মালদা, 23 এপ্রিল : আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকেই এই রাজ্যে পা ফেলার প্ল্যাটফর্ম করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি । এখনও পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে এনিয়ে কোনও বার্তা না দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলায় নিজেদের সংগঠন তৈরিতে জোর দিয়েছেন আপের কর্মীরা (Malda villagers joined AAP before Panchayat Election) । তার শুরুটা হয়েছিল মালদা জেলায় ।
প্রথমে মোবাইল ফোনে মিসড্ কলের মাধ্যমে দলে যোগদান, তারপর বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করে যোগদান কর্মসূচি পালন করেছেন আপের নেতা-কর্মীরা । এবার বিভিন্ন জায়গায় সভা করে যোগদান কর্মসূচি শুরু করেছেন তারা (Joining programme of Aam Aadmi Party starts in Malda) । আজ সকালে তার সূচনা হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরে । দলে যোগদানে ইচ্ছুক সবার হাতে ঝাড়ুর পতাকা তুলে দেন হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা হাবিব খান এবং আপের জেলাস্তরের সদস্য সহরাফ আলি ।
আজ আপে যোগ দিয়েছেন জামালুদ্দিন শেখ (Villagers joined AAP) । দীর্ঘদিন দিল্লিতে ছিলেন তিনি। সেখানে কেজরিওয়ালের কাজ দেখেছেন । তিনি বলেন, "আমি চাই, এদেশে নেতারা যেসব সুযোগ সুবিধে পান, তা যেন সমাজের প্রতিটি মানুষ পান । আম আদমি পার্টিও সেটাই প্রতিষ্ঠা করার জন্য ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে । প্রথমে দিল্লি, তারপর পঞ্জাব আপ দখল করেছে । এবার পশ্চিমবঙ্গেও আপ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘দিল্লিতে দীর্ঘদিন থাকার সুবাদে আমি দুই রাজ্যের নেতাদের মানসিকতার পার্থক্য বুঝেছি । এখানে নেতারা নিজেরা শুধু প্রভাবশালী হতে চান । কিন্তু আপের নেতারা মানুষকেও প্রভাবশালী করতে চান । তার জন্য প্রতিটি সেক্টরে তাঁরা কাজ করছেন । অরবিন্দ কেজরিওয়াল যা বলেন তা করেন । তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ মহিলাদের উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন । দিল্লিতে 300 ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারে কোনও মাশুল লাগে না । দিল্লিতে প্রত্যেকের বাড়িতে এখন জল যায় । জল নিকাশির ব্যবস্থাও করা হয়েছে । মহল্লা ক্লিনিক স্থাপন তাঁর খুব ভালো উদ্যোগ । তাই আমি আজ আপে যোগ দিয়েছি ।"
আপের জেলাস্তরের সদস্য সহরাফ আলি বলেন, "আজ হরিশ্চন্দ্রপুরে আমাদের কর্মিসভা ছিল । সভায় যোগ দিতে আমরা বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার করেছিলাম । আজ অনেকে সভায় এসেছিলেন । সেখানে দলের কর্মসূচি নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি । আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে আমরা এখন সংগঠন বিস্তার করে যাচ্ছি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকতেই পারে । কিন্তু রাজনীতির বিষয় আলাদা । আমরা এই জেলায় খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি ।"
আরও পড়ুন : Dilapidated Road : 34 বছরেও হয়নি রাস্তা, এবার ভোট বয়কটের হুমকি গ্রামবাসীদের