ETV Bharat / state

Malda Girl sets Record: ব্যাগ তৈরি করে অভাবনীয় সাফল্য, খুদের নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে

ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে তাঁদের ই-মেইল করে আত্মজার কাগজের ব্যাগের নথিভূক্ত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে ৷ মেইল মারফত আত্মজাকে একটি শংসাপত্রও পাঠানো হয়েছে ৷ যাতে উল্লেখ রয়েছে, তার তৈরি কাগজের ব্যাগ বাচ্চাদের বিভাগে সবচেয়ে ছোট ৷ সেই খুদে ব্যাগের মাপ 5 x 2.4 সেন্টিমিটার (Little Girl Placed Her Name In India Book Of Records) ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By

Published : Sep 22, 2022, 10:49 PM IST

মালদা, 22 সেপ্টেম্বর: খেলাচ্ছলেও কিছু করে দেখানো যায় ৷ সেটাই করে দেখিয়েছে বছর সাতেকের আত্মজা ৷ করোনাকালের লকডাউন যখন খুদেদের মানসিকভাবে বিপন্ন করে তুলেছিল, তখন আত্মজা হাতে তুলে নিয়েছিল রং-তুলি ৷ পুতুলের জন্য বানাচ্ছিল ছোট ছোট কাগজের ব্যাগ ৷ তাকে সাহায্য করছিলেন মা ৷ খুদে মেয়ের সেই খুদে ব্যাগই তাকে দেশে পরিচিতি এনে দিয়েছে ৷ তার তৈরি কাগজের খুদে ব্যাগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে (Little Girl Placed Her Name In India Book Of Records) ৷

আত্মজার বাবা বাবুসোনা সরকার প্রাথমিক শিক্ষক ৷ আদপে তাঁরা নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ৷ মাস ছয়েক আগে চাকরিসূত্রেই মালদায় এসেছেন ৷ স্ত্রী মৌসুমি কর রাজ্য সরকারের মান্যতাপ্রাপ্ত হস্তশিল্পী ৷ নিজের শিল্প প্রতিভা এখন মেয়ের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ৷ তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়েছে গত 6 সেপ্টেম্বর ৷ সেদিনই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে তাঁদের ই-মেইল করে আত্মজার কাগজের ব্যাগের নথিভূক্ত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে ৷ মেইল মারফত আত্মজাকে একটি শংসাপত্রও পাঠানো হয়েছে ৷ যাতে উল্লেখ রয়েছে, তার তৈরি কাগজের ব্যাগ বাচ্চাদের বিভাগে সবচেয়ে ছোট ৷ সেই খুদে ব্যাগের মাপ 5 x 2.4 সেন্টিমিটার ৷

দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে আত্মজা ৷ সে জানাচ্ছে, “স্কুলের বন্ধুরা যদি এসব আমার কাছে শিখতে চায়, তবে আমি তাদের শেখাতে রাজি আছি ৷ কিন্তু ওরা কেউ শিখতেই চায় না ৷ আমার তৈরি কাগজের ব্যাগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছে ৷ খুব ভালো লাগছে ৷ আমি আরও কাজ করব ৷”

বাবুসোনা বলেন, “মেয়ের জন্য আমরা গর্বিত ৷ অনেক চেষ্টার ফল এটা ৷ মূলত ওর মা ওকে এসব শেখায় ৷ এখন গোটা বিশ্বেই প্লাস্টিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৷ তার বিকল্প হিসাবে কাগজের ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ মেয়ে ওর পুতুলের জন্য অনেক কিছু তৈরি করে ৷ ওকে পুতুলের জন্য ব্যাগ তৈরি করতে বললাম ৷ ওই ছোট ছোট ব্যাগ শেষ পর্যন্ত ওকে এই সম্মান এনে দিয়েছে৷ ওর তৈরি ব্যাগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছে ৷ আমি চাই, শুধু ও নয়, ওর মতো বাচ্চারা সবাই পড়াশোনার সঙ্গে শিল্প-সংস্কৃতির দিকেও এগিয়ে আসুক ৷ ইতিমধ্যেই মেয়ের তৈরি শিল্পসামগ্রী গিনেস বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে ৷ আমরা চাই, এবার ওর নাম গিনেস বুকেও উঠুক ৷”

খুদের নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে

আরও পড়ুন: 20 মাস বয়সেই জোড়া রেকর্ড ! চিনে নিন হুগলির 'বিস্ময় শিশু' ভ্রাজিষ্ণুকে

মৌসুমি বলেন, “খেলাচ্ছলেই ও তুলি ধরেছিল ৷ আমি যখন কাজ করতাম, ও পাশে বসে রং-তুলি নিয়ে খেলত ৷ ও যে ছবি আঁকা কিংবা হস্তশিল্পকে খেলা হিসাবে বেছে নিয়েছে, ওসবের মধ্যেও যে ও একটা যাপনকে খুঁজে পায়, এটাই আমার কাছে গর্বের ৷ এসব নিয়েই ও খেলে, নিজের আনন্দে থাকে ৷ মেয়ের নাম রেকর্ডে উঠেছে ৷ মা হিসাবে তো ভালো লাগবেই ৷ আমি চাই, ও আনন্দে থাকুক, খেলতে খেলতেই শিখুক ৷ ওর কাছে এর বেশি আমার কোনও দাবি নেই ৷”

মালদা, 22 সেপ্টেম্বর: খেলাচ্ছলেও কিছু করে দেখানো যায় ৷ সেটাই করে দেখিয়েছে বছর সাতেকের আত্মজা ৷ করোনাকালের লকডাউন যখন খুদেদের মানসিকভাবে বিপন্ন করে তুলেছিল, তখন আত্মজা হাতে তুলে নিয়েছিল রং-তুলি ৷ পুতুলের জন্য বানাচ্ছিল ছোট ছোট কাগজের ব্যাগ ৷ তাকে সাহায্য করছিলেন মা ৷ খুদে মেয়ের সেই খুদে ব্যাগই তাকে দেশে পরিচিতি এনে দিয়েছে ৷ তার তৈরি কাগজের খুদে ব্যাগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছে (Little Girl Placed Her Name In India Book Of Records) ৷

আত্মজার বাবা বাবুসোনা সরকার প্রাথমিক শিক্ষক ৷ আদপে তাঁরা নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা ৷ মাস ছয়েক আগে চাকরিসূত্রেই মালদায় এসেছেন ৷ স্ত্রী মৌসুমি কর রাজ্য সরকারের মান্যতাপ্রাপ্ত হস্তশিল্পী ৷ নিজের শিল্প প্রতিভা এখন মেয়ের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ৷ তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়েছে গত 6 সেপ্টেম্বর ৷ সেদিনই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের তরফে তাঁদের ই-মেইল করে আত্মজার কাগজের ব্যাগের নথিভূক্ত হওয়ার খবর জানানো হয়েছে ৷ মেইল মারফত আত্মজাকে একটি শংসাপত্রও পাঠানো হয়েছে ৷ যাতে উল্লেখ রয়েছে, তার তৈরি কাগজের ব্যাগ বাচ্চাদের বিভাগে সবচেয়ে ছোট ৷ সেই খুদে ব্যাগের মাপ 5 x 2.4 সেন্টিমিটার ৷

দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে আত্মজা ৷ সে জানাচ্ছে, “স্কুলের বন্ধুরা যদি এসব আমার কাছে শিখতে চায়, তবে আমি তাদের শেখাতে রাজি আছি ৷ কিন্তু ওরা কেউ শিখতেই চায় না ৷ আমার তৈরি কাগজের ব্যাগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছে ৷ খুব ভালো লাগছে ৷ আমি আরও কাজ করব ৷”

বাবুসোনা বলেন, “মেয়ের জন্য আমরা গর্বিত ৷ অনেক চেষ্টার ফল এটা ৷ মূলত ওর মা ওকে এসব শেখায় ৷ এখন গোটা বিশ্বেই প্লাস্টিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৷ তার বিকল্প হিসাবে কাগজের ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ মেয়ে ওর পুতুলের জন্য অনেক কিছু তৈরি করে ৷ ওকে পুতুলের জন্য ব্যাগ তৈরি করতে বললাম ৷ ওই ছোট ছোট ব্যাগ শেষ পর্যন্ত ওকে এই সম্মান এনে দিয়েছে৷ ওর তৈরি ব্যাগ ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে জায়গা পেয়েছে ৷ আমি চাই, শুধু ও নয়, ওর মতো বাচ্চারা সবাই পড়াশোনার সঙ্গে শিল্প-সংস্কৃতির দিকেও এগিয়ে আসুক ৷ ইতিমধ্যেই মেয়ের তৈরি শিল্পসামগ্রী গিনেস বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে ৷ আমরা চাই, এবার ওর নাম গিনেস বুকেও উঠুক ৷”

খুদের নাম উঠল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে

আরও পড়ুন: 20 মাস বয়সেই জোড়া রেকর্ড ! চিনে নিন হুগলির 'বিস্ময় শিশু' ভ্রাজিষ্ণুকে

মৌসুমি বলেন, “খেলাচ্ছলেই ও তুলি ধরেছিল ৷ আমি যখন কাজ করতাম, ও পাশে বসে রং-তুলি নিয়ে খেলত ৷ ও যে ছবি আঁকা কিংবা হস্তশিল্পকে খেলা হিসাবে বেছে নিয়েছে, ওসবের মধ্যেও যে ও একটা যাপনকে খুঁজে পায়, এটাই আমার কাছে গর্বের ৷ এসব নিয়েই ও খেলে, নিজের আনন্দে থাকে ৷ মেয়ের নাম রেকর্ডে উঠেছে ৷ মা হিসাবে তো ভালো লাগবেই ৷ আমি চাই, ও আনন্দে থাকুক, খেলতে খেলতেই শিখুক ৷ ওর কাছে এর বেশি আমার কোনও দাবি নেই ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.