মালদা, 6 ডিসেম্বর : বাণিজ্য থেকে শুরু করে চোরাপাচারের মতো একাধিক সমস্যা সমাধানে আজ মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি উচ্চপদস্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ বৈঠকে অংশ নিতে গতকালই দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে এদেশে আসে বাংলাদেশের 59 জনের একটি প্রতিনিধিদল ৷ আজ দুপুরে মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের নয় জেলার আধিকারিক । সেই সঙ্গে এরাজ্যের সীমান্ত ঘেঁষা ছয় জেলার জেলাশাসক সহ প্রশাসনিক কর্তারা ৷ বৈঠকে অংশ নেন BSF ও BGB আধিকারিকরাও ৷ বৈঠকের প্রথমাংশ জেলা প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত হলেও রাতে সেই বৈঠক চলছে আদিনা মৃগদাবে ৷
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ এখনও এদেশের রপ্তানিকারীরা সেদেশে পাথর পাঠাতে পারছেন না ৷ কারণ,পানামা পোর্টে লরির আনলোডিং খরচ একধাক্কায় অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার ৷ এর সঙ্গে চোরাচালান সমস্যা সাম্প্রতিককালে অনেকটাই বেড়েছে ৷ প্রতিবেশী দেশ থেকে এদেশে যেমন জাল নোট পাচার করা হচ্ছে, তেমনই এদেশ থেকে পাচার করা হচ্ছে মাদক ৷ এসব সমস্যা সমাধানেই আজ দু’দেশের মধ্যে এক উচ্চপদস্থ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ৷ বৈঠকে সীমান্ত লাগোয়া বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চঘর, নীলফামারি, লালমণি হাট ও কুড়িগ্রামের জেলাশাসক সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন ৷ ছিলেন মালদা, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার সহ রাজ্যের ইন্দো-বাংলা সীমান্তের জেলার জেলাশাসক সহ অন্যান্য কর্তারা ৷
বৈঠক প্রসঙ্গে মালদার জেলাশাসকরাজর্ষি মিত্র বলেন, "আজ বাংলাদেশের 9 জেলার DC ও এদেশের 6 জেলার DM-কে নিয়ে দু’দেশের মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ প্রতি বছরই এধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ৷ বৈঠকের বিষয় আগে থেকেই ঠিক করা থাকে ৷ মালদা জেলার যে দুটি মূল বিষয় ছিল তার মধ্যে একটি হল হবিবপুরে ইন্দো-বাংলা সীমান্তে একটি BSF চৌকির নীচ থেকে মাটি কেটে যাচ্ছে ৷ সেখানে থাকা বাংলাদেশের একটি চৌকিও একই সমস্যার মধ্যে রয়েছে ৷ এনিয়ে আজ BSF ও BGB আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে ৷ আজ দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে জালনোট সহ অন্যান্য জিনিস পাচার রোধের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে ৷ দুই দেশের নিরাপত্তা বাহিনী চোরাচালান বন্ধ করতে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ৷"