মালদা, 24 জুলাই: মালদার পাকুয়াহাটে নারী নির্যাতনের অভিযোগের রেশ গিয়েছে দিল্লিতে ৷ সোমবার লোকসভার অধিবেশন শুরুর আগে এই ঘটনা নিয়ে গান্ধিমূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখান রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা ৷ যা নিয়ে মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু তথা বিজেপির নেতৃকে নিশানা করল মালদার তৃণমূল নেতৃত্ব ৷ খগেন মুর্মু দিল্লিতে গিয়ে নাটক করছেন বলে কটাক্ষ করলেন মালদা তৃণমূলের শীর্ষ নেতা দুলাল সরকার ৷ তাঁর দাবি, পাকুয়াহাটে নারী নির্যাতনের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই ৷ পুরোটাই হাটের মাঝে চোর অপবাদে দুই মহিলাকে মারধর করা হয় ৷
সাংসদ খগেন মুর্মুকে কটাক্ষ করে দুলাল সরকার বলেন, “আর এক বছরের মধ্যে লোকসভা নির্বাচন ৷ খগেন মুর্মু চার বছর ধরে উত্তর মালদার সাংসদ ৷ তিনি নিজের এলাকায় কোনও উন্নয়ন করেননি ৷ মণিপুরে তাঁর দলই সরকারে আছে ৷ সেখানে যেভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, তা নিয়ে তিনি কোনও কথা বলছেন না ৷ হঠাৎ হাটের মধ্যে চোর অপবাদে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা নিয়ে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেছেন ৷’’
ওই তৃণমূল নেতার দাবি, ‘‘বামনগোলার ওই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই ৷ তবে, এর ক’দিন আগে সেখানে বিজেপি পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়েছিল ৷ ওই ঘটনা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছিল ৷ তারই জেরে ক্ষিপ্ত মানুষজন ওই দুই মহিলাকে মারধর করেছে ৷ এখন বলা হচ্ছে, সেখানে পুলিশ আর সিভিক ভলান্টিয়াররা নাকি নীরব দর্শক ছিল ৷ অথচ সেখানে অনেক মানুষকে দেখা গিয়েছে ৷ কেন একজনও দুই মহিলাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলেন না ? আসলে এসব খগেন মুর্মুর নাটক ৷’’
আরও পড়ুন: মণিপুরের পাশে আছে ইন্ডিয়া, একজোট হয়ে জোরালো বার্তা বিরোধীদের; মোদির বিবৃতি দাবি
উল্লেখ্য, এদিন লোকসভায় পাকুয়াহাটের ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন সুকান্ত মজুমদার, খগেন মুর্মু-সহ বিজেপির অন্যান্য সাংসদরা ৷ সেখানেই খগেন মুর্মু তাঁর লোকসভা এলাকার এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করেন, ‘‘যেভাবে পুলিশ এবং সিভিক ভলান্টিয়ারদের সামনে ওই ঘটনা ঘটেছে, তা নিন্দনীয় ৷ যেভাবে পুলিশ ওই দুই মহিলাকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় দু’ঘণ্টা বসিয়ে রেখে, তাঁদেরই ফাঁড়ি ভাঙচুরের মিথ্যে মামলায় জেলে পাঠিয়েছে, তা আরও বেশি নিন্দার ৷ রাজ্য সরকার দোষী পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না-করলে তিনি বিষয়টি লোকসভায় উত্থাপন করবেন ৷’’
আরও পড়ুন: মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ
পাকুয়াহাটের ঘটনায় পুলিশের ষড়যন্ত্রেই পুরো ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন সাংসদ ৷ তাঁর অভিযোগ দুই মহিলাকে যখন নির্যাতন করা হচ্ছিল ৷ তখন সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে পুরোটা দেখেছে পুলিশ ৷ ওই অমানবিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে পুলিশ দুই মহিলাকে উদ্ধারের চেষ্টাও করেনি বলে অভিযোগ করেছেন খগেন মুর্মু ৷