কোন্নগর, 6 অক্টোবর: আন্দলন চলাকালীন জুনিয়র ডাক্তারদের স্টাইপেন্ড নেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন্নগরের নবগ্রামে দলের এক অনুষ্ঠানে এসে চিকিৎসকদের সরাসরি কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ।
তাঁর দাবি, বাংলার মানুষের সঙ্গে তঞ্চকতা করেছেন এই জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা কর্মবিরতি করেছেন আবার রাজ্য সরকারের থেকে ভাতাও নিয়েছেন । এটা তঞ্চকতা ছাড়া আর কিছু নয়।
এর আগে অবশ্য চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মুখ খুলে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিককে। এবার ফের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। রবিবার কোন্নগরে বস্ত্রদান অনুষ্ঠানে এসে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ডাক্তারবাবুরা কাজে যোগ দিয়েছেন ভালো কথা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল 59 দিন ধরে কর্মবিরতি করলেন আবার 32 হাজার টাকা করে স্টাইপেন্ড নিলেন কী করে ? কাজ করলেন না, অথচ হাজিরা খাতায় সই করলেন এটা তো তঞ্চকতা। বিপ্লবের নামে বাংলার মানুষের সঙ্গে তঞ্চকতা করলেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এ আবার কী ধরনের কর্মবিরতি !"
কল্যাণ আরও বলেন, "কাজও করব না । আবার স্টাইপেন্ড-এর টাকাও নেব এটা সম্পূর্ণ জালিয়াতি ৷ এই বিপ্লব কীসের উপর করেছেন তা মানুষ জানুক ৷" আরজি করের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জুনিয়র চিকিৎসকরা থেকে শুরু করে নির্যাতিতার পরিবার এবং রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি দাবি করে আসছে, ঘটনাস্থলে এমন অনেকে উপস্থিত ছিলেন যাঁদের ওখানে কোনও কাজ ছিল না।
এবার কল্যাণের বক্তব্যেও উঠে এল সেমিনার রুমের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, " (আন্দোলনকারীরা) অনেক কথা বলেছেন আপনারা ক্রাইম সিনের ব্যাপারে। আপনারা জানেন যখন সিবিআইকে গিয়ে বলবেন। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে, কয়েকজন চিকিৎসকের তাঁরা কোথায় ছিলেন ? সিবিআই কি সত্যি সত্যি তদন্ত করছে নাকি একপেশে তদন্ত করছে ?"
এরপরই তৃণমূল সাংসদ এমন কয়েজন জুনিয়র চিকিৎসকের নাম বলেন যাঁরা আন্দোলন করছেন। পাশাপাশি তিনি এও জানান ওই সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের উপস্থিতি সিসিটিভিতে ধরা পড়েনি। কল্যাণের কথায়, "যদিও এঁদের সিসিটিভিতে দেখা যায়নি। কিন্তু এঁরাই তো ছিল। কারা নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল সেমিনার হলের সেই উত্তর চাই। অন্তত সিবিআই উত্তরটা খুঁজে বের করুন। "