মালদা, 22 জুন : আসিফ কাণ্ডে এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর অধরা ৷ এখনও কালিয়াচক খুন কাণ্ডে ধৃত আসিফ মহম্মদকে দফায় দফায় জেরা চলছে ৷ কখনও পুলিশ জেরা করছে তো কখনও সিআইডি কর্তারা ৷ এরই মধ্যে উঠে এল কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ আসিফ তার দাদার সঙ্গে বোনের বন্ধুর সম্পর্কের কথা জানতে পারে ৷ আসিফের ল্যাপটপ থেকে সেই মেয়েটির সঙ্গে আরিফের কয়েকটি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবিও পাওয়া গিয়েছে ৷ আর তরপর থেকেই সে তার দাদাকে ব্ল্যাক মেল করা শুরু করে ৷ তবে এই সংক্রান্ত কোনও সেক্স টেপ পাওয়া যায়নি বলেই জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা ৷ এদিকে, আসিফের ফাঁসির দাবিতে এককাট্টা গোটা পুরোনো 16 মাইল গ্রাম ৷
তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়নি ৷ পুলিশ সূত্রে খবর , আগামীকাল তা করা হবে ৷ এদিকে আসিফের দাদা আরিফ মহম্মদকে এই মামলার রাজসাক্ষী করার দিকে এগোচ্ছে পুলিশ ৷ আজই জেলা আদালতের বিচারকের কাছে আরিফের জবানবন্দি দেওয়ার কথা ৷ মামলার প্রয়োজনে বিচারকের সামনে জবানবন্দি নেওয়া হতে পারে আসিফের মামা শিস মহম্মদেরও ৷
অন্যদিকে ময়নাতদন্তের পর গতকাল রাতে চারটি মৃতদেহ গ্রামে এসে পৌঁছলে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে ৷ গ্রামেই দেহগুলি কবরস্থ করা হয় ৷ তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি পুলিশ ৷ চারমাসের পুরোনো মৃতদেহ থেকে ভিসেরার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে ৷ তা কলকাতায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ ইতিমধ্যে আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিআইডির সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ৷ আসিফকে জেরা পর্বের প্রতিটি মুহূর্ত ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রতিনিধি দলের অন্যতম শৈবাল বাগচি ৷ এই ঘটনায় এসটিএফের তরফেও আসিফকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে ৷ এত জেরার পরেও আসিফ এখনও ভাবলেশহীন ৷ এখনও সে একই প্রশ্নে একেক সময় একেক রকম জবাব দিচ্ছে ৷ তার এই চরিত্রই ভাবাচ্ছে সবাইকে ৷
আরও পড়ুন : Kaliachak Murder Case : ডার্ক ওয়েবযোগের প্রমাণ মেলেনি, তবে ডিপ ওয়েবে পারদর্শী খুনি আসিফ
গোটা ঘটনায় আসিফের ফাঁসির দাবি উঠেছে এলাকায় ৷ আসিফকে আর গ্রামে ঢুকতে দিতেও রাজি নন কেউ ৷ গ্রামের বাসিন্দে রেশমা খাতুন বলেন, “যে নিজের পরিবারের চারজনকে খুন করতে পারে, সে গ্রামের যে কাউকে মেরে ফেলতে পারে ৷ ওর ফাঁসি চাই ৷ আমরা ওকে আর গ্রামে দেখতে চাই না ৷ ভয়ে এখনও আমাদের হাত-পা কাঁপছে ৷ পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন, ওকে যেন আর কখনও গ্রামে না নিয়ে আসা হয় ৷” একই বক্তব্য আরেক গ্রামবাসী মমতাজ আলিরও ৷ তিনি বলেন, “এই ছেলে যত তাড়াতাড়ি পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়, ততই আমাদের মঙ্গল ৷ "