ETV Bharat / state

Primary Teacher Job শিলিগুড়ির ববিতার পর হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকের চাকরি ফিরে পেলেন মালদার মিরাজ

বৈধ চাকরি খোয়া গিয়েছিল মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা মিরাজ শেখ ৷ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশে সেই চাকরি ফিরে পেলেন (Primary Teacher Job) তিনি ৷

author img

By

Published : Aug 17, 2022, 3:05 PM IST

Malda man gets back his job as Primary Teacher by Calcutta High Court direction
Primary Teacher Job Return আদালতের নির্দেশে হারানো চাকরি ফেরত পেলেন মালদার মিরাজ

মালদা, 17 অগস্ট: বিচারপতি সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ৷ তাঁর নির্দেশেই চাকরি ফিরে পেলেন মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা মিরাজ শেখ ৷ বৈধভাবে চাকরি পাওয়ার পরও তাঁর নিয়োগ বাতিল হয়ে গিয়েছিল ! শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে খোয়া যাওয়া চাকরি ফেরত পেলেন (Primary Teacher Job) এই যুবক ৷

2014 সালে রাজ্য শিক্ষা দফতরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন মিরাজ ৷ লিখিত পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর 2020 সালে ইন্টারভিউয়ে ডাক পান তিনি ৷ শেষ পর্যন্ত 2021 সালে নিয়োগপত্র হাতে পান মিরাজ ৷ ওই বছরেরই 11 ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের পুথিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগ দেন তিনি ৷ কিন্তু, 2022 সালের 31 জানুয়ারি স্কুলের অন্য শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা ঢুকে গেলেও তিনি তা পাননি ৷ এরপর মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মিরাজ ৷ শেষ পর্যন্ত শিক্ষাগত শংসাপত্রে ত্রুটি থাকার অভিযোগ তুলে গত 31 মার্চ তাঁর চাকরি কেড়ে নেওয়া হয় ! এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মিরাজ ৷

আরও পড়ুন: SSC Recruitment Scam: 30 জুনের মধ্যে অঙ্কিতার পদে ববিতাকে নিয়োগের নির্দেশ, দিতে হবে অঙ্কিতার বেতনের ফেরতের টাকাও

মিরাজ জানিয়েছেন, "31 জানুয়ারি সবার বেতন হয়ে গেলেও আমি বেতন পাইনি ৷ পরের দিন আমি এ নিয়ে স্কুল পরিদর্শককে ফোন করি ৷ তিনি আমাকে জানান, আমার ফাইলে সমস্যা রয়েছে ৷ আমি যেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে যোগাযোগ করি ৷ সেখানে যোগাযোগ করলে আমাকে বলা হয়, আমার স্নাতকস্তরের নম্বর ঠিক থাকলেও অনার্স সাবজেক্টের নম্বর প্রয়োজনের তুলনায় কম রয়েছে ৷ এক্ষেত্রে রাজ্য শিক্ষা দফতর এনসিআরটি-এর নিয়ম মানেনি ৷ আসলে এ সব কিছু যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার কৌশল ছিল ৷ আমার বিএড-ও রয়েছে ৷ তেমনই নিয়ম হলে অনার্স নম্বরের ভিত্তিতে আমাকে বিএড কেন করতে দেওয়া হল ? যাই হোক, ডিপিএসসি-এর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করার পরও আমার সমস্যা মেটেনি ৷ এ নিয়ে কথা বলার জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমি রাজ্য শিক্ষা দফতরে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করি ৷ কিন্তু, তিনি আমার কথার কোনও গুরুত্ব দেননি ৷ সাফ জানিয়ে দেন, ডিপিএসসি যা করবে সেটাই চূড়ান্ত ৷ 31 মার্চ আমাকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, আমার চাকরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে ৷ এরপর মে মাসে আমি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই ৷"

আদালতের রায়ে খুশি মিরাজ শেখ ৷

সংশ্লিষ্ট মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে ৷ সব দিক খতিয়ে দেখে তিনি যত দ্রুত সম্ভব মিরাজ শেখের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ আদালতের রায়ে খুশি এই যুবক ৷ তাঁর বক্তব্য, এভাবে চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁর সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছিল ৷ সম্প্রতি অসংখ্য চাকরি প্রাপকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে ৷ আদালতের নির্দেশে তাঁদের অনেককেই অবৈধভাবে পাওয়া চাকরি হারাতে হয়েছে ৷ মিরাজ বলেন, তাঁর চাকরি চলে যাওয়াকেও এই বেআইনি কারবারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন অনেকে ৷ ফলে আদালতের নির্দেশে শুধুমাত্র চাকরি নয়, হৃত সম্মানও ফিরে পেয়েছেন বলে মনে করছেন মিরাজ ৷ প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশেই চাকরি ফিরে পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার ৷

মালদা, 17 অগস্ট: বিচারপতি সেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ৷ তাঁর নির্দেশেই চাকরি ফিরে পেলেন মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা মিরাজ শেখ ৷ বৈধভাবে চাকরি পাওয়ার পরও তাঁর নিয়োগ বাতিল হয়ে গিয়েছিল ! শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে খোয়া যাওয়া চাকরি ফেরত পেলেন (Primary Teacher Job) এই যুবক ৷

2014 সালে রাজ্য শিক্ষা দফতরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন মিরাজ ৷ লিখিত পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর 2020 সালে ইন্টারভিউয়ে ডাক পান তিনি ৷ শেষ পর্যন্ত 2021 সালে নিয়োগপত্র হাতে পান মিরাজ ৷ ওই বছরেরই 11 ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের পুথিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগ দেন তিনি ৷ কিন্তু, 2022 সালের 31 জানুয়ারি স্কুলের অন্য শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে বেতনের টাকা ঢুকে গেলেও তিনি তা পাননি ৷ এরপর মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মিরাজ ৷ শেষ পর্যন্ত শিক্ষাগত শংসাপত্রে ত্রুটি থাকার অভিযোগ তুলে গত 31 মার্চ তাঁর চাকরি কেড়ে নেওয়া হয় ! এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মিরাজ ৷

আরও পড়ুন: SSC Recruitment Scam: 30 জুনের মধ্যে অঙ্কিতার পদে ববিতাকে নিয়োগের নির্দেশ, দিতে হবে অঙ্কিতার বেতনের ফেরতের টাকাও

মিরাজ জানিয়েছেন, "31 জানুয়ারি সবার বেতন হয়ে গেলেও আমি বেতন পাইনি ৷ পরের দিন আমি এ নিয়ে স্কুল পরিদর্শককে ফোন করি ৷ তিনি আমাকে জানান, আমার ফাইলে সমস্যা রয়েছে ৷ আমি যেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে যোগাযোগ করি ৷ সেখানে যোগাযোগ করলে আমাকে বলা হয়, আমার স্নাতকস্তরের নম্বর ঠিক থাকলেও অনার্স সাবজেক্টের নম্বর প্রয়োজনের তুলনায় কম রয়েছে ৷ এক্ষেত্রে রাজ্য শিক্ষা দফতর এনসিআরটি-এর নিয়ম মানেনি ৷ আসলে এ সব কিছু যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার কৌশল ছিল ৷ আমার বিএড-ও রয়েছে ৷ তেমনই নিয়ম হলে অনার্স নম্বরের ভিত্তিতে আমাকে বিএড কেন করতে দেওয়া হল ? যাই হোক, ডিপিএসসি-এর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করার পরও আমার সমস্যা মেটেনি ৷ এ নিয়ে কথা বলার জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমি রাজ্য শিক্ষা দফতরে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করি ৷ কিন্তু, তিনি আমার কথার কোনও গুরুত্ব দেননি ৷ সাফ জানিয়ে দেন, ডিপিএসসি যা করবে সেটাই চূড়ান্ত ৷ 31 মার্চ আমাকে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, আমার চাকরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে ৷ এরপর মে মাসে আমি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই ৷"

আদালতের রায়ে খুশি মিরাজ শেখ ৷

সংশ্লিষ্ট মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাসে ৷ সব দিক খতিয়ে দেখে তিনি যত দ্রুত সম্ভব মিরাজ শেখের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ আদালতের রায়ে খুশি এই যুবক ৷ তাঁর বক্তব্য, এভাবে চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁর সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছিল ৷ সম্প্রতি অসংখ্য চাকরি প্রাপকের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে ৷ আদালতের নির্দেশে তাঁদের অনেককেই অবৈধভাবে পাওয়া চাকরি হারাতে হয়েছে ৷ মিরাজ বলেন, তাঁর চাকরি চলে যাওয়াকেও এই বেআইনি কারবারের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন অনেকে ৷ ফলে আদালতের নির্দেশে শুধুমাত্র চাকরি নয়, হৃত সম্মানও ফিরে পেয়েছেন বলে মনে করছেন মিরাজ ৷ প্রসঙ্গত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নির্দেশেই চাকরি ফিরে পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.