মালদা, ১৩ মার্চ : গতকাল দিল্লিতে BJP-তে যোগ দিয়েছেন হবিবপুরের তিনবারের CPI(M) বিধায়ক খগেন মুর্মু। সূত্রের খবর, জেলা BJP-র প্রবল প্রতিরোধ সত্ত্বেও তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষনেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে ওই কেন্দ্রে BJP-র এক বা একাধিক গোঁজ প্রার্থী থাকবে কি না তা সময় বলবে। তবে BJP-র এই চালে নতুন করে অঙ্ক কষতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। তেমন হলে উত্তর মালদায় আদিবাসী অধ্যুষিত ৪টি ব্লক কংগ্রেসের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। তার উত্তর খুঁজতে কোতওয়ালির খান চৌধুরি পরিবারে ঢুঁ মেরেছিল ETV ভারত। সেখানে দেখা গেল এক অচেনা ছবি। দুপুরবেলায় একসঙ্গে বসে খান চৌধুরি পরিবারের ৪ কংগ্রেসি সদস্য। আলোচনায় শুধুই ভোট।
পারিবারিক আলোচনার মধ্যেই ETV ভারতকে ডেকে নেন আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু মিঞা)। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এতদিন তৃণমূল প্রার্থী, ঘরের মেয়ে মৌসম নুরকে নিয়েই তাঁদের চিন্তাভাবনা আবর্তিত হচ্ছিল। কিন্তু ওই কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী হিসাবে যদি BJP খগেন মুর্মুকে ময়দানে নামায়, তবে কংগ্রেসের রণকৌশল কী হবে। উত্তরে ডালুবাবু বলেন, "খগেনবাবু আদিবাসী সমাজের লোক। তাই আদিবাসী ভোট ওরা পাবে। তবে CPI(M) সমর্থকরা প্রতীকের উপরই ভরসা রাখেন। মানুষের পিছনে তাঁরা খুব কম যান। তবুও নিজেদের লোককে দেখলে আদিবাসী মানুষজন নিশ্চিতভাবে একটু উচ্ছ্বসিত হবেন। আর যারা BJP-র কোনও ভালো প্রার্থী চাইছিল, তারা কী করবে বলা যাচ্ছে না। তবে খগেন মুর্মু প্রার্থী হলে আদিবাসী ভোট BJP একটু বেশিই পাবে বলে আমার মনে হয়। এই অবস্থায় যোগ বিয়োগ হয়ে ভোটের ফল যে কী হবে, আমি বলতে পারছি না। তবে আমরা আগেই জানতাম, ওই কেন্দ্রে BJP-র ভোট এবার একটু বেশি আছে। তাই আমরা BJP-র ভোটের বাইরে গিয়েই প্রার্থী দিয়েছি। তবে আমাদের রণকৌশল সোজাসাপটা। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দল। দেশে এখন অশান্তি, অরাজকতা চলছে। তার বিরুদ্ধেই আমরা ভোটে দাঁড়িয়েছি।"
এদিকে উত্তর মালদার সম্ভাব্য কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরিকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "উত্তর মালদায় খগেন মুর্মু BJP-র প্রার্থী হলে লড়াইটা যে আরও কঠিন হয়ে যাবে, তা আমি মনে করি না। ওই কেন্দ্রে আদিবাসী সমাজের খগেন মুর্মুকে প্রার্থী করা BJP-র কৌশল হতে পারে। কিন্তু বামফ্রন্টের সিম্বল ভোটার খগেনবাবুকে দেখে ভোট দেবেন না। তাঁরা সিম্বলেই ভোট দেবেন। এবার বামফ্রন্ট ওই কেন্দ্রে তাঁকে সমর্থন করছে। তাই এই ভোট তিনিই পাবেন। কোনও বিধায়ক যদি দল ছেড়ে দেন, তার অর্থ এই নয় যে মানুষের ভোটও তাঁর সঙ্গে চলে যাবে। আর BJP গত ৫ বছর মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েও কিছু করেনি। খগেনবাবুকেও তার জবাব দিতে হবে মানুষের কাছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট করতে দেয়নি। এর মধ্যে BJP বামনগোলা ও হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বটে, কিন্তু যেহেতু এই জেলায় কংগ্রেস শক্তিশালী, তাই আমরাই তৃণমূলের নিশানায় ছিলাম। ওই নির্বাচনে সুজাপুর অথবা রতুয়ার মতো কংগ্রেস অধ্যুষিত এলাকায় সেই ছবি দেখা গেছে। প্রশাসনও কংগ্রেসকে নিশানা করে ফেলেছিল।" কিন্তু এতদিন উত্তর মালদা কেন্দ্রে শুধুমাত্র মৌসম নুরকে নিয়েই চিন্তা করছিল কংগ্রেস। খগেন মুর্মু সেখানে BJP-র প্রার্থী হলে কংগ্রেসের কৌশলও কি খানিকটা পালটাবে? প্রশ্ন শুনেই পাশে বসা ডালু মিঞা বলে ওঠেন, "এখনও এই জেলার মানুষ ভোট বলতে কংগ্রেস আর বরকত সাহেবকে জানেন। মৌসম এই পরিবারের সদস্য ঠিক আছে। কিন্তু তাতে হবে না। সে এখন আর কংগ্রেসে নেই। আজ আমরা যার নাম নিয়ে কথা বলছি, সেই গনি খান চৌধুরি কোনওদিন অন্য কোনও দলে যাননি। গনি খান চৌধুরি আর কংগ্রেসের যোগসূত্রই এখনও এই জেলায় লোকসভা ভোটের নিয়ন্ত্রক। যে যাই বলুক না কেন, এখনও ভোটযুদ্ধে গনি খান চৌধুরি সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।"
পাশ থেকে ইশা খান বলে ওঠেন, "আব্বা ঠিকই বলেছেন। এই জেলার মানুষের কাছে বরকত সাহেব আর কংগ্রেস একই ভালোবাসা। একে অন্যের পরিপূরক। বরকত সাহেব মালদার জন্য যে কাজ করে গিয়েছেন, তা মানুষ এখনও ভুলতে পারছে না। তার প্রমাণও মিলেছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বরকত সাহেবের ভাই হয়েও তৃণমূল প্রার্থী লেবুবাবু হেরে গিয়েছেন। একই ফল হয়েছিল শেহনাজ কাদেরির ক্ষেত্রেও। কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে গেলে মানুষ তা ভালোভাবে নেয় না। তবে উত্তর মালদায় খগেন মুর্মু প্রার্থী হলে তিনি যে বড় ফ্যাক্টর হবেন তা বলতে পারি না। আমার কাছে BJP ও তৃণমূল, সমান ফ্যাক্টর। কারণ, এটা লোকসভা নির্বাচন। তবে ওই কেন্দ্রে BJP আমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবে। গোটা দেশেই তাই হবে।"
লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারের ময়দানে যখন তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুর অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন, তখন এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি। এটা কি প্রচারের ক্ষেত্রে তৃণমূলের অ্যাডভান্টেজ নয়? ইশা বলে ওঠেন, "মৌসম তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই উত্তর মালদা কেন্দ্রে আমাদের প্রচার শুরু হয়ে গেছে। তবে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়ায় মৌসম যে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পেয়েছেন, সেকথা ঠিক। তবে কংগ্রেস বসে নেই। মানুষের কাছ থেকে তাঁরা ভালো সাড়াও পাচ্ছেন।"
প্রার্থী হলে আদিবাসীদের বেশি ভোট পাবে BJP-র খগেন মুর্মু : ডালু মিঞা
গতকাল দিল্লিতে BJP-তে যোগ দিয়েছেন হবিবপুরের তিনবারের CPI(M) বিধায়ক খগেন মুর্মু।
মালদা, ১৩ মার্চ : গতকাল দিল্লিতে BJP-তে যোগ দিয়েছেন হবিবপুরের তিনবারের CPI(M) বিধায়ক খগেন মুর্মু। সূত্রের খবর, জেলা BJP-র প্রবল প্রতিরোধ সত্ত্বেও তাঁকে উত্তর মালদা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবিরের শীর্ষনেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে ওই কেন্দ্রে BJP-র এক বা একাধিক গোঁজ প্রার্থী থাকবে কি না তা সময় বলবে। তবে BJP-র এই চালে নতুন করে অঙ্ক কষতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। তেমন হলে উত্তর মালদায় আদিবাসী অধ্যুষিত ৪টি ব্লক কংগ্রেসের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল। তার উত্তর খুঁজতে কোতওয়ালির খান চৌধুরি পরিবারে ঢুঁ মেরেছিল ETV ভারত। সেখানে দেখা গেল এক অচেনা ছবি। দুপুরবেলায় একসঙ্গে বসে খান চৌধুরি পরিবারের ৪ কংগ্রেসি সদস্য। আলোচনায় শুধুই ভোট।
পারিবারিক আলোচনার মধ্যেই ETV ভারতকে ডেকে নেন আবু হাসেম খান চৌধুরি (ডালু মিঞা)। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এতদিন তৃণমূল প্রার্থী, ঘরের মেয়ে মৌসম নুরকে নিয়েই তাঁদের চিন্তাভাবনা আবর্তিত হচ্ছিল। কিন্তু ওই কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী হিসাবে যদি BJP খগেন মুর্মুকে ময়দানে নামায়, তবে কংগ্রেসের রণকৌশল কী হবে। উত্তরে ডালুবাবু বলেন, "খগেনবাবু আদিবাসী সমাজের লোক। তাই আদিবাসী ভোট ওরা পাবে। তবে CPI(M) সমর্থকরা প্রতীকের উপরই ভরসা রাখেন। মানুষের পিছনে তাঁরা খুব কম যান। তবুও নিজেদের লোককে দেখলে আদিবাসী মানুষজন নিশ্চিতভাবে একটু উচ্ছ্বসিত হবেন। আর যারা BJP-র কোনও ভালো প্রার্থী চাইছিল, তারা কী করবে বলা যাচ্ছে না। তবে খগেন মুর্মু প্রার্থী হলে আদিবাসী ভোট BJP একটু বেশিই পাবে বলে আমার মনে হয়। এই অবস্থায় যোগ বিয়োগ হয়ে ভোটের ফল যে কী হবে, আমি বলতে পারছি না। তবে আমরা আগেই জানতাম, ওই কেন্দ্রে BJP-র ভোট এবার একটু বেশি আছে। তাই আমরা BJP-র ভোটের বাইরে গিয়েই প্রার্থী দিয়েছি। তবে আমাদের রণকৌশল সোজাসাপটা। আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দল। দেশে এখন অশান্তি, অরাজকতা চলছে। তার বিরুদ্ধেই আমরা ভোটে দাঁড়িয়েছি।"
এদিকে উত্তর মালদার সম্ভাব্য কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরিকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "উত্তর মালদায় খগেন মুর্মু BJP-র প্রার্থী হলে লড়াইটা যে আরও কঠিন হয়ে যাবে, তা আমি মনে করি না। ওই কেন্দ্রে আদিবাসী সমাজের খগেন মুর্মুকে প্রার্থী করা BJP-র কৌশল হতে পারে। কিন্তু বামফ্রন্টের সিম্বল ভোটার খগেনবাবুকে দেখে ভোট দেবেন না। তাঁরা সিম্বলেই ভোট দেবেন। এবার বামফ্রন্ট ওই কেন্দ্রে তাঁকে সমর্থন করছে। তাই এই ভোট তিনিই পাবেন। কোনও বিধায়ক যদি দল ছেড়ে দেন, তার অর্থ এই নয় যে মানুষের ভোটও তাঁর সঙ্গে চলে যাবে। আর BJP গত ৫ বছর মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েও কিছু করেনি। খগেনবাবুকেও তার জবাব দিতে হবে মানুষের কাছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট করতে দেয়নি। এর মধ্যে BJP বামনগোলা ও হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বটে, কিন্তু যেহেতু এই জেলায় কংগ্রেস শক্তিশালী, তাই আমরাই তৃণমূলের নিশানায় ছিলাম। ওই নির্বাচনে সুজাপুর অথবা রতুয়ার মতো কংগ্রেস অধ্যুষিত এলাকায় সেই ছবি দেখা গেছে। প্রশাসনও কংগ্রেসকে নিশানা করে ফেলেছিল।" কিন্তু এতদিন উত্তর মালদা কেন্দ্রে শুধুমাত্র মৌসম নুরকে নিয়েই চিন্তা করছিল কংগ্রেস। খগেন মুর্মু সেখানে BJP-র প্রার্থী হলে কংগ্রেসের কৌশলও কি খানিকটা পালটাবে? প্রশ্ন শুনেই পাশে বসা ডালু মিঞা বলে ওঠেন, "এখনও এই জেলার মানুষ ভোট বলতে কংগ্রেস আর বরকত সাহেবকে জানেন। মৌসম এই পরিবারের সদস্য ঠিক আছে। কিন্তু তাতে হবে না। সে এখন আর কংগ্রেসে নেই। আজ আমরা যার নাম নিয়ে কথা বলছি, সেই গনি খান চৌধুরি কোনওদিন অন্য কোনও দলে যাননি। গনি খান চৌধুরি আর কংগ্রেসের যোগসূত্রই এখনও এই জেলায় লোকসভা ভোটের নিয়ন্ত্রক। যে যাই বলুক না কেন, এখনও ভোটযুদ্ধে গনি খান চৌধুরি সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।"
পাশ থেকে ইশা খান বলে ওঠেন, "আব্বা ঠিকই বলেছেন। এই জেলার মানুষের কাছে বরকত সাহেব আর কংগ্রেস একই ভালোবাসা। একে অন্যের পরিপূরক। বরকত সাহেব মালদার জন্য যে কাজ করে গিয়েছেন, তা মানুষ এখনও ভুলতে পারছে না। তার প্রমাণও মিলেছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বরকত সাহেবের ভাই হয়েও তৃণমূল প্রার্থী লেবুবাবু হেরে গিয়েছেন। একই ফল হয়েছিল শেহনাজ কাদেরির ক্ষেত্রেও। কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে গেলে মানুষ তা ভালোভাবে নেয় না। তবে উত্তর মালদায় খগেন মুর্মু প্রার্থী হলে তিনি যে বড় ফ্যাক্টর হবেন তা বলতে পারি না। আমার কাছে BJP ও তৃণমূল, সমান ফ্যাক্টর। কারণ, এটা লোকসভা নির্বাচন। তবে ওই কেন্দ্রে BJP আমার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হবে। গোটা দেশেই তাই হবে।"
লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারের ময়দানে যখন তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুর অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন, তখন এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকাই প্রকাশ করা হয়নি। এটা কি প্রচারের ক্ষেত্রে তৃণমূলের অ্যাডভান্টেজ নয়? ইশা বলে ওঠেন, "মৌসম তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই উত্তর মালদা কেন্দ্রে আমাদের প্রচার শুরু হয়ে গেছে। তবে কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হওয়ায় মৌসম যে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ পেয়েছেন, সেকথা ঠিক। তবে কংগ্রেস বসে নেই। মানুষের কাছ থেকে তাঁরা ভালো সাড়াও পাচ্ছেন।"
কিন্তু এখনও সরকারিভাবে বামেদের সমর্থনের বিষয় ঘোষণা না হলেও দেয়াল লিখনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী দেন? প্রশ্নের উত্তরে ইংরেজবাজার জাতীয় কংগ্রেস সেবাদলের সভাপতি সেনাউল ইসলাম বলেন, "এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও আমরা জানি, সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হচ্ছেই৷ রায়গঞ্জেও সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মহম্মদ সেলিমের সমর্থনে দেয়াল লিখনের কাজ শুরু হয়েছে৷ সাধারণ মানুষও সাম্প্রদায়িক বিজেপি এবং স্বৈরাচারী তৃণমূলকে সরাতে সিপিএম-কংগ্রেসের জোট চাইছে৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট হয়েছিল৷ এখানেও একই ছবি উঠে এসেছিল৷ কিন্তু লোকসভা ভোট আলাদা৷ বরকত সাহেবের নামে মালদা জেলায় এই ভোট হয়৷ তাই এই ভোটে কংগ্রেসের পক্ষে প্রচুর ভোট পড়বে৷ তাছাড়া প্রতিটি জায়গায় সিপিএমের একটা ভোট ব্যাংক রয়েছে৷ সেই ভোট কংগ্রেসের ঘরে এলে কংগ্রেসেরই লাভ৷"
Conclusion: এপ্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "রাজ্যের ৬টি আসনের বিষয়ে বাম চেয়ারম্যান বিমান বসু পরিষ্কার বক্তব্য রেখেছেন৷ তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী এই জেলার দুটি আসনে কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন৷ তবে এখনও পর্যন্ত বাম ও কংগ্রেসের পক্ষে রাজ্যের ৪২টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হয়নি৷ সেই ঘোষণা হয়ে গেলে নিশ্চয়ই জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে৷ আজ যদুপুরে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে আবু হাসেম খান চৌধুরির সমর্থনে দেয়াল লিখনে বাম সমর্থনের যে উল্লেখ করা হয়েছে, তাতে আমি খুব একটা দোষ দেখছি না৷ তবে এক্ষেত্রে কংগ্রেস কর্মীরা একটু সবুর করলেই পারতেন৷"