ETV Bharat / state

বাজেটের আগে ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে বিপাকে মালদাবাসী

একাধিক দাবিতে আজ থেকে গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ইউনিয়ন ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়নস্‌-এর দু’দিনের ধর্মঘট ৷ বন্ধ সব ATM-ও ৷

bank strike
ব্যাংক ধর্মঘট
author img

By

Published : Jan 31, 2020, 2:09 PM IST

মালদা,৩১ জানুয়ারি : মাসের শেষদিনে দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে দেশবাসী ৷ ধর্মঘট শেষ হবে রবিবার, ব্যাঙ্ক খুলবে সোমবার ৷ স্বাভাবিকভাবেই এবার মাসের এক তারিখে বেতন পাচ্ছেন না সরকারি কর্মী ও শিক্ষকরা ৷ তার থেকেও বড় সমস্যা ধর্মঘটের জেরে বিয়ের মরশুমে বন্ধ থাকছে ATM-ও৷ ফলে বিপদে পড়তে চলেছে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও ৷ যদিও ধর্মঘটকারীদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই তাদের এই ধর্মঘট ৷ কেন্দ্রীয় সরকারকে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন ।


একাধিক দাবিতে আজ থেকে গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ইউনিয়ন ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস্‌-এর দু’দিনের ধর্মঘট ৷ ব্যতিক্রম নয় মালদা জেলাও ৷ বন্ধ রয়েছে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, বন্ধ সব ATM-ও ৷ মালদা জেলার ধর্মঘটকারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুশোভন চৌধুরি বলেন, “এই ধর্মঘটে সব স্তরের ব্যাঙ্ক কর্মীরাই সামিল হয়েছেন ৷ ধর্মঘটের পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে ৷ তবে একটা কথা বলতে পারি, জনসাধারণের স্বার্থেই আমরা এই ধর্মঘট ডেকেছি ৷ সাধারণ মানুষের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে ব্যাঙ্ককর্মীরা নিজেদের স্বার্থেই ধর্মঘটের ডাকে, কিন্তু এক্ষেত্রে তা সঠিক নয় ৷ আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের স্বার্থে একাধিক দাবি রেখেছিলাম ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই দাবিগুলি মানেনি ৷ যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা কর্পোরেট ঋণ মকুব করে দিচ্ছে, সেখানে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম দু’হাজার টাকা না থাকলে ফাইন চার্জ কাটা হচ্ছে ৷ খেটে খাওয়া গরিব মানুষ এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে ৷ গোটা দেশে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে, অথচ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন স্তরে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হচ্ছে না কাউকে ৷ অফিসারদের কাজের কোনও সময়সীমা নেই ৷ লোকবল কম থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে ৷ নোটবন্দির সময় কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, কালো টাকা ধ্বংসের জন্যই এই সিদ্ধান্ত ৷ কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিষ্কার জানিয়েছে, ৯৯ শতাংশের বেশি কালো টাকা তাদের ঘরেই ফিরে এসেছে ৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তে শুধু ব্যাঙ্ক কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষও হয়রানির শিকার হয়েছে৷ তার জবাব কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি৷ সম্প্রতি আধার কার্ডের দায়িত্বও ব্যাঙ্কের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই আমরা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি’’৷

মালদায় ধর্মঘটকারীদের বক্তব্য

সুশোভনবাবু আরও বলেন, “আমাদের দাবিগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনতে বাজেট পেশের আগেই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে৷ কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা মাস পয়লায় বেতন পাবেন না৷ কিন্তু তাঁরা বোধহয় জানেন না, ব্যাঙ্ক কর্মীরা দু’দিনের মাইনের বদলে এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন৷ ধর্মঘট চলাকালীন কোনও ATM খোলা থাকছে না৷ এই ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের যে কিছুটা অসুবিধা হবে, তা আমরা মেনে নিচ্ছি৷ তবে মানুষের স্বার্থেই এই ধর্মঘট৷”

মালদা,৩১ জানুয়ারি : মাসের শেষদিনে দু’দিনের ব্যাঙ্ক ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে দেশবাসী ৷ ধর্মঘট শেষ হবে রবিবার, ব্যাঙ্ক খুলবে সোমবার ৷ স্বাভাবিকভাবেই এবার মাসের এক তারিখে বেতন পাচ্ছেন না সরকারি কর্মী ও শিক্ষকরা ৷ তার থেকেও বড় সমস্যা ধর্মঘটের জেরে বিয়ের মরশুমে বন্ধ থাকছে ATM-ও৷ ফলে বিপদে পড়তে চলেছে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও ৷ যদিও ধর্মঘটকারীদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই তাদের এই ধর্মঘট ৷ কেন্দ্রীয় সরকারকে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন ।


একাধিক দাবিতে আজ থেকে গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ইউনিয়ন ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস্‌-এর দু’দিনের ধর্মঘট ৷ ব্যতিক্রম নয় মালদা জেলাও ৷ বন্ধ রয়েছে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, বন্ধ সব ATM-ও ৷ মালদা জেলার ধর্মঘটকারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুশোভন চৌধুরি বলেন, “এই ধর্মঘটে সব স্তরের ব্যাঙ্ক কর্মীরাই সামিল হয়েছেন ৷ ধর্মঘটের পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে ৷ তবে একটা কথা বলতে পারি, জনসাধারণের স্বার্থেই আমরা এই ধর্মঘট ডেকেছি ৷ সাধারণ মানুষের একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে ব্যাঙ্ককর্মীরা নিজেদের স্বার্থেই ধর্মঘটের ডাকে, কিন্তু এক্ষেত্রে তা সঠিক নয় ৷ আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের স্বার্থে একাধিক দাবি রেখেছিলাম ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই দাবিগুলি মানেনি ৷ যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা কর্পোরেট ঋণ মকুব করে দিচ্ছে, সেখানে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম দু’হাজার টাকা না থাকলে ফাইন চার্জ কাটা হচ্ছে ৷ খেটে খাওয়া গরিব মানুষ এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে ৷ গোটা দেশে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে, অথচ ব্যাঙ্কের বিভিন্ন স্তরে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হচ্ছে না কাউকে ৷ অফিসারদের কাজের কোনও সময়সীমা নেই ৷ লোকবল কম থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে ৷ নোটবন্দির সময় কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, কালো টাকা ধ্বংসের জন্যই এই সিদ্ধান্ত ৷ কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পরিষ্কার জানিয়েছে, ৯৯ শতাংশের বেশি কালো টাকা তাদের ঘরেই ফিরে এসেছে ৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তে শুধু ব্যাঙ্ক কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষও হয়রানির শিকার হয়েছে৷ তার জবাব কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি৷ সম্প্রতি আধার কার্ডের দায়িত্বও ব্যাঙ্কের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই আমরা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি’’৷

মালদায় ধর্মঘটকারীদের বক্তব্য

সুশোভনবাবু আরও বলেন, “আমাদের দাবিগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনতে বাজেট পেশের আগেই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে৷ কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা মাস পয়লায় বেতন পাবেন না৷ কিন্তু তাঁরা বোধহয় জানেন না, ব্যাঙ্ক কর্মীরা দু’দিনের মাইনের বদলে এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন৷ ধর্মঘট চলাকালীন কোনও ATM খোলা থাকছে না৷ এই ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের যে কিছুটা অসুবিধা হবে, তা আমরা মেনে নিচ্ছি৷ তবে মানুষের স্বার্থেই এই ধর্মঘট৷”

Intro:মালদা, ৩১ জানুয়ারি : মাসের শেষে শুরু হল দু’দিনের ব্যাংক ধর্মঘট৷ ধর্মঘট শেষে রবিবার পেরিয়ে ব্যাংক খুলবে সেই সোমবার৷ স্বাভাবিকভাবেই এবার মাস পয়লায় বেতন পাচ্ছেন না সরকারি কর্মী কিংবা শিক্ষকরা৷ আরও বড়ো সমস্যা, এই ধর্মঘটের জেরে বিয়ের মরশুমে বন্ধ থাকছে এটিএমও৷ ফলে ঝামেলায় পড়তে চলেছে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও৷ যদিও ধর্মঘটীদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই তাদের এই ধর্মঘট৷ কেন্দ্রীয় সরকারকে এনিয়ে সবক শেখানো প্রয়োজন ছিল।


Body:         একাধিক দাবিতে আজ থেকে গোটা দেশ জুড়ে শুরু হল ইউনিয়ন ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়নস্‌-এর দু’দিনের ধর্মঘট৷ মালদা জেলাও তার ব্যতিক্রম নয়৷ বন্ধ রয়েছে সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক৷ বন্ধ রাখা হয়েছে সব এটিএমও৷ ধর্মঘটীদের পক্ষে সংগঠনের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক সুশোভন চৌধুরি বলেন, “এই ধর্মঘটে সব স্তরের ব্যাংক কর্মীরা শামিল হয়েছেন৷ এই ধর্মঘটের পিছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে৷ তবে একটা কথা বলতে পারি, জনসাধারণের স্বার্থেই আমরা এই ধর্মঘট ডেকেছি৷ সাধারণ মানুষের ধারণা রয়েছে, ব্যাংক কর্মীরা নিজেদের স্বার্থেই ধর্মঘটের ডাক দেয়৷ কিন্তু এক্ষেত্রে তা সঠিক নয়৷ আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের স্বার্থে একাধিক দাবি রেখেছিলাম৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই দাবিগুলি মানেনি৷ যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা কর্পোরেট ঋণ মকুব করে দিচ্ছে, সেখানে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম দু’হাজার টাকা না থাকলে চার্জ কাটা হচ্ছে৷ খেটে খাওয়া গরিব মানুষ এতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে৷ গোটা দেশে যখন বেকারত্ব বেড়েই চলেছে, তখন ব্যাংকের কোনও স্তরে শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হচ্ছে না৷ ব্যাংক অফিসারদের কাজের কোনও সময়সীমা নেই৷ লোকবল কম থাকলেও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে আমাদেরইকাজ করে যেতে হচ্ছে৷ নোটবন্দির সময় কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, কালো টাকা ধ্বংসের জন্যই এই সিদ্ধান্ত৷ কিন্তু রিজার্ভ ব্যাংক পরিষ্কার জানিয়েছে, ৯৯ শতাংশের বেশি কালো টাকা তাদের ঘরে ফিরে এসেছে৷ কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্তে শুধু ব্যাংক কর্মীরাই নয়, সাধারণ মানুষও হয়রানির শিকার হয়েছে৷ তার জবাব কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি৷ সম্প্রতি আধার কার্ডের দায়িত্বও ব্যাংকের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ এসবের প্রতিবাদেই আমরা এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছি৷”


Conclusion:         সুশোভনবাবু আরও বলেন, “আমাদের দাবিগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনতে বাজেট পেশের আগে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে৷ কোনও কোনও মহল থেকে দেখানো হচ্ছে, ব্যাংক কর্মীরা নিজেদের স্বার্থে বাজেট পেশের আগে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে৷ কিন্তু আমরা আবারও বলছি, এই ধর্মঘটের সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে৷ কেউ কেউ বলছেন, তাঁরা মাস পয়লায় বেতন পাবেন না৷ কিন্তু তাঁরা বোধহয় জানেন না, ব্যাংক কর্মীরা দু’দিনের মাইনের বদলে এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছেন৷ ধর্মঘট চলাকালীন কোনও এটিএম খোলা থাকছে না৷ এই ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের যে কিছুটা অসুবিধা হবে, তা আমরা মেনে নিচ্ছি৷ তবে মানুষের স্বার্থেই এই ধর্মঘট৷”
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.