ETV Bharat / state

লকডাউনে সুনসান রাস্তাঘাট, মালদা শহরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পশুর পাল

লকডাউনের জেরে সরবরাহ নেই পশু খাদ্যের । দুশ্চিন্তায় খাটাল মালিকরা । তাই খাদ্য জোগানে নিজের পোশ্যদের এক বেলা করে রাস্তাতেই ছেড়ে রাখছে তারা । আর এর জেরেই মালদা শহরের রাস্তায় এখন দিন-রাত ঘুরে বেড়াচ্ছে পশুর দল ।

malda
মালদা
author img

By

Published : Apr 5, 2020, 2:05 PM IST

মালদা, 5 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে সকাল সকাল ভিড় জমছে হাটে ৷ মানুষের বেচাল দেখলে পুলিশের হাতজোড়, ধমকানি ৷ এদিকে বাজারের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে শুরু খাকি উর্দিধারীদের "ওয়ান ডে’র" ব্যাটিং ৷ তাই দুপুর হতে না হতেই সুনসান শহরের রাস্তাঘাট ৷ এই 'বাধ্য' শহরে বেলাগাম শুধু তারা । তাদের উপর নেই কোনও লকডাউনের জারিজুরি । তাই নিজেদের মর্জিমতো সকাল থেকেই পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরা । আশপাশে মানুষ দেখলেই শিং উঁচিয়ে চলছে নিরীক্ষণ ৷ হ্যাঁ, আপাতত মালদা শহরের পথে একাধিপত্য পশুদের । দিনের বেলা এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে গোরুর দল । আর রাত হলেই শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কুকুর।

কিন্তু হঠাৎ করে শহরের এই পরিস্থিতির কারণ কী ? একে কোরোনা । তার উপর লকডাউন । তাই সমস্যায় পড়েছেন মালদা শহরের খাটাল মালিকরা ৷ ব্যবসা প্রায় বন্ধ । তীব্র অভাব গো-খাদ্যেরও ৷ তাই পোষ্যদের ঠিকমতো খেতেও দিতে পারছেন না তাঁরা ৷ তাহলে গোরুর দুধ হবে কীভাবে ? কীভাবেই তাদের বাঁচিয়ে রাখা যাবে । এই অবস্থায় অভিনব পন্থা নিয়েছে খাটাল মালিকদের একাংশ ৷ ভোর হলেই খাটাল থেকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে পোষ্যদের ৷ দিনভর এদিক ওদিক ঘুরে নিজেদের জন্য খানিকটা খাবার সংগ্রহ করে নিচ্ছে তারাই ৷ সন্ধেয় বাকি খাবারটুকু দিচ্ছেন মালিকরা ৷

শহরবাসীর বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটা চলতে পারে ৷ কিন্তু লকডাউন ওঠার পর এভাবে রাস্তাঘাটে পশুদের দাপট চললে তো দুর্ঘটনা বাড়ার আশঙ্কা বাড়বে ৷

প্রাতঃভ্রমণের জন্য শহরবাসীর সবচেয়ে পছন্দের জায়গা মহানন্দার বাঁধ রোড ৷ কিন্তু এখন ভোর হলেই সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে গোরুর পাল ৷ শুধু সকালই বা কেন, দুপুরে দ্বিতীয় মহানন্দা সেতুর ফুটপাথ দখল করে থাকতে দেখা গিয়েছে তাদের ৷ মানুষজন সেখান দিয়ে হাঁটতে গেলেই শিং উঁচিয়ে চলছে নিরীক্ষণ ৷ আর তা দেখে দূর দিয়েই চলাচল শ্রেয় বলে মনে করছে সবাই ৷ একই ছবি পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকাতেও ৷ সেখানেও ভরদুপুরে রাস্তার অর্ধেক অংশ গোরুর পালের দখলে ৷

এবিষয়ে সনাতন মণ্ডল নামে এক খাটাল মালিক বলেন, "এই মুহূর্তে গো-খাদ্যের প্রচণ্ড অভাব ৷ আমার খাটালে 23টি গোরু রয়েছে ৷ তাদের ঠিকমতো খাবার দিতে পারছি না ৷ তার উপর কোরোনার আতঙ্কে অনেকে দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে ৷ তাই ভোর হলে গোরু ছেড়ে দিচ্ছি ৷ রাস্তাঘাটে ঘুরে কিছু খাবার ওরা পেয়ে যাচ্ছে ৷ তবে সন্ধে হলেই প্রতিটি গোরু খাটালে চলে আসে ৷ এছাড়া আমাদের আর উপায় ছিল না ৷"

মালদা, 5 এপ্রিল : লকডাউনের জেরে সকাল সকাল ভিড় জমছে হাটে ৷ মানুষের বেচাল দেখলে পুলিশের হাতজোড়, ধমকানি ৷ এদিকে বাজারের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে শুরু খাকি উর্দিধারীদের "ওয়ান ডে’র" ব্যাটিং ৷ তাই দুপুর হতে না হতেই সুনসান শহরের রাস্তাঘাট ৷ এই 'বাধ্য' শহরে বেলাগাম শুধু তারা । তাদের উপর নেই কোনও লকডাউনের জারিজুরি । তাই নিজেদের মর্জিমতো সকাল থেকেই পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে এরা । আশপাশে মানুষ দেখলেই শিং উঁচিয়ে চলছে নিরীক্ষণ ৷ হ্যাঁ, আপাতত মালদা শহরের পথে একাধিপত্য পশুদের । দিনের বেলা এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে গোরুর দল । আর রাত হলেই শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কুকুর।

কিন্তু হঠাৎ করে শহরের এই পরিস্থিতির কারণ কী ? একে কোরোনা । তার উপর লকডাউন । তাই সমস্যায় পড়েছেন মালদা শহরের খাটাল মালিকরা ৷ ব্যবসা প্রায় বন্ধ । তীব্র অভাব গো-খাদ্যেরও ৷ তাই পোষ্যদের ঠিকমতো খেতেও দিতে পারছেন না তাঁরা ৷ তাহলে গোরুর দুধ হবে কীভাবে ? কীভাবেই তাদের বাঁচিয়ে রাখা যাবে । এই অবস্থায় অভিনব পন্থা নিয়েছে খাটাল মালিকদের একাংশ ৷ ভোর হলেই খাটাল থেকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে পোষ্যদের ৷ দিনভর এদিক ওদিক ঘুরে নিজেদের জন্য খানিকটা খাবার সংগ্রহ করে নিচ্ছে তারাই ৷ সন্ধেয় বাকি খাবারটুকু দিচ্ছেন মালিকরা ৷

শহরবাসীর বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমনটা চলতে পারে ৷ কিন্তু লকডাউন ওঠার পর এভাবে রাস্তাঘাটে পশুদের দাপট চললে তো দুর্ঘটনা বাড়ার আশঙ্কা বাড়বে ৷

প্রাতঃভ্রমণের জন্য শহরবাসীর সবচেয়ে পছন্দের জায়গা মহানন্দার বাঁধ রোড ৷ কিন্তু এখন ভোর হলেই সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে গোরুর পাল ৷ শুধু সকালই বা কেন, দুপুরে দ্বিতীয় মহানন্দা সেতুর ফুটপাথ দখল করে থাকতে দেখা গিয়েছে তাদের ৷ মানুষজন সেখান দিয়ে হাঁটতে গেলেই শিং উঁচিয়ে চলছে নিরীক্ষণ ৷ আর তা দেখে দূর দিয়েই চলাচল শ্রেয় বলে মনে করছে সবাই ৷ একই ছবি পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকাতেও ৷ সেখানেও ভরদুপুরে রাস্তার অর্ধেক অংশ গোরুর পালের দখলে ৷

এবিষয়ে সনাতন মণ্ডল নামে এক খাটাল মালিক বলেন, "এই মুহূর্তে গো-খাদ্যের প্রচণ্ড অভাব ৷ আমার খাটালে 23টি গোরু রয়েছে ৷ তাদের ঠিকমতো খাবার দিতে পারছি না ৷ তার উপর কোরোনার আতঙ্কে অনেকে দুধ কেনা বন্ধ করে দিয়েছে ৷ তাই ভোর হলে গোরু ছেড়ে দিচ্ছি ৷ রাস্তাঘাটে ঘুরে কিছু খাবার ওরা পেয়ে যাচ্ছে ৷ তবে সন্ধে হলেই প্রতিটি গোরু খাটালে চলে আসে ৷ এছাড়া আমাদের আর উপায় ছিল না ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.