ETV Bharat / state

টিকাকরণের জের, রক্তশূন্য মালদা হাসপাতাল; চিন্তা বাড়ছে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে

author img

By

Published : Jun 3, 2021, 6:50 AM IST

করোনা টিকাকরণের ধাক্কায় মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক চরম সমস্যায় পড়েছে ৷ ভ্যাকসিনদাতারা আপাতত রক্ত দিচ্ছেন না ৷ রক্তদান শিবিরও সেভাবে হচ্ছে না বললেই চলে ৷ গতকাল পর্যন্ত মালদা মেডিকেলে মাত্র 4-5 ইউনিট রক্ত ছিল ।

রক্তশূন্য মালদা মেডিকেল কলেজ
রক্তশূন্য মালদা মেডিকেল কলেজ

মালদা, 3 জুন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার মানুষ ৷ তবে মানুষের সচেতনতায় সংক্রমণের হার এখন নিম্নমুখী ৷ সবাই বুঝেছে, ভ্যাকসিন নিতেই হবে ৷ তাই প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছেন টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে ৷ জেলায় ভ্যাকসিনেশনের হারও বেশ ভাল ৷ ইতিমধ্যে 18 থেকে 44 বছর বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷ সেটাও চলছে বেশ ভালই ৷ এদিকে এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের ৷ জুটছে না রক্ত ৷ ভ্যাকসিনদাতারা রক্ত দিচ্ছেন না ৷ মালদা মেডিকেলে রক্তের ভাঁড়ার খালি ৷

কীভাবে মেটানো যাবে সমস্যা ? তার পথ ঠিক করতে গতকাল ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে ৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে, রক্ত সংকট মেটাতে জেলা প্রশাসনের কাছে রক্তদান শিবিরের জন্য আবেদন জানানো হবে ৷

মালদা মেডিকেলে রোগীর চাপ বরাবরই বেশি ৷ শুধু এই জেলা নয় ৷ দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদের একাংশ, পার্শ্ববর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ড, এমনকি বাংলাদেশ থেকেও অনেক রোগী এখানে ভর্তি হন ৷ তাঁদের অনেককে জরুরি ভিত্তিতে রক্তও দিতে হয় ৷ কিন্তু করোনার ধাক্কায় মেডিকেলের ব্লাড ব্যাঙ্ক চরম সমস্যায় পড়েছে ৷ রোগীর বাড়ির লোককে একই গ্রুপের রক্তদাতা নিয়ে এসে রক্ত সংগ্রহ করতে হচ্ছে ৷ এই অবস্থায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কী হবে, জানে না কেউ ৷

কী বললেন মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ ?

বৈঠকে উপস্থিত মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জ, চিকিৎসক মজিবুল হক বলেন, “আমাদের প্রতিদিন 70 থেকে 80 ইউনিট রক্ত সরবরাহ করতে হয় ৷ কিন্তু মেডিকেলে মাত্র 4-5 ইউনিট রক্ত রয়েছে ৷ করোনাবিধি ও ভ্যাকসিনেশনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে যেমন রক্তদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছে, তেমন রক্তদান শিবির হচ্ছে না বললেই চলে ৷ এই পরিস্থিতিতে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শিবিরের আয়োজন করলেও রক্তদাতা পাওয়া যাচ্ছে না ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ আমরা আলোচনায় বসেছিলাম ৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে, রক্তের সংকট মেটাতে পুলিশ, প্রশাসন, বিএসএফ সহ বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার আবেদন জানানো হবে ৷ রক্তের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত প্রায় 900 শিশু ৷”

আরও পড়ুন : মুকুল-জায়াকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেক, শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা

মালদা, 3 জুন : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার মানুষ ৷ তবে মানুষের সচেতনতায় সংক্রমণের হার এখন নিম্নমুখী ৷ সবাই বুঝেছে, ভ্যাকসিন নিতেই হবে ৷ তাই প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছেন টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে ৷ জেলায় ভ্যাকসিনেশনের হারও বেশ ভাল ৷ ইতিমধ্যে 18 থেকে 44 বছর বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ৷ সেটাও চলছে বেশ ভালই ৷ এদিকে এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীদের ৷ জুটছে না রক্ত ৷ ভ্যাকসিনদাতারা রক্ত দিচ্ছেন না ৷ মালদা মেডিকেলে রক্তের ভাঁড়ার খালি ৷

কীভাবে মেটানো যাবে সমস্যা ? তার পথ ঠিক করতে গতকাল ব্লাড ব্যাঙ্কের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে ৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে, রক্ত সংকট মেটাতে জেলা প্রশাসনের কাছে রক্তদান শিবিরের জন্য আবেদন জানানো হবে ৷

মালদা মেডিকেলে রোগীর চাপ বরাবরই বেশি ৷ শুধু এই জেলা নয় ৷ দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদের একাংশ, পার্শ্ববর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ড, এমনকি বাংলাদেশ থেকেও অনেক রোগী এখানে ভর্তি হন ৷ তাঁদের অনেককে জরুরি ভিত্তিতে রক্তও দিতে হয় ৷ কিন্তু করোনার ধাক্কায় মেডিকেলের ব্লাড ব্যাঙ্ক চরম সমস্যায় পড়েছে ৷ রোগীর বাড়ির লোককে একই গ্রুপের রক্তদাতা নিয়ে এসে রক্ত সংগ্রহ করতে হচ্ছে ৷ এই অবস্থায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কী হবে, জানে না কেউ ৷

কী বললেন মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ ?

বৈঠকে উপস্থিত মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জ, চিকিৎসক মজিবুল হক বলেন, “আমাদের প্রতিদিন 70 থেকে 80 ইউনিট রক্ত সরবরাহ করতে হয় ৷ কিন্তু মেডিকেলে মাত্র 4-5 ইউনিট রক্ত রয়েছে ৷ করোনাবিধি ও ভ্যাকসিনেশনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিকে যেমন রক্তদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছে, তেমন রক্তদান শিবির হচ্ছে না বললেই চলে ৷ এই পরিস্থিতিতে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শিবিরের আয়োজন করলেও রক্তদাতা পাওয়া যাচ্ছে না ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আজ আমরা আলোচনায় বসেছিলাম ৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে, রক্তের সংকট মেটাতে পুলিশ, প্রশাসন, বিএসএফ সহ বিভিন্ন জায়গায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার আবেদন জানানো হবে ৷ রক্তের এই সংকটে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত প্রায় 900 শিশু ৷”

আরও পড়ুন : মুকুল-জায়াকে দেখতে হাসপাতালে অভিষেক, শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.