মালদা, 9 সেপ্টেম্বর: ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল মালদার শ্রমিকের(Malda migrant laborer died in Chennai)৷ মৃতের নাম ছেদু মণ্ডল (55)৷ তাঁর মৃত্যুতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ বিশেষত ঠিকাদার সঞ্জয় মণ্ডলের ভূমিকা নিয়েই তাঁদের সন্দেহ দানা বেঁধেছে ৷ ছেদুবাবুর মৃত্যুর কারণ নিয়ে তাঁরা যথাযথ তদন্তের দাবি করেছেন ৷
ছেদুবাবুর বাড়ি রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের উত্তর রতুয়া গ্রামে(Malda News)৷ তাঁর পুত্রবধূ মিলন মণ্ডল বলেন, "একমাস 20 দিন আগে শ্বশুরমশাই চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে যান ৷ সেখানে বাড়ি ভাঙার কাজ করছিলেন তিনি ৷ ইটাহারের ঠিকাদার সঞ্জয় মণ্ডলের অধীনেই তিনি চেন্নাই গিয়েছিলেন ৷ মঙ্গলবার মাঝরাতে তাঁদের এক আত্মীয়ের কাছে ঠিকাদার সঞ্জয় মণ্ডলের ফোন আসে ৷ সে জানায়, আমার শ্বশুরমশাই মারা গিয়েছেন ৷ মৃত্যুর কারণ নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে ৷ ঠিকাদার একবার বলছে, পেট ব্যথায় শ্বশুরমশাই মারা গিয়েছেন ৷ আরেকবার বলছে, বাথরুমে পড়ে মারা গিয়েছেন ৷ আসল ঘটনা সে বলছে না ৷ উলটে আমরা কিছু বললে সে আমাদের হুমকি দিচ্ছে ৷ তাই আমরা এই ঘটনায় সঠিক তদন্ত দাবি করছি ৷"
আরও পড়ুন : ছেলে-সহ মালদার ব্যবসায়ীকে আটক করল কলকাতা পুলিশ, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
এই বিষয়ে ছেদুবাবুর এক প্রতিবেশী রতন মণ্ডল বলেন, "বুধবার আমরা এই মৃত্যুর খবর পাই ৷ খুব গরিব পরিবার ৷ শেষ কাজ করার মতোও সামর্থ্য নেই ৷ তাই আমরা ঠিকাদারের কাছে কিছু আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছিলাম ৷ কিন্তু সাহায্য করা তো দূরের কথা, সে মৃতদেহও বাড়িতে পাঠাতে রাজি হচ্ছিল না ৷ সেখানেই দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল ৷ অনেক বলার পর মৃতদেহটা অন্তত বাড়ি ফিরিয়ে আনা গিয়েছে ৷ ঠিকাদারের কথায় আমাদের খুব সন্দেহ হচ্ছে ৷ চেন্নাইয়ে মৃতদেহের পোস্টমর্টেম হয়েছে ৷ আমরা চাইছি, এই মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হোক ৷ একইসঙ্গে এই পরিবারটিকে কিছু আর্থিক সহায়তা করা হোক ৷"
যদিও রতুয়া থানার পুলিশ এই বিষয়ে জানিয়েছে, এনিয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি ৷ অভিযোগ হলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে ৷
আরও পড়ুন : মালদায় সিভিক ভলান্টিয়ারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, আটক অভিযুক্ত মহিলা