ETV Bharat / state

মালদার দুস্থ পরিবারের পাশে জেলা পুলিশ সুপার

author img

By

Published : Apr 13, 2020, 7:44 PM IST

লকডাউনের ফলে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দিতে পারছিল না দুই বোন ৷ তাই মানসিক অবসাদে ভুগছিল ৷ কারণ পরিবারের দায়িত্ব তাদের উপরই ছিল ৷ তাই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ৷ তবে ভাগ্যক্রমে দুই বোনের মধ্যে একজনের প্রাণ বেঁচে যায় ৷ আজ জেলা পুলিশ দপ্তরে সেই পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও কিছু আর্থিক অনুদান তুলে দিলেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷

Malda police super
মালদা

মালদা, 13 এপ্রিল : ঘরে চাল নেই ৷ লকডাউনের ফলে কাজও বন্ধ ৷ এদিকে পেটের জ্বালা মেটানোর জন্য দুই বোনের দিকেই তাকিয়ে থাকত পরিবারের সবাই ৷ কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দিতে পারছিল না দুই কিশোরী ৷ শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ বাড়ির পাশে একটি আমবাগানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে দু’ বোনই ৷ সৌভাগ্যবশত, ফাঁসের ওড়না ছিঁড়ে এক বোন মাটিতে পড়ে যায় ৷ সেই দৃশ্য দেখে এলাকার লোকজন ছুটে যায় ৷ দুই বোনকেই তাড়াতাড়ি মালদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি ৷ ছোটো বোনটি মারা যায় ৷ আজ জেলা পুলিশ দপ্তরে সেই পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও কিছু আর্থিক অনুদান তুলে দিলেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷ উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার থানার IC মদনমোহন রায় সহ অন্যান্যরাও ৷

উল্লেখ্য, গত 9 এপ্রিল ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছিল ৷ সেখানেই এই দুস্থ পরিবারটির দীর্ঘদিনের বসবাস ৷ পরিবারের কর্তা সেতাব শেখ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন ৷ তাঁর ছয় মেয়ে , এক ছেলে ৷ সেই ছেলেও দুর্ঘটনায় পঙ্গু ৷ দুই পায়ে জোর নেই ৷ সেতাবের স্ত্রী জুমেরা বিবি অসুস্থ ৷ কাজ করার ক্ষমতা নেই ৷ এই পরিস্থিতিতে সংসার চালানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় দুই বোন হাসিনুর খাতুন (15) ও হাসবেরা খাতুন (14) ৷ এলাকারই একটি সারের দোকানে কাজ করত দুই বোন ৷ কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যায় সেই দোকান ৷ দু’জনেই বিপাকে পড়ে যায় ৷ কী করে সংসার চালাবে তাঁরা ভেবে উঠতে পারছিল না ৷ এদিকে ঘরেও কোনও খাবার ছিল না ৷ এসব নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল দুই বোন ৷ অবশেষে গত 9 এপ্রিল বাড়ির পাশে একটি আমবাগানে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে দু’জন ৷ সৌভাগ্যবশত ওড়না ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায় হাসিনুর ৷ তবে ভাগ্য অতটা সহায় হয়নি হাসবেরার ৷ সেই দৃশ্য এলাকার লোকজনের চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই বোনকেই নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিকেলে ৷ হাসবেরাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ অন্যদিকে, চিকিৎসার পর হাসিনুর এখন সুস্থ ৷

ঘটনাটি জানতে পেরেই এগিয়ে এসেছে জেলা পুলিশ ৷ আজ জেলা পুলিশ অফিসে হাসিনুরের হাতে কিছু অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন পুলিশ সুপার ৷ তিনি বলেন , “দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ আমরা ওই পরিবারের হাতে কিছু আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলাম ৷ প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সাহায্য করা হবে ৷ এই পরিবারটির উপর নজর রাখার জন্য ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে বলা হয়েছে৷”

মালদা, 13 এপ্রিল : ঘরে চাল নেই ৷ লকডাউনের ফলে কাজও বন্ধ ৷ এদিকে পেটের জ্বালা মেটানোর জন্য দুই বোনের দিকেই তাকিয়ে থাকত পরিবারের সবাই ৷ কিন্তু পরিবারের সদস্যদের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দিতে পারছিল না দুই কিশোরী ৷ শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় ৷ বাড়ির পাশে একটি আমবাগানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে দু’ বোনই ৷ সৌভাগ্যবশত, ফাঁসের ওড়না ছিঁড়ে এক বোন মাটিতে পড়ে যায় ৷ সেই দৃশ্য দেখে এলাকার লোকজন ছুটে যায় ৷ দুই বোনকেই তাড়াতাড়ি মালদা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি ৷ ছোটো বোনটি মারা যায় ৷ আজ জেলা পুলিশ দপ্তরে সেই পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও কিছু আর্থিক অনুদান তুলে দিলেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷ উপস্থিত ছিলেন ইংরেজবাজার থানার IC মদনমোহন রায় সহ অন্যান্যরাও ৷

উল্লেখ্য, গত 9 এপ্রিল ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছিল ৷ সেখানেই এই দুস্থ পরিবারটির দীর্ঘদিনের বসবাস ৷ পরিবারের কর্তা সেতাব শেখ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন ৷ তাঁর ছয় মেয়ে , এক ছেলে ৷ সেই ছেলেও দুর্ঘটনায় পঙ্গু ৷ দুই পায়ে জোর নেই ৷ সেতাবের স্ত্রী জুমেরা বিবি অসুস্থ ৷ কাজ করার ক্ষমতা নেই ৷ এই পরিস্থিতিতে সংসার চালানোর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় দুই বোন হাসিনুর খাতুন (15) ও হাসবেরা খাতুন (14) ৷ এলাকারই একটি সারের দোকানে কাজ করত দুই বোন ৷ কিন্তু লকডাউন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যায় সেই দোকান ৷ দু’জনেই বিপাকে পড়ে যায় ৷ কী করে সংসার চালাবে তাঁরা ভেবে উঠতে পারছিল না ৷ এদিকে ঘরেও কোনও খাবার ছিল না ৷ এসব নিয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিল দুই বোন ৷ অবশেষে গত 9 এপ্রিল বাড়ির পাশে একটি আমবাগানে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে দু’জন ৷ সৌভাগ্যবশত ওড়না ছিঁড়ে মাটিতে পড়ে যায় হাসিনুর ৷ তবে ভাগ্য অতটা সহায় হয়নি হাসবেরার ৷ সেই দৃশ্য এলাকার লোকজনের চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই বোনকেই নিয়ে যাওয়া হয় মালদা মেডিকেলে ৷ হাসবেরাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা ৷ অন্যদিকে, চিকিৎসার পর হাসিনুর এখন সুস্থ ৷

ঘটনাটি জানতে পেরেই এগিয়ে এসেছে জেলা পুলিশ ৷ আজ জেলা পুলিশ অফিসে হাসিনুরের হাতে কিছু অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন পুলিশ সুপার ৷ তিনি বলেন , “দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ আমরা ওই পরিবারের হাতে কিছু আর্থিক অনুদান ও খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলাম ৷ প্রয়োজনে ভবিষ্যতে আরও সাহায্য করা হবে ৷ এই পরিবারটির উপর নজর রাখার জন্য ইংরেজবাজার থানার পুলিশকে বলা হয়েছে৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.