ETV Bharat / state

কোরোনা আতঙ্কের মধ্যেই বিপদসীমা পার মহানন্দার, বন্যার আতঙ্ক

আজ সকালে মহানন্দার জলস্তর ছিল 21.23 মিটার ৷ বিপদসীমা থেকে 23 সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে জলস্তর ৷ এই অবস্থায় নদীর দু’পাশে থাকা মালদা ও পুরাতন মালদা শহরের অসংরক্ষিত এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে ৷

author img

By

Published : Jul 18, 2020, 6:26 PM IST

Updated : Jul 18, 2020, 8:32 PM IST

Mahananda river crosses danger level
কোরোনা আতঙ্কের মধ্যেই বিপদসীমা পার মহানন্দার

মালদা, 18 জুলাই : কোরোনা সংক্রমণের জোয়ারের পাশাপাশি প্রবল গতিতে জল বাড়ছে জেলার প্রতিটি নদীর ৷ ইতিমধ্যে বিপদসীমা পার করেছে মহানন্দা ৷ জল ঢুকতে শুরু করেছে দুই শহরের অসংরক্ষিত এলাকায় ৷ নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছে নদীপাড়ের লোকজন ৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা সেচ দপ্তর ৷ একই কথা জানিয়েছে দুই পৌর কর্তৃপক্ষও ৷

গত কয়েকদিন ধরেই জলস্তর বাড়ছে জেলার প্রতিটি নদীর ৷ বিশেষত উত্তরবঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতের জন্যই নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে ৷ এর আগে বিপদসীমা পার করেছিল ফুলহর ৷ তবে গত কয়েকদিন সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় ওই নদীর জল কমতে শুরু করেছে ৷ আজ সকালে ফুলহরের জলস্তর ছিল 27.28 মিটার ৷ বিপদসীমা 27.43 মিটার থেকে 15 সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে ফুলহরের জল ৷ গঙ্গা আজ সকালে 24.20 মিটার উচ্চতায় বইছে ৷ নদীর জলস্তর বৃদ্ধি অব্যাহত ৷ গঙ্গার বিপদসীমা 24.69 মিটার ৷ তবে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে মহানন্দা নদীর জলস্তর ৷ আজ সকালে মহানন্দার জলস্তর ছিল 21.23 মিটার ৷ বিপদসীমা 21.00 মিটার থেকে 23 সেন্টিমিটার বেশি ৷ এই অবস্থায় নদীর দু’পাশে থাকা মালদা ও পুরাতন মালদা শহরের অসংরক্ষিত এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে ৷ দুর্গতরা ইতিমধ্যেই নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছে ৷

জেলা সেচ দপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, “আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছি ৷ গঙ্গা ও ফুলহরের জলস্তর এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে ৷ তবে মহানন্দার জল বাড়ছে ৷ যদিও এই নদীর চরম বিপদসীমা 21.75 মিটার থেকে এখনও জলস্তর অনেকটা নীচে রয়েছে ৷ সৌভাগ্যের কথা, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিও তেমন হয়নি ৷ আশা করা যায়, দু’একদিনের মধ্যে এই নদীর জলও কমতে শুরু করবে ৷ তবে আমরা সব কিছুর জন্য তৈরি রয়েছি ৷ তৈরি রয়েছে দুই পৌর কর্তৃপক্ষও ৷"

বিপদসীমা পার মহানন্দার, বন্যার আতঙ্ক

ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “ইতিমধ্যে নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ তাদের অস্থায়ী আস্তানা তৈরির জন্য ত্রিপল ও ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে ৷ তবে এখনই অত চিন্তার কিছু নেই ৷ আমাদের আশা, কয়েকদিনের মধ্যেই নদীর জল কমতে শুরু করবে ৷" একই কথা জানিয়েছেন পুরাতন মালদা পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষও ৷

মালদা, 18 জুলাই : কোরোনা সংক্রমণের জোয়ারের পাশাপাশি প্রবল গতিতে জল বাড়ছে জেলার প্রতিটি নদীর ৷ ইতিমধ্যে বিপদসীমা পার করেছে মহানন্দা ৷ জল ঢুকতে শুরু করেছে দুই শহরের অসংরক্ষিত এলাকায় ৷ নিজেদের জিনিসপত্র নিয়ে অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছে নদীপাড়ের লোকজন ৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা সেচ দপ্তর ৷ একই কথা জানিয়েছে দুই পৌর কর্তৃপক্ষও ৷

গত কয়েকদিন ধরেই জলস্তর বাড়ছে জেলার প্রতিটি নদীর ৷ বিশেষত উত্তরবঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাতের জন্যই নদীগুলির জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে ৷ এর আগে বিপদসীমা পার করেছিল ফুলহর ৷ তবে গত কয়েকদিন সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় ওই নদীর জল কমতে শুরু করেছে ৷ আজ সকালে ফুলহরের জলস্তর ছিল 27.28 মিটার ৷ বিপদসীমা 27.43 মিটার থেকে 15 সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে ফুলহরের জল ৷ গঙ্গা আজ সকালে 24.20 মিটার উচ্চতায় বইছে ৷ নদীর জলস্তর বৃদ্ধি অব্যাহত ৷ গঙ্গার বিপদসীমা 24.69 মিটার ৷ তবে বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে মহানন্দা নদীর জলস্তর ৷ আজ সকালে মহানন্দার জলস্তর ছিল 21.23 মিটার ৷ বিপদসীমা 21.00 মিটার থেকে 23 সেন্টিমিটার বেশি ৷ এই অবস্থায় নদীর দু’পাশে থাকা মালদা ও পুরাতন মালদা শহরের অসংরক্ষিত এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে ৷ দুর্গতরা ইতিমধ্যেই নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছে ৷

জেলা সেচ দপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত জানিয়েছেন, “আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছি ৷ গঙ্গা ও ফুলহরের জলস্তর এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে ৷ তবে মহানন্দার জল বাড়ছে ৷ যদিও এই নদীর চরম বিপদসীমা 21.75 মিটার থেকে এখনও জলস্তর অনেকটা নীচে রয়েছে ৷ সৌভাগ্যের কথা, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিও তেমন হয়নি ৷ আশা করা যায়, দু’একদিনের মধ্যে এই নদীর জলও কমতে শুরু করবে ৷ তবে আমরা সব কিছুর জন্য তৈরি রয়েছি ৷ তৈরি রয়েছে দুই পৌর কর্তৃপক্ষও ৷"

বিপদসীমা পার মহানন্দার, বন্যার আতঙ্ক

ইংরেজবাজার পৌরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, “ইতিমধ্যে নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় বসবাসকারী মানুষজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ তাদের অস্থায়ী আস্তানা তৈরির জন্য ত্রিপল ও ত্রাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে ৷ তবে এখনই অত চিন্তার কিছু নেই ৷ আমাদের আশা, কয়েকদিনের মধ্যেই নদীর জল কমতে শুরু করবে ৷" একই কথা জানিয়েছেন পুরাতন মালদা পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষও ৷

Last Updated : Jul 18, 2020, 8:32 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.