মালদা, 20 মে: জেলায় লাফিয়ে বাড়ছে কোরোনা সংক্রামিতের সংখ্যা৷ গতকাল রাত পর্যন্ত মালদায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা 46৷ এরই মধ্যে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে জেলায় ফিরছেন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক৷ যদিও, নির্দিষ্ট 3 টি রাজ্য ফেরত শ্রমিকদেরই সোয়াব পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন৷ অন্যদিকে অভিযোগ, ভিনরাজ্য থেকে ফেরা প্রত্যেক শ্রমিককে বাধ্যতামূলক 14 দিনের জন্য ইন্সটিটিউশনাল কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ প্রশাসন৷ ফলে, অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াই জেলা জুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিযায়ীরা৷ সব মিলিয়ে আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ৷ এরই মধ্যে আগামীকাল থেকে প্রায় গোটা জেলার দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন৷ আজ জেলার বণিকসভা মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সকে সেকথা জানিয়ে দিলেন জেলাশাসক৷ প্রশ্ন উঠেছে, জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত কী কোরোনার গোষ্ঠী সংক্রমণকে আমন্ত্রণ জানানো নয়?
বুধবার একাধিক বিষয় আলোচনা করতে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যরা৷ পরে সংগঠনের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু জানান, ইদের আগে কাপড় ও জুতোর ব্যবসায়ীদের স্বার্থে জেলাশাসকের কাছে দোকান খোলার অনুমতির আবেদন জানানো হয় আজ৷ যাতে সাড়া দিয়েছেন জেলাশাসক৷ জেলাশাসক জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আগামীকাল থেকে গোটা জেলায় সব দোকান খোলা যাবে৷ এমনকী সেলুনও৷ তবে রেস্তরাঁ, মল, ধাবা সহ খাবারের দোকান খোলা যাবে না৷ এছাড়া আর কোথাও কোনও বাধ্যবাধকতা নেই৷
এই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় দোকান খোলা যাবে সকাল 7টা থেকে বিকেল 5টা পর্যন্ত৷ তবে কোয়ারানটিন সেন্টার হওয়ায় হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ও 2 ব্লক, কালিয়াচক 1 ব্লকের জালালপুর ও সুজাপুর এবং ইংরেজবাজারের অমৃতি ও মিলকি এলাকায় কোনও দোকান খোলা যাবে না৷ স্বভাবতই প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যরা৷ তাঁদের মতে, এই সিদ্ধান্তে ইদের আগে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও বাঁচবে৷
সে কথা ঠিক হলেও জেলা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে সিদুঁরে মেঘ দেখছে জেলাবাসী৷ যেহেতু সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের সোয়াব পরীক্ষা হচ্ছে না৷ মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও দিল্লি ছাড়া অন্য প্রদেশ থেকে আসা শ্রমিকদের মধ্যে কতজন কোরোনায় আক্রান্ত, তার হিসাব কারো কাছে নেই৷ সেখানেই উঠছে প্রশ্ন।