মালদা, ২০ মার্চ : " বামেদের সঙ্গে জোট হোক কিংবা না হোক, এই জেলায় আমাদের নিজেদের শক্তির উপর ভরসা আছে। কংগ্রেস মালদায় কোনও নতুন দল নয়। বরকত সাহেব, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি সহ অন্য নেতারা এই জেলায় কংগ্রেস করে গেছেন। তাই জোট হলে ভালো। জোট না হলেও মালদা জেলার দুটি আসনেই জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।" আজ চাঁচলের কলমবাগান ময়দানে রাহুল গান্ধির জনসভার কাজ পরিদর্শনে এসে একথা বললেন ইশা খান চৌধুরি। তিনি এবার উত্তর মালদা লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী।
উল্লেখ্য, ২৩ মার্চ কলমবাগান ময়দানে ইশা খানের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে আসছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধি। এটাই রাজ্যে এবার রাহুলের প্রথম নির্বাচনী সভা। এই সভা করা নিয়ে প্রশাসনের তরফে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম। পরে নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে সেই জটিলতা কেটে যায়। গতকাল সন্ধেয় রাহুল গান্ধির সভার অনুমতি দেয় প্রশাসন। এরপর নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সভামঞ্চ তৈরির কাজ পরিচালনা করছেন কংগ্রেসের রাজ্য কো-অর্ডিনেটর কমিটির সদস্য শুভঙ্কর সরকার। তাঁর সঙ্গে রয়েছে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
শুভঙ্করবাবু আজ বলেন, "২৩ তারিখ দুপুর দেড়টা নাগাদ আমরা সভা শুরু করে দেব। এই সভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও আসবেন। আড়াইটে থেকে তিনটের মধ্যে রাহুল গান্ধি সভায় চলে আসবেন। সঙ্গে তাঁর সহায়করাও আসছেন।"
ইশা খান চৌধুরি বলেন, "রাহুলজির সভার জন্য এখনও ঠিকমতো প্রচার শুরু করতে পারিনি। হাতে সময় খুবই কম। ২৩ তারিখের পর পুরোপুরি নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়ব। দলের জেলা ও ব্লক সভাপতিদের মত অনুযায়ী প্রচার চালাব। গতকাল আমি সামান্য প্রচার করেছি। এই জেলায় কংগ্রেসের শক্তি কমে গেছে বলে অনেকে প্রচার করছে। কিন্তু ২৩ তারিখ রাহুলজির সভায় অন্তত দেড় লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন। আজ সভাস্থান পরিদর্শন করতে এসেছিলেন চাঁচলের মহকুমাশাসক থেকে শুরু করে পুলিশ ও SPG আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে।"