ETV Bharat / state

পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে থমথমে রতুয়ার মহানন্দাটোলা

রতুয়ার ঘটনায় এক মহিলা-সহ 20 জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ ধৃতদের গতকাল চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ বিচারক তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেননি ৷ 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তবে সোমবারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি করেন জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷

পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর
author img

By

Published : Aug 14, 2019, 2:41 AM IST

Updated : Aug 14, 2019, 6:44 AM IST

মালদা, 14 অগাস্ট: পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল রতুয়ার মহানন্দাটোলা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও থমথমে গোটা এলাকা ৷ সকাল থেকে বন্ধ দোকানপাট ৷ পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে এলাকাছাড়া গ্রামবাসীদের অনেকেই ৷ ঘটনায় এক মহিলাসহ 20 জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ ধৃতদের গতকাল চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ বিচারক তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেননি ৷ 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তবে সোমবারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি করেন জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷

আরও পড়ুন : রণক্ষেত্র রতুয়া ; পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, লাঠিচার্জ, চলল গুলি

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতের একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে । সে রাতে মহানন্দটোলায় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় পরিমল মণ্ডল (40) নামে এক ব্যক্তির । দোষী গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার ও ট্রাফিক পরিষেবা ঠিক করার দাবিতে সোমবার সকালে রতুয়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন স্থানীয়রা । তাঁদের দাবি, পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে । বিকেলে ময়নাতদন্তের পর পরিমলের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় । সন্ধ্যার দিকে ফের স্থানীয়রা থানায় যান । পুলিশ এবারও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে৷ এরপরই থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা । ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের প্রায় 5টি গাড়ি-সহ ফাঁড়িতে । গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পালটা লাঠিচার্জ করে । কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় RAF । গোটা ঘটনায় 7 জন পুলিশকর্মী আহত হন ।

ভিডিয়োয় দেখুন...

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ দু'রাউন্ড গুলি চালিয়েছে । যার জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি । যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রতুয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা । তাঁদের বক্তব্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে ।

গতকাল এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অলোক রাজোরিয়া ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি করেন তিনি ৷ জানান, গোটা ঘটনার সূত্রপাত একটি পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে । ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ভারতীয় আইনের 304 ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ৷ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ ঘাতক গাড়িটিকেও আটক করা হয় । সোমবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পাঠানো হয় । কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি অভিযোগ করেন স্থানীয়রা । সোমবার সন্ধ্যায় পরিমল মণ্ডলের মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় RAF । চালানো হয় রবার বুলেটও । কিন্তু গুলি চালানো হয়নি ৷ সোমবারের ঘটনায় গতকাল এক মহিলা-সহ 20 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ মঙ্গলবার তাদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ বিচারক 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ যে আধিকারিক দায়িত্বে ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে কি না জানতে চাওয়া হলে অলোকবাবু বলেন, "বিভাগীয় তদন্ত কেন? উনি কী ভুল করেছেন? "

মালদা, 14 অগাস্ট: পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল রতুয়ার মহানন্দাটোলা ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও থমথমে গোটা এলাকা ৷ সকাল থেকে বন্ধ দোকানপাট ৷ পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে এলাকাছাড়া গ্রামবাসীদের অনেকেই ৷ ঘটনায় এক মহিলাসহ 20 জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ ধৃতদের গতকাল চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ বিচারক তাদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেননি ৷ 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তবে সোমবারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি করেন জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ৷

আরও পড়ুন : রণক্ষেত্র রতুয়া ; পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, লাঠিচার্জ, চলল গুলি

ঘটনার সূত্রপাত রবিবার রাতের একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে । সে রাতে মহানন্দটোলায় গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় পরিমল মণ্ডল (40) নামে এক ব্যক্তির । দোষী গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার ও ট্রাফিক পরিষেবা ঠিক করার দাবিতে সোমবার সকালে রতুয়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন স্থানীয়রা । তাঁদের দাবি, পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে । বিকেলে ময়নাতদন্তের পর পরিমলের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় । সন্ধ্যার দিকে ফের স্থানীয়রা থানায় যান । পুলিশ এবারও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে৷ এরপরই থানা ঘেরাও করেন স্থানীয়রা । ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের প্রায় 5টি গাড়ি-সহ ফাঁড়িতে । গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ পালটা লাঠিচার্জ করে । কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় RAF । গোটা ঘটনায় 7 জন পুলিশকর্মী আহত হন ।

ভিডিয়োয় দেখুন...

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ দু'রাউন্ড গুলি চালিয়েছে । যার জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক ব্যক্তি । যদিও গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রতুয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা । তাঁদের বক্তব্য, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে ।

গতকাল এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অলোক রাজোরিয়া ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়নি বলে দাবি করেন তিনি ৷ জানান, গোটা ঘটনার সূত্রপাত একটি পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে । ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ভারতীয় আইনের 304 ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ৷ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷ ঘাতক গাড়িটিকেও আটক করা হয় । সোমবার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পাঠানো হয় । কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি অভিযোগ করেন স্থানীয়রা । সোমবার সন্ধ্যায় পরিমল মণ্ডলের মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় RAF । চালানো হয় রবার বুলেটও । কিন্তু গুলি চালানো হয়নি ৷ সোমবারের ঘটনায় গতকাল এক মহিলা-সহ 20 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ মঙ্গলবার তাদের চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয় ৷ বিচারক 14 দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ যে আধিকারিক দায়িত্বে ছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে কি না জানতে চাওয়া হলে অলোকবাবু বলেন, "বিভাগীয় তদন্ত কেন? উনি কী ভুল করেছেন? "

Intro:মালদা, ১৩ অগাস্টঃ পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল রতুয়ার মহানন্দটোলা। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে এলেও গতকাল রাতের ঘটনার রেশ এলাকায় এখনও রয়েছে। গোটা এলাকা থমথমে৷ সকাল থেকেই বন্ধ এলাকার দোকানপাট। পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে প্রায় পুরুষশূন্য গ্রাম৷ গতকালের ঘটনায় এক মহিলা সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ধৃতদের আজ চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।Body:উল্লেখ্য, রবিবার পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় পরিমল মণ্ডল (৪০) নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার। অভিযোগ, ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল এলাকার লোকজন মহানন্দটোলা ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। বিকেলে পরিমলবাবুর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধেয় মৃতদেহ নিয়ে ফের স্থানীয় লোকজন ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু পুলিশ নাকি এবারও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে৷ এরপরেই স্থানীয় লোকজন মৃতদেহ নিয়ে থানা ঘেরাও করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। গ্রামবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে, পালটা ইট ছুড়তে শুরু করে গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্র্সণে আনতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় রাফ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। সেই গুলিতে আহত হন এক গ্রামবাসী। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়নি বলে আজ দাবি করেন পুলিশ সুপার।
এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আজ জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, “গোটা ঘটনার সূত্রপাত একটি পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সেই দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ভারতীয় আইনের ৩০৪ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে ঘাতক গাড়িটিকে আটক করা হয়। গতকাল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও কেস করা হয়নি অভিযোগ তুলে গতকাল সন্ধেয় স্থানীয় লোকজন পথ দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তির দেহ সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের পাঁচটি গাড়ি সহ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালায়। সেই সময় এসডিপিও-র নেতৃত্বে রাফ ঘটনাস্থলে নামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়। গোটা ঘটনায় ৭ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়৷ চালানো হয় রবার বুলেটও। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়নি। গতকালের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের করে ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
Conclusion:এদিকে চাঁচল মহকুমা আদালত সূত্রে জানা গেছে, ধৃত ২০ জনকে আজ আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের সবার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন৷
Last Updated : Aug 14, 2019, 6:44 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.