ETV Bharat / state

আইসক্রিমে টিকটিকি ! - আইসক্রিমের প্যাকেট

আইসক্রিমের প্যাকেটে মিলল টিকটিকি । সেই আইসক্রিম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল এক যুবক । ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের পাহাড়পুর এলাকায় ।

আইসক্রিমের প্যাকেট
author img

By

Published : Jun 28, 2019, 8:03 PM IST

মালদা, 28 জুন : ব্র্যান্ডেড কম্পানির প্যাকেট করা আইসক্রিমে মিলল টিকটিকি । সেই আইসক্রিম খেয়ে অসুস্থ এক যুবক । ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের পাহাড়পুর এলাকায় । অসুস্থ ওই যুবক চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই আইসক্রিম ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা ।

পাহাড়পুর মালোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অশোক মালো(19) । তার কথায়, "গতকাল বিকেলে এলাকার একটি দোকান থেকে আইসক্রিম কিনি । আইসক্রিমের কিছুটা খেয়েও ফেলি । তারপরই দেখি প্যাকেটের মধ্যে রয়েছে টিকটিকির দু'টুকরো দেহ । তারপর থেকেই শরীর খারাপ হতে শুরু হয় । বমি করে ফেলি । শরীর কাঁপতে থাকে । বাড়ির লোকজন হাসপাতালে ভরতি করে । এখন আমি কিছুটা সুস্থ । কিন্তু, শরীর এখনও কাঁপছে ।"

পাহাড়পুর বারোগাছিয়ার সুশান্ত দাস ও আনোয়ার আলি আইসক্রিমের ডিস্ট্রিবিউটর । গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, এই দু'জন এলাকাতেই তৈরি করা আইসক্রিম নামীদামি কম্পানির মোড়কে ঢুকিয়ে বিক্রি করে । দু'জনের কাছ থেকে বেশ কিছু হকারও আইসক্রিম কিনে বিক্রি করেন । সুশান্ত ও আনোয়ার দু'জনেই এলাকায় দাপুটে হিসেবে পরিচিত । তাদের ভয়ে কেউ কখনও এনিয়ে কোথাও অভিযোগ জানানোর সাহস দেখাননি । একথা জানার পর সুশান্ত ও আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করতে যান ETV ভারতের প্রতিনিধি । কিন্তু, তাদের দেখা মেলেনি । বাড়ি থেকে বলা হয়, "ওরা কোথায় গেছে কেউ জানে না ।"

মালদা, 28 জুন : ব্র্যান্ডেড কম্পানির প্যাকেট করা আইসক্রিমে মিলল টিকটিকি । সেই আইসক্রিম খেয়ে অসুস্থ এক যুবক । ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের পাহাড়পুর এলাকায় । অসুস্থ ওই যুবক চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই আইসক্রিম ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা ।

পাহাড়পুর মালোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অশোক মালো(19) । তার কথায়, "গতকাল বিকেলে এলাকার একটি দোকান থেকে আইসক্রিম কিনি । আইসক্রিমের কিছুটা খেয়েও ফেলি । তারপরই দেখি প্যাকেটের মধ্যে রয়েছে টিকটিকির দু'টুকরো দেহ । তারপর থেকেই শরীর খারাপ হতে শুরু হয় । বমি করে ফেলি । শরীর কাঁপতে থাকে । বাড়ির লোকজন হাসপাতালে ভরতি করে । এখন আমি কিছুটা সুস্থ । কিন্তু, শরীর এখনও কাঁপছে ।"

পাহাড়পুর বারোগাছিয়ার সুশান্ত দাস ও আনোয়ার আলি আইসক্রিমের ডিস্ট্রিবিউটর । গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, এই দু'জন এলাকাতেই তৈরি করা আইসক্রিম নামীদামি কম্পানির মোড়কে ঢুকিয়ে বিক্রি করে । দু'জনের কাছ থেকে বেশ কিছু হকারও আইসক্রিম কিনে বিক্রি করেন । সুশান্ত ও আনোয়ার দু'জনেই এলাকায় দাপুটে হিসেবে পরিচিত । তাদের ভয়ে কেউ কখনও এনিয়ে কোথাও অভিযোগ জানানোর সাহস দেখাননি । একথা জানার পর সুশান্ত ও আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করতে যান ETV ভারতের প্রতিনিধি । কিন্তু, তাদের দেখা মেলেনি । বাড়ি থেকে বলা হয়, "ওরা কোথায় গেছে কেউ জানে না ।"

Intro:মালদা, ২৮ জুন : ব্র্যান্ডেড কোম্পানির প্যাকেট করা আইসক্রিমে মিলল টিকটিকি৷ সেই আইসক্রিম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে এক ছাত্র৷ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁচলের পাহাড়পুর এলাকায়৷ অসুস্থ ওই ছাত্র চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন অসুস্থ ছাত্রের মা৷ এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই আইসক্রিম ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে৷ যদিও পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা৷Body:         পাহাড়পুর মালোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অশোক মালো৷ বয়স ১৯৷ এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন অশোক৷ এখনও কলেজে ভরতি হননি৷ তিনি বলেন, "তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গতকাল বিকেলে এলাকার একটি দোকান থেকে একটি ব্র্যান্ডেড কোম্পানির আইসক্রিম কিনে খাই৷ প্যাকেটেই ছিল সেই আইসক্রিমটি৷ প্রথম কামড় বসিয়ে গিলেও ফেলি৷ তখনই নজরে আসে আইসক্রিমের বাকি অংশে রয়েছে একটি দ্বিখণ্ডিত টিকটিকি৷ সঙ্গে সঙ্গে বুঝে ফেলি, প্রথম কামড়ে টিকটিকির বাকি অংশ আইসক্রিমের সঙ্গে গিলে ফেলেছি আমি৷ খানিক পর থেকেই আমার শরীর খারাপ হতে শুরু করে৷ বমি করে ফেলি৷ সারা শরীর কাঁপতে থাকে৷ বাড়িতে গোটা ঘটনাটি খুলে বলি৷ তারপরেই অজ্ঞান হয়ে যাই৷ বাড়ির লোকজনই আমাকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করে৷ এখন খানিকটা সুস্থ হলেও শরীর এখনও কাঁপছে৷ আমার বয়স বেশি বলে হয়তো এযাত্রায় টিকটিকি গিলে ফেলেও প্রাণে বেঁচেছি৷ কিন্তু আমার জায়গায় যদি কোনও বাচ্চা এই আইসক্রিম খেত, তাহলে তাকে বাঁচানো যেন কি? আমি ওই আইসক্রিম বিক্রেতাদের শাস্তি চাই৷" একই বক্তব্য অশোকের মা সান্ত্বনা মালোরও৷ তিনি জানান, এই ঘটনায় তিনি পুলিশে অভিযোগ জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷Conclusion:         পাহাড়পুর বারোগাছিয়া এলাকার দুই বাসিন্দা সুশান্ত দাস ও আনোয়ার আলি আইসক্রিমের ডিস্ট্রিবিউটর হিসাবে পরিচিত৷ গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, এই দু'জন এলাকাতেই তৈরি করা আইসক্রিম নামিদামি কোম্পানির মোড়কে ঢুকিয়ে বিক্রি করে৷ এই দু'জনের কাছ থেকে বেশ কিছু হকারও আইসক্রিম কিনে বিক্রি করেন৷ এরা দু'জনেই এলাকায় দাপুটে হিসাবে পরিচিত৷ তাদের ভয়ে কেউ কখনও এনিয়ে কোথাও অভিযোগ জানানোর সাহস দেখাননি৷ একথা জানার পর সুশান্ত ও আনোয়ারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের দুজনের বাড়ি থেকেই বলা হয়, তারা বাড়িতে নেই৷ কোথায় গেছে কেউ জানে না৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.