মালদা, 17 এপ্রিল : শিলিগুড়ির পর এবার গাজোল ৷ হটস্পট জ়োন থেকে কর্মক্ষেত্রে ফিরেই রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছিল শিলিগুড়ির চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৷ এবার কোরোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা করার অভিযোগ উঠল গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধেও ৷ রাজ্যের হটস্পট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত উত্তর 24 পরগনা ৷ সেখান থেকে ফিরেই আজ তিনি নিজের কোয়ার্টারে রোগী দেখা শুরু করে দেন ৷ এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ চিন্তিত হাসপাতালের অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরাও ৷ একজন হাসপাতাল সুপারের এরকম কাজে অবাক জেলা স্বাস্থ্য বিভাগও ৷
গাজোল গ্রামীণ হাসপাতালের সুপারের বাড়ি উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে ৷ কোরোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই জেলাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ 13 এপ্রিল মধ্যমগ্রামের বাড়িতে যান তিনি ৷ তাঁর চেম্বারের দরজাতেও লেখা রয়েছে, 13 এপ্রিল সকাল 11টা থেকে 16 এপ্রিল রাত আটটা পর্যন্ত চেম্বার বন্ধ থাকবে ৷ গতরাতে তিনি গাজোলে ফেরেন ৷ একই সময় বাড়ি গিয়েছিলেন এই হাসপাতালের চিকিৎসক সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফার্মাসিস্ট অর্পণ রায় ও এক্স-রে টেকনিশিয়ন আবদুল রহিমও ৷ তাঁরাও গতকাল একই গাড়িতে গাজোল ফিরেছেন ৷ সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, তাঁদের সবারই 14 দিন কোয়ারান্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক ৷ সেই মতো হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের পরামর্শে সুব্রতবাবু, অর্পণবাবু এবং রহিম সাহেব হোম কোয়ারান্টাইনে চলে যান ৷ কিন্তু, সবার আবেদন উপেক্ষা করে আজ সকাল থেকেই নিজের চেম্বারে রোগী দেখতে শুরু করেন হাসপাতাল সুপার ৷
আজ সকাল থেকেই রোগীদের ভিড়ও চোখে পড়ে তাঁর চেম্বারের বাইরে ৷ সেখানে মানা হয়নি সামাজিক দূরত্বও ৷ এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে হাসপাতাল সুপার কোনও উত্তর দিতে পারেননি ৷ তিনি বলেন, "আমি মধ্যমগ্রাম যাইনি ৷ মালদা শহরেই ছিলাম ৷ তাই আমার কোয়ারান্টাইনে যাওয়ার প্রশ্ন নেই ৷ আমাকে নিয়ে ভুল কথা রটছে ৷" যদিও তাঁর সঙ্গে একই গাড়িতে ফেরা বাকি তিনজন ও হাসপাতালের অন্য কর্মীরা পরিষ্কার জানিয়েছেন, সুপার মধ্যমগ্রামের বাড়িতেই গিয়েছিলেন ৷ অন্য কোথাও নয় ৷
ঘটনাটি জানতে পেরে হতভম্ব জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন, "এমন ঘটনার কথা জানা ছিল না ৷ একজন সরকারি চিকিৎসকের কাছ থেকে এমন ঘটনা আশা করা যায় না ৷ বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি ৷" একইভাবে ঘটনায় অবাক হয়েছেন কোরোনা সংক্রান্ত নোডাল অফিসার অমিতাভ মণ্ডলও ৷