ETV Bharat / state

লোকসভা ভোটের ফল পৌরভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না, দাবি তৃণমূল বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ

2016-এর বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজারে BJP 26 হাজারের বেশি ভোট পায়নি ৷ তাহলে এর কী ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে ? এখানে প্রার্থী দেখে মানুষ ভোট দেয় ৷ তবে লোকসভা ভোটের এই ফলে আমার মনে হয় না তৃণমূলের কেউ BJP তে গিয়ে ভিড়বে ৷ যদিও রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই । একথা বলেন মালদার বিধায়ক তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ ।

বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ
author img

By

Published : May 26, 2019, 12:16 PM IST

Updated : May 26, 2019, 1:50 PM IST

মালদা, 26 মে : " পৌরভোটে লোকসভা ভোটের ফল কোনও প্রভাব ফেলবে না ।" এমনই দাবি করলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ । এবার লোকসভা ভোটে পুরাতন মালদা ও ইংরেজবাজার পৌরসভায় লিড পেয়েছে BJP । আগামী বছর এই দুই পৌরসভাতে নির্বাচন হওয়ার কথা । যদিও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও রাজ্যের কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন স্থগিত রেখেছে রাজ্য সরকার । যেমন মেয়াদ শেষ হওয়ার একবছর পরেও বালুরঘাট সহ অন্যান্য পৌরসভাগুলিতে এখনও পর্যন্ত নিযুক্ত রয়েছে প্রশাসক ।

নীহাররঞ্জনবাবু বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের আগে মানুষের কাছে গেছিলাম । মানুষ বলেছিল এটা আপনার ভোট নয়, এটা দিল্লির ভোট । আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি যে, এই ভোটে জিতলে উন্নয়নের সুযোগ আরও বাড়বে । আর যে ওয়ার্ডগুলি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হলেও BJP লিড পেয়েছে, সেখানে সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে । গত লোকসভা নির্বাচনেও এই পৌরসভায় BJP 40 হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল । পোস্টাল ব্যালটে BJP-র এগিয়ে যাওয়ার কারণ রয়েছে । তৃণমূলের নেতৃত্বের প্রতি সরকারি কর্মীদের একটা ক্ষোভ রয়েছে ৷ DA নিয়ে এই ক্ষোভ । এবার দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের বাম কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে না দিয়ে BJP-কে ভোট দিয়েছে । তবে যাই হোক, BJP-র এই ঝড় থাকবে না । আমাদেরও ভুলভ্রান্তি রয়েছে । ঠিক করে নেওয়া হবে ।"

নীহারবাবু গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, "2016-এর বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজারে BJP 26 হাজারের বেশি ভোট পায়নি । তাহলে এর কী ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে ? এখানে প্রার্থী দেখে মানুষ ভোট দেয় । তবে লোকসভা ভোটের এই ফলে আমার মনে হয় না তৃণমূলের কেউ BJP তে গিয়ে ভিড়বে ৷ যদিও রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ

এবারের লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী পুরাতন মালদা পুরসভার 20 টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র 6 ও 10 নম্বর লিড পেয়েছে তৃণমূল । বাকি 18 টি ওয়ার্ডেই BJP লিড পেয়েছে । এলাকায় আনুমানিক 25 হাজার ভোটে এগিয়ে BJP নেতৃত্ব । ওই পৌরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলর 19 জন । CPI(M) কাউন্সিলর 1 জন । তৃণমূলের একই দশা ইংরেজবাজার পৌরসভাতেও । এই পৌরসভার 29 টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই লিড পেয়েছে গেরুয়া শিবির । এখানে তৃণমূলের কাউন্সিলর 26 , BJP -র কাউন্সিলর 2 ও CPI(M) - এর কাউন্সিলর 1 জন । এই পৌরসভায় BJP পেয়েছে প্রায় 80 হাজার ভোট । সেখানে তৃণমূলের ভোটসংখ্যা আনুমানিক 16 হাজার ।

মালদা, 26 মে : " পৌরভোটে লোকসভা ভোটের ফল কোনও প্রভাব ফেলবে না ।" এমনই দাবি করলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ । এবার লোকসভা ভোটে পুরাতন মালদা ও ইংরেজবাজার পৌরসভায় লিড পেয়েছে BJP । আগামী বছর এই দুই পৌরসভাতে নির্বাচন হওয়ার কথা । যদিও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও রাজ্যের কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন স্থগিত রেখেছে রাজ্য সরকার । যেমন মেয়াদ শেষ হওয়ার একবছর পরেও বালুরঘাট সহ অন্যান্য পৌরসভাগুলিতে এখনও পর্যন্ত নিযুক্ত রয়েছে প্রশাসক ।

নীহাররঞ্জনবাবু বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের আগে মানুষের কাছে গেছিলাম । মানুষ বলেছিল এটা আপনার ভোট নয়, এটা দিল্লির ভোট । আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি যে, এই ভোটে জিতলে উন্নয়নের সুযোগ আরও বাড়বে । আর যে ওয়ার্ডগুলি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হলেও BJP লিড পেয়েছে, সেখানে সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে । গত লোকসভা নির্বাচনেও এই পৌরসভায় BJP 40 হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল । পোস্টাল ব্যালটে BJP-র এগিয়ে যাওয়ার কারণ রয়েছে । তৃণমূলের নেতৃত্বের প্রতি সরকারি কর্মীদের একটা ক্ষোভ রয়েছে ৷ DA নিয়ে এই ক্ষোভ । এবার দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের বাম কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে না দিয়ে BJP-কে ভোট দিয়েছে । তবে যাই হোক, BJP-র এই ঝড় থাকবে না । আমাদেরও ভুলভ্রান্তি রয়েছে । ঠিক করে নেওয়া হবে ।"

নীহারবাবু গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, "2016-এর বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজারে BJP 26 হাজারের বেশি ভোট পায়নি । তাহলে এর কী ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে ? এখানে প্রার্থী দেখে মানুষ ভোট দেয় । তবে লোকসভা ভোটের এই ফলে আমার মনে হয় না তৃণমূলের কেউ BJP তে গিয়ে ভিড়বে ৷ যদিও রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই ।"

ভিডিয়োয় শুনুন বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ

এবারের লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী পুরাতন মালদা পুরসভার 20 টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র 6 ও 10 নম্বর লিড পেয়েছে তৃণমূল । বাকি 18 টি ওয়ার্ডেই BJP লিড পেয়েছে । এলাকায় আনুমানিক 25 হাজার ভোটে এগিয়ে BJP নেতৃত্ব । ওই পৌরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলর 19 জন । CPI(M) কাউন্সিলর 1 জন । তৃণমূলের একই দশা ইংরেজবাজার পৌরসভাতেও । এই পৌরসভার 29 টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই লিড পেয়েছে গেরুয়া শিবির । এখানে তৃণমূলের কাউন্সিলর 26 , BJP -র কাউন্সিলর 2 ও CPI(M) - এর কাউন্সিলর 1 জন । এই পৌরসভায় BJP পেয়েছে প্রায় 80 হাজার ভোট । সেখানে তৃণমূলের ভোটসংখ্যা আনুমানিক 16 হাজার ।

Intro:মালদা, ২৫ মে : লোকসভা নির্বাচনপর্ব শেষ৷ এবার নতুন সরকার গঠনের দেরি৷ রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮ আসনে জয় পেয়ে পশ্চিমবঙ্গে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি৷ তার থেকেও বড়ো কথা, বাকি ২৪টি আসনের মধ্যে একমাত্র বহরমপুর ছাড়া ২৩টিতেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা৷ গেরুয়া ঝড় বয়ে গেছে রাজ্যের শহর থেকে গ্রামান্তরে৷ তার ব্যতিক্রম হয়নি মালদাতেও৷ ইংরেজবাজার পৌর এলাকায় গেরুয়া ঝড়ে উড়ে গেছে তৃণমূল৷ প্রায় একই পরিস্থিতি পুরাতন মালদা পৌরসভাতেও৷ হিসেব অনুযায়ী, আগামী বছর এই জেলার দুই পৌরসভাতেই নির্বাচন হওয়ার কথা৷ অবশ্য, বর্তমান রাজ্য সরকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্যের বেশ কয়েকটি পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত করে রেখেছে৷ তার অন্যতম উদাহরণ বালুরঘাট পৌরসভা৷ গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর এই পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে৷ কিন্তু আর নির্বাচন হয়নি৷ বালুরঘাট সহ এমন অবস্থায় থাকা পৌরসভাগুলিতে এখনও পর্যন্ত নিযুক্ত রয়েছে প্রশাসক৷Body:         লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী পুরাতন মালদা পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র ৬ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল৷ বাকি ১৮টি ওয়ার্ডই বিজেপির দখলে৷ এই পৌরসভা এলাকায় বিজেপি, তৃণমূলের থেকে এগিয়ে রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ভোটে৷ এই মুহূর্তে পৌরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর ১৯ জন৷ বাকি একজন সিপিএম কাউন্সিলর৷ আগামী বছর নির্দিষ্ট সময় ভোট হলে শাসকদল কি নিজেদের আসন পুনরুদ্ধার করতে পারবে? এনিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে জনমানসেও৷ কিন্তু এবিষয়ে আজ কথা বলতে চাননি এই পৌরসভার কোনও তৃণমূল নেতা৷
         আরও খারাপ হাল ইংরেজবাজার পৌরসভায়৷ এই পৌরসভার ২৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির৷ এখানে শাসকদলের কাউন্সিলর সংখ্যা ২৬৷ বাকি ৩টির মধ্যে দু'জন বিজেপি ও একজন সিপিএম কাউন্সিলর৷ এখানে বিজেপি পেয়েছে প্রায় ৮০ হাজার ভোট৷ যেখানে শাসকদল পেয়েছে মাত্র ১৬ হাজার ভোট৷ এই ছবি নিশ্চিতভাবেই কাঁপুনি ধরিয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে৷ তবে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে রাজি নন কেউ৷ এনিয়ে আজ ইটিভি ভারতকে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান, বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, "পৌরভোটে এই ফল কোনও প্রভাব ফেলবে না৷ লোকসভা নির্বাচনে যখন মানুষের কাছে গিয়েছিলাম, তখন মানুষ বলেছিল, এটা তো আপনার ভোট নয়! এটা দিল্লির ভোট৷ আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি, এই ভোটে জিতলে উন্নয়নের পথ আরও বাড়বে৷ আর যে ওয়ার্ডগুলি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হলেও বিজেপি লিড পেয়েছে, সেখানে সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে৷ গত লোকসভা নির্বাচনেও এই পৌর এলাকায় বিজেপি প্রায় ৪০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল৷ এবার দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে বাম প্রার্থী থাকলেও সেই দলের সমর্থকরা বাম প্রার্থীকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে দিয়েছে৷ আর পোস্টাল ব্যালটে বিজেপির এগিয়ে যাওয়ার কারণ রয়েছে৷ কারণ রাজ্যের নেতৃত্বের প্রতি সরকারি কর্মীদের একটা ক্ষোভ রয়েছে৷ ডিএ নিয়ে এই ক্ষোভ৷ তবে যাই হোক, বিজেপির এই ঝড় থাকবে না৷ আমাদেরও যে ভুলভ্রান্তি রয়েছে তা ঠিক করে নেওয়া হবে৷"
Conclusion:         নীহারবাবু আজ কথা বলতে গিয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে আনেন৷ তিনি বলেন, "২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজারে বিজেপি ২৬ হাজারের বেশি ভোট পায়নি৷ তাহলে এর কী ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে?" নীহারবাবুকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, গত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বাম-কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হয়ে তৃণমূল প্রার্থীকেই হারিয়েছিলেন৷ তিনি বলেন, "সেই ভোটে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলও ছিল৷ সেই ভোটে কিন্তু বিজেপি প্রথম স্থানে উঠে আসতে পারেনি৷ বিধানসভা কিংবা লোকসভা ভোটের থেকে পৌরভোট আলাদা৷ এখানে প্রার্থী দেখে মানুষ ভোট দেয়৷ তবে লোকসভা ভোটের এই ফলে আমার মনে হয় না তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে গিয়ে ভিড়বে৷ যদিও রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই৷"
Last Updated : May 26, 2019, 1:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.