মালদা, 26 মে : " পৌরভোটে লোকসভা ভোটের ফল কোনও প্রভাব ফেলবে না ।" এমনই দাবি করলেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ । এবার লোকসভা ভোটে পুরাতন মালদা ও ইংরেজবাজার পৌরসভায় লিড পেয়েছে BJP । আগামী বছর এই দুই পৌরসভাতে নির্বাচন হওয়ার কথা । যদিও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও রাজ্যের কয়েকটি পৌরসভায় নির্বাচন স্থগিত রেখেছে রাজ্য সরকার । যেমন মেয়াদ শেষ হওয়ার একবছর পরেও বালুরঘাট সহ অন্যান্য পৌরসভাগুলিতে এখনও পর্যন্ত নিযুক্ত রয়েছে প্রশাসক ।
নীহাররঞ্জনবাবু বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের আগে মানুষের কাছে গেছিলাম । মানুষ বলেছিল এটা আপনার ভোট নয়, এটা দিল্লির ভোট । আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি যে, এই ভোটে জিতলে উন্নয়নের সুযোগ আরও বাড়বে । আর যে ওয়ার্ডগুলি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত হলেও BJP লিড পেয়েছে, সেখানে সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ভাগ হয়ে গেছে । গত লোকসভা নির্বাচনেও এই পৌরসভায় BJP 40 হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল । পোস্টাল ব্যালটে BJP-র এগিয়ে যাওয়ার কারণ রয়েছে । তৃণমূলের নেতৃত্বের প্রতি সরকারি কর্মীদের একটা ক্ষোভ রয়েছে ৷ DA নিয়ে এই ক্ষোভ । এবার দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের বাম কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে না দিয়ে BJP-কে ভোট দিয়েছে । তবে যাই হোক, BJP-র এই ঝড় থাকবে না । আমাদেরও ভুলভ্রান্তি রয়েছে । ঠিক করে নেওয়া হবে ।"
নীহারবাবু গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, "2016-এর বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজারে BJP 26 হাজারের বেশি ভোট পায়নি । তাহলে এর কী ব্যাখ্যা দেওয়া যাবে ? এখানে প্রার্থী দেখে মানুষ ভোট দেয় । তবে লোকসভা ভোটের এই ফলে আমার মনে হয় না তৃণমূলের কেউ BJP তে গিয়ে ভিড়বে ৷ যদিও রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই ।"
এবারের লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী পুরাতন মালদা পুরসভার 20 টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুধুমাত্র 6 ও 10 নম্বর লিড পেয়েছে তৃণমূল । বাকি 18 টি ওয়ার্ডেই BJP লিড পেয়েছে । এলাকায় আনুমানিক 25 হাজার ভোটে এগিয়ে BJP নেতৃত্ব । ওই পৌরসভায় তৃণমূল কাউন্সিলর 19 জন । CPI(M) কাউন্সিলর 1 জন । তৃণমূলের একই দশা ইংরেজবাজার পৌরসভাতেও । এই পৌরসভার 29 টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতেই লিড পেয়েছে গেরুয়া শিবির । এখানে তৃণমূলের কাউন্সিলর 26 , BJP -র কাউন্সিলর 2 ও CPI(M) - এর কাউন্সিলর 1 জন । এই পৌরসভায় BJP পেয়েছে প্রায় 80 হাজার ভোট । সেখানে তৃণমূলের ভোটসংখ্যা আনুমানিক 16 হাজার ।