মালদা, 8 মে: আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছে বহু সংস্থা। এই থ্যালাসেমিয়া দিবসেই মাথায় হাত রোগীর আত্মীয়দের। মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে রক্তের মজুত শূন্য। সকাল থেকেই রক্তের জন্য মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাংকের সামনে অপেক্ষা করে রয়েছেন বহু মানুষ। অনেকেই আবার ছুটেছেন ডোনার খুঁজতে। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে এমনই ছবি মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, বরাবরই মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ওপর চাপ বেশি থাকে। শুধু আশেপাশের জেলা নয়, বিহার, ঝাড়খণ্ড এমনকী বাংলাদেশ থেকেও লোকজন মালদা মেডিক্যালে চিকিৎসা করাতে আসেন। স্বভাবতই মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রক্তের চাহিদা প্রচুর। বছরের বেশিরভাগ সময়ই চাহিদার তুলনায় জোগান থাকে না। বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসেও সেই ছবি দেখা গেল মালদা মেডিক্যালে। দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মালদা মেডিক্যালে ব্লাড ব্যাংকে রক্তের খোঁজে এসেছিলেন আগ্নিক চক্রবর্তী।
তিনি বলেন,"পিসেমশাইয়ের জন্য দুই ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের বোর্ডে দেখা যাচ্ছে কোনও গ্রুপের রক্তই মজুত নেই। আমি একজন ডোনার সঙ্গে এনেছি। আমার কাছে ব্লাড ডোনেট করার কার্ডও রয়েছে। কিন্তু তাতেও রক্ত পাইনি। আমি নিজের রক্ত এক্সচেঞ্জ করার কথাও জানিয়েছি। তাতেও ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেভাবে কোনও উত্তর দেয়নি। দুপুর দু'টো নাগাদ আমাকে আবার আসতে বলা হল। মানুষ কী পরিমাণ সমস্যায় রয়েছে তা দেখতে পাচ্ছি। এটা শুধু আমার সমস্যা নয়, সকলের সমস্যা। এখন হঠাৎ যদি জরুরি কোনও রোগী আসে, তিনি যদি রক্ত না-পান, তাহলে আর কিছুই বলার থাকবে না। মেডিক্যাল কলেজের মতো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জায়গায় একটাও ব্লাড থাকবে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না।"
আরও পড়ুন: থ্যালাসেমিয়া দিবসে সচেতনতাই হোক রোগমুক্তির হাতিয়ার
রোগীর আরেক আত্মীয় বলেন,"শাশুড়ি মা মেডিক্যালে ভরতি আছেন। তাঁর জন্য রক্ত নিতে এসেছি। কিন্তু ব্লাড ব্যাংকে রক্ত পাইনি। ব্লাড ব্যাংকের বোর্ডে সমস্ত বিভাগের রক্তের কাউন্টিং শূন্য দেখাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ডোনার জোগাড় করতে বলেছে।" মেডিক্যালের সুপার পুরঞ্জয় সাহা জানান, মালদা মেডিক্যালে বরাবরই রক্তের প্রচুর চাহিদা থাকে। গতকালও বেশ কিছু ইউনিট রক্ত ব্লাড ব্যাংকে এসেছে। আজও কিছু এনজিওর সঙ্গে রক্তদান শিবির করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে রক্তদানের জন্য আমরা উৎসাহিত করছি। তবে ব্লাড ব্যাংকে খুব বেশি রক্তের সংকট হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।"