ETV Bharat / state

Left Front wants to meet Mamata : নদী ভাঙন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায় বামফ্রন্ট - নদী ভাঙন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা চায় বামফ্রন্ট

আগামী বুধবার মালদা জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেদিনই গঙ্গা ভাঙনে বিধ্বস্ত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায় মালদা জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব ( Left Front wants to meet Mamata for the river erosion issue ) ৷

Left Front wants to meet Mamata
নদী ভাঙন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায় বামফ্রন্ট
author img

By

Published : Dec 6, 2021, 10:53 PM IST

মালদা, 6 ডিসেম্বর : আগামী বুধবার মালদা জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে । সেদিন গঙ্গা ভাঙনে বিধ্বস্ত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায় জেলা বামফ্রন্ট । জেলার গঙ্গা ভাঙন পরিস্থিতি ও দুর্গতদের পুনর্বাসনের দাবি নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান তারা ( Left Front wants to meet Mamata for the river erosion issue )। নেতৃত্বের দাবি, মালদা থেকে বহরমপুর যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীকে ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকা সরেজমিনে দেখে যেতে হবে ।

সোমবার জেলা বামফ্রন্টের তরফে ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে সেখানে বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক অম্বর মিত্র বলেন, “এই জেলায় দীর্ঘদিন ধরেই গঙ্গা, ফুলহর ও কোশী নদীর ভাঙন চলছে । নদী ভাঙনে জেলার প্রায় সাত লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত । এক লাখ হেক্টরেরও বেশি জমি নদীতে তলিয়ে গিয়েছে । মানুষ বিপর্যস্ত । এ নিয়ে আমরা বারবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে নিজেদের দাবি জানিয়েছি । গত 7 অক্টোবর বৈষ্ণবনগরের 18 মাইলে কয়েক হাজার ভাঙন দুর্গত মানুষ পুনর্বাসনের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন । সেদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিডিও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা নিয়েছিলেন । সেই সময় আমরা প্রায় 550 একর অব্যবহৃত সরকারি জমির সন্ধান প্রশাসনকে দিয়েছিলাম । ওই জমি রাজ্য ও কেন্দ্রের । কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুনর্বাসনের কোনও ব্যবস্থা হয়নি । এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মালদায় আসছেন । তিনদিন তিনি এই জেলায় থাকবেন । 8 ডিসেম্বর এই জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করে তিনি বহরমপুর যাবেন । সেদিন আমরা তাঁর কাছে সামান্য সময় চাইছি ।"

তিনি আরও বলেন, "জেলা বামফ্রন্টের তরফে আমরা তাঁর কাছে ভাঙন ও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নিজেদের দাবি পেশ করতে চাই । কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এই জেলার একটা বড় অংশ বিএসএফের হাতে চলে যাবে । যা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় হতে পারে না । মুখ্যমন্ত্রী সময় না দিলে মানুষ রাস্তা থেকেই নিজেদের দাবিতে স্লোগান দেবে । এই মানুষেরা তো রাস্তাতেই রয়েছে । এটা কোনও দলের বিষয় নয় । ভাঙনে কোনও নির্দিষ্ট দলের জমি-বাড়ি নদীতে তলিয়ে যায়নি । দল ও ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে।”

আরও পড়ুন : মমতার টালির ঘরে কোটিপতি ভ্রাতৃবধূ, পৌরভোটের মনোনয়নে প্রকাশ্যে এল তথ্য

বৈষ্ণবনগরের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষ জানান, ইতিমধ্যেইকালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের 15 কিলোমিটার এলাকা গঙ্গাগর্ভে চলে গিয়েছে । এছাড়া কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের সাড়ে সাত কিলোমিটার, মানিকচক ব্লকের বিস্তীর্ণ অংশ, কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের বেশ কিছু অংশও গঙ্গা ভাঙনের শিকার । রতুয়া ১ ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক ফুলহরের ভাঙনে ধ্বস্ত । ওই দুই ব্লকেও প্রচুর জমি-বাড়ি গিলে নিয়েছে নদী । তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বৈষ্ণবনগরের বীরনগর এলাকার পাশ দিয়েই বহরমপুর যাবেন । সেখানে চামাগ্রাম হাইস্কুলে ভাঙন উদ্বাস্তুরা গবাদি পশুর সঙ্গে বাস করছে । মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ মিনিট সময় দিলে তিনি নিজেই সব কিছু দেখতে পাবেন। সেখানকার বিধায়ক এখন তাঁরই দলের । তাই আমি বিধায়কের কাছেও আবেদন করছি, তিনি যেন মুখ্যমন্ত্রীকে ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকায় নিয়ে যান ।”

মালদা, 6 ডিসেম্বর : আগামী বুধবার মালদা জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক মহলে তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে । সেদিন গঙ্গা ভাঙনে বিধ্বস্ত মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায় জেলা বামফ্রন্ট । জেলার গঙ্গা ভাঙন পরিস্থিতি ও দুর্গতদের পুনর্বাসনের দাবি নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চান তারা ( Left Front wants to meet Mamata for the river erosion issue )। নেতৃত্বের দাবি, মালদা থেকে বহরমপুর যাওয়ার পথে মুখ্যমন্ত্রীকে ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকা সরেজমিনে দেখে যেতে হবে ।

সোমবার জেলা বামফ্রন্টের তরফে ডাকা সাংবাদিক বৈঠকে সেখানে বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক অম্বর মিত্র বলেন, “এই জেলায় দীর্ঘদিন ধরেই গঙ্গা, ফুলহর ও কোশী নদীর ভাঙন চলছে । নদী ভাঙনে জেলার প্রায় সাত লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত । এক লাখ হেক্টরেরও বেশি জমি নদীতে তলিয়ে গিয়েছে । মানুষ বিপর্যস্ত । এ নিয়ে আমরা বারবার কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে নিজেদের দাবি জানিয়েছি । গত 7 অক্টোবর বৈষ্ণবনগরের 18 মাইলে কয়েক হাজার ভাঙন দুর্গত মানুষ পুনর্বাসনের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন । সেদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বিডিও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা নিয়েছিলেন । সেই সময় আমরা প্রায় 550 একর অব্যবহৃত সরকারি জমির সন্ধান প্রশাসনকে দিয়েছিলাম । ওই জমি রাজ্য ও কেন্দ্রের । কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুনর্বাসনের কোনও ব্যবস্থা হয়নি । এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মালদায় আসছেন । তিনদিন তিনি এই জেলায় থাকবেন । 8 ডিসেম্বর এই জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করে তিনি বহরমপুর যাবেন । সেদিন আমরা তাঁর কাছে সামান্য সময় চাইছি ।"

তিনি আরও বলেন, "জেলা বামফ্রন্টের তরফে আমরা তাঁর কাছে ভাঙন ও সীমান্ত সমস্যা নিয়ে নিজেদের দাবি পেশ করতে চাই । কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এই জেলার একটা বড় অংশ বিএসএফের হাতে চলে যাবে । যা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় হতে পারে না । মুখ্যমন্ত্রী সময় না দিলে মানুষ রাস্তা থেকেই নিজেদের দাবিতে স্লোগান দেবে । এই মানুষেরা তো রাস্তাতেই রয়েছে । এটা কোনও দলের বিষয় নয় । ভাঙনে কোনও নির্দিষ্ট দলের জমি-বাড়ি নদীতে তলিয়ে যায়নি । দল ও ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছে।”

আরও পড়ুন : মমতার টালির ঘরে কোটিপতি ভ্রাতৃবধূ, পৌরভোটের মনোনয়নে প্রকাশ্যে এল তথ্য

বৈষ্ণবনগরের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষ জানান, ইতিমধ্যেইকালিয়াচক 2 নম্বর ব্লকের 15 কিলোমিটার এলাকা গঙ্গাগর্ভে চলে গিয়েছে । এছাড়া কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের সাড়ে সাত কিলোমিটার, মানিকচক ব্লকের বিস্তীর্ণ অংশ, কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের বেশ কিছু অংশও গঙ্গা ভাঙনের শিকার । রতুয়া ১ ও হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক ফুলহরের ভাঙনে ধ্বস্ত । ওই দুই ব্লকেও প্রচুর জমি-বাড়ি গিলে নিয়েছে নদী । তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বৈষ্ণবনগরের বীরনগর এলাকার পাশ দিয়েই বহরমপুর যাবেন । সেখানে চামাগ্রাম হাইস্কুলে ভাঙন উদ্বাস্তুরা গবাদি পশুর সঙ্গে বাস করছে । মুখ্যমন্ত্রী পাঁচ মিনিট সময় দিলে তিনি নিজেই সব কিছু দেখতে পাবেন। সেখানকার বিধায়ক এখন তাঁরই দলের । তাই আমি বিধায়কের কাছেও আবেদন করছি, তিনি যেন মুখ্যমন্ত্রীকে ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকায় নিয়ে যান ।”

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.