মালদা, 8 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ এক শিল্পপতির বিড়ির কারখানায় হানা দিল আয়কর বিভাগের একটি দল ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বুধবার সকালে কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জে থাকা পতাকা বিড়ির (Pataka Beedi Factory) কারখানায় হানা দেয় আয়কর ৷ বহুক্ষণ যাবৎ তারা কারখানার ভিতরেই থাকেন ৷ তবে কোনও সংবাদমাধ্যমকে কারখানার ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ৷ এদিন একইসঙ্গে পতাকা ইন্ডাস্ট্রিজের বেশ কয়েকটি দফতরে আয়কর হানা দিয়েছে বলে খবর ৷
কালিয়াচকের সুলতানগঞ্জে রয়েছে পতাকা বিড়ির কারখানা ৷ রাজ্যের প্রথম সারির বিড়ির কারখানাগুলির মধ্যে একটি এটি ৷ কারখানার মালিক তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এদিন সকাল সাতটা নাগাদ পাঁচটি গাড়িতে ওই কারখানাতে হানা দেয় আয়কর বিভাগের দলটি ৷ ওই দলে 10-12 জন অফিসার ছিলেন ৷ ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও ৷ প্রায় 25 জনের দলটি সকালে কারখানার ভিতরে ঢুকে যায় ৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় কারখানার মূল দরজা ৷ তবে বিড়ি শ্রমিক কিংবা ওই কারখানার সঙ্গে যোগাসাজশ থাকা কাউকে ভিতরে ঢুকতে বা বাইরে বেরোতে বাধা দেওয়া হয়নি ৷
মহম্মদ রিঙ্কু মিয়াঁ নামে সুলতানগঞ্জ ওই কারখানার এক শ্রমিক বলেন, "ইনকাম ট্যাক্সের অফিসাররা সকাল থেকেই বিভিন্ন কাগজপত্র পরীক্ষা করছেন ৷ প্রথমে শুনেছিলাম তাঁরা সিবিআই ৷ পরে জানতে পারি, তাঁরা ইনকাম ট্যাক্সের অফিসার ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ তাঁরা 20-25 জন রয়েছেন ৷ তাঁরা আসার পর আমি সাড়ে চার ঘণ্টা কারখানার ভিতরে ছিলাম ৷ ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা কোনও টাকা-পয়সা পাননি ৷ অফিসাররা আমাদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি ৷ তাঁরা কী চান, সেটাও কাউকে বুঝতে দেননি ৷ কারাখানার ভিতরে ঢুকতে কিংবা বাইরে বেরোতে আমাদের কোনও বাধা দেওয়া হয়নি ৷"
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার, আয়কর তল্লাশি প্রসঙ্গে দাবি জাকির হোসেনের
উল্লেখ্য, এদিন সকালে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জেও পতাকা ইন্ডাস্ট্রিজের অফিসে হানা দেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা ৷ আয়কর বিভাগের হানাদারি চলছে কোম্পানির সুতির অফিসেও ৷ এর আগে সুতিতেই প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনের বাড়ি ও গুদামে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ ৷ সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে আয়কর বিভাগের হানা ওই এলাকাতেও তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷