মালদা, 30 অগস্ট: রবিবার রাতের ভাঙনের পর সেচ দফতর পাড় বাঁচানোর লড়াই লড়েই চলেছে ৷ চলছে বালি আর মাটির বস্তা ফেলার কাজ ৷ ভূতনির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নবান্নও ৷ ইতিমধ্যে সেচ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সমস্ত স্তরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন বিপন্ন মানুষজন (Malda Villagers Affected by Erosion of Ganges) ৷
রবিবার রাতে গঙ্গার তীব্র ভাঙনে (Erosion of Ganges) ভূতনির কেশরপুর ও কালুটোনটোলায় তলিয়ে যায় নদীবাঁধের একাংশ ৷ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ রাতেই ঘটনাস্থলে যান মানিকচকের জয়েন্ট বিডিও, ভূতনি থানার ওসি, এমনকী এলাকার বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রও (Malda Administration) ৷
এদিন ভোর থেকেই ময়দানে নেমে পড়ে সেচ দফতর ৷ পাড় বাঁচাতে আজও বালি-মাটি ভর্তি বস্তা নদীর ধারে ফেলা হচ্ছে ৷ এই কাজ নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে স্থানীয়দের ৷ এলাকার বাসিন্দা কাউসার আলি বলেন, "গত বছরও এখানে ভাঙন রোধের কাজ হয়েছিল ৷ সেচ দফতর সেই কাজ করে ৷ কিন্তু তাদের কোনও পরিকল্পনাই নেই ৷ এবার ভাঙনের যা তীব্রতা, তাতে এক ঘণ্টার ভাঙন হলে নতুন রিং বাঁধও তলিয়ে যাবে ৷ এই বাঁধ তলিয়ে গেলে ফের নতুন বাঁধ হবে ৷ সেই বাঁধও তলিয়ে যাবে ৷ এভাবে ভূতনিই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ৷ ভূতনির মানুষ আতঙ্কিত ৷ আমরা চাই, স্থায়ীভাবে কাজ করে ভূতনির মানুষকে স্বস্তি দেওয়া হোক ৷"
আরও পড়ুন: ভূতনি চরের ভাঙন অব্যাহত, সংকটে কয়েক লক্ষ মানুষের জীবন
একই বক্তব্য ভূতনি চরের আরেক বাসিন্দা বরকত আলির ৷ তিনি বলেন, "ভূতনিতে কখনই ঠিক মতো ভাঙন রোধের কাজ হয় না ৷ শুখা মরশুমে কাজ করে না ৷ বন্যার মরশুম এলেই কাজ হয়, তাও খুব একটা না ৷ এবারও বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের কাজ হচ্ছে ৷ এই কাজ করে গঙ্গাকে রোখার কোনও সম্ভাবনাই নেই ৷ একমাত্র বোল্ডার পিচিং হলেই ভূতনিকে বাঁচানো যেতে পারে ৷"