে যে ঝিল রয়েছে, তাতে যদি বোটিং-এর ব্যবস্থা করা যায় তাহলে প্রচুর মানুষ এখানে আসবে ৷”


Conclusion:বিডিও সৌগত চৌধুরি বলেন, “পাতালচণ্ডী ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা৷ এই মন্দিরে আসার জন্য কোনও পাকা রাস্তা নেই৷ তাই বিধায়কের আবেদনে আমরা বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে এই রাস্তা তৈরির আবেদন করেছিলাম৷ সেখান থেকে ৬১৮ মিটার রাস্তা তৈরির অনুমোদন পাওয়া গেছে৷ তার জন্যঠ বরাদ্দ হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা৷ এর সঙ্গে বিধায়ক তাঁর উন্নয়ন তহবিল থেকে আরও ৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছেন৷ সেই টাকায় আরও ১০০ মিটার রাস্তা তৈরি করা যাবে৷ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে ১৩০০ মিটারের মধ্যে ৭১৮ মিটার রাস্তা তৈরি করা হবে৷ বাকি রাস্তা ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে তৈরি করা যায় কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি৷ আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ হয়ে যাবে৷ বিদ্যুতের জন্যও আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি৷”

Last Updated : Jun 28, 2022, 3:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.